০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ছাত্রছাত্রীদের জন্য কেমন ডেস্কটপ পিসি নির্বাচন করা উচিত?

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ১১:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯১৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্কটপ

বিভিন্ন কারনে পার্সোনাল কম্পিউটারের হিসেবে ডেস্কটপ (Desktop) খুবই জনপ্রিয় যা ছোটো-বড়ো সব ধরনের কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ডেস্কটপের সাহায্যে আমরা শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো অফিসের প্রায় সকল কাজ করে থাকি। বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ডেস্কটপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডিজিটাল ডিভাইস। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক নানা ধরনের বিষয় গুলো ফাইল  করে রাখার জন্যও ডেস্কটপ পিসি ব্যবহার করা যায়। তাই একটি ভালো মানের পিসি নির্বাচন করা দরকার। কম বাজেটের মধ্যে এই ধরনের  পিসির সহজেই পেয়ে যাবেন বিডিস্টল-এর অনলাইন ওয়েবসাইটে থেকে। সেখান ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পিসি বিল্ড করার পূর্বে পিসি বিল্ডার টুলস ব্যবহার করে ডেস্কটপ পিসির দাম পাশাপাশি ব্র‍্যান্ড পিসির দাম সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারবে।

ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা নিজেদের জন্য নতুন একটি পিসি  কেনার কথা ভাবছ কিন্তু পিসির বিষয় নিয়ে কোন ধারণা নেই, তাদের জন্য আমাদের এই তথ্য ভালো কাজে দিবে বলে আশা করছি। উপরের আলোচিত সকল দিক মাথায় রেখে ছাত্র ছাত্রী দের জন্য ডেস্কটপ পিসি কিভাবে  নির্বাচন করতে হবে  সেই  সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।  

পার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের ডেস্কটপ কেন দরকার?

ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনাতে নানান ধরনের কাজে ডেস্কটপ পিসির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাদের পড়ালেখার প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজ ভাবে করতে মূলত কম্পিউটার ব্যবহার করে। একজন ছাত্র বা ছাত্রী পড়াশোনার জন্য যে সকল কাজে কম্পিউটার গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে তা হচ্ছেঃ-  

অনলাইন ক্লাস করার জন্য

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া অনলাইন ক্লাস করা অনেকটাই কঠিন। অনলাইনের ক্লাসে বিষয়ে পড়াশোনা সঠিকভাবে বুঝতে হলে এর বিকল্প নেই। অনলাইন ক্লাস করার জন্য নতুন পিসি কেনার ইচ্ছে থাকলে স্বল্প বাজেটের একটি পিসি কিনতে পারবেন। প্রথম জেনারেশনের কোর আই-৩ নির্বাচন করলেই ভালো হয় আর নয়তো ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ডুয়েল কোর নির্বাচন  করা যেতে পারে। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য একটি বড় মনিটরএর পিসি হলেই ভালো  হয় আর তাই ১৯ ইঞ্চির মনিটরের একটি পিসি কেনার জন্য পরিকল্পনা করা যেতে পারে। তাছাড়া ছাত্র ছাত্রী দের  জন্য ৫০০ জিবির সাধারণ মানের হার্ডডিস্ক এর পিসিই  যথেষ্ঠ। 

নোট করা 

ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার বিষয় গুলো নোট করাটা অত্যান্ত প্রয়োজন। একটি কম্পুইটার থাকলে তারা খুব সহজে note করে নিতে পারে  আবার তা পিসির সাহায্যে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। পিসির দ্বারা  পড়ালেখার প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো সংরক্ষণ করার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী তা ব্যবহার করতে পারে। এতে করে ঝামেলা কম হয়। পূর্বের খাতাপ্ত্র খোঁজার ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।   

ফাইল সংরক্ষণ করা

ছাত্র ছাত্রী রা তাদের পড়ালেখার বিষয়ক নানা ধরনের তথ্য সমুহ এবং তাদের প্রয়োজনীয় জরুরী কাগজ-পত্র যেমন তাদের পরিচয় পত্র, প্রসংশা পত্র, এমন কি জন্ম নিবন্ধন সমুহ ফাইল আকারে পিসির সাহায্যে সংরক্ষণ করতে পারে।

রিসার্চ করা

প্রতিনিয়ত আমরা নতুন কিছু জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে অজানা অনেক তথ্য বা খবর সম্পর্কে জানতে পারি। আর তাই সেই ক্ষেত্রে একটি পিসির ব্যবহার ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে তোলার জন্য বেশ ভালো ভুমিকা পালন করতে পারে। 

ডেস্কটপ কম্পিউটার

ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে ডেস্কটপ নির্বাচন করা উচিত? 

প্রায় সব ধরনের কাজ করার জন্য পিসিতেই কিছু নিদির্ষ্ট উপকরণ থাকে যা ব্যবহার না করলে একটি পিসি চালানো সম্ভব হয় না। মূলত পিসির জন্য কাজের ধরনের উপরে নির্ভর করে কন কন যন্ত্রাংশ দিয়ে ডেস্কটপ পিসি তৈরি হবে। সাধারনত একটা কম্পিউটার তৈরির সময় প্রসেসর, মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই, র‍্যাম, হার্ড ডিস্ক এবং কেসিং-এর উপকরণ প্রয়োজন হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পিসি কিভাবে নির্বাচন করতে হবে সেই সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি। 

প্রসেসর 

একটি পিসির জন্য  প্রসেসর কি জিনিস মনে হয় বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। কারণ এটি পিসির মূল পার্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে এএমডি এর প্রসেসর চলে এসেছে। এএমডি ইন্টেলের মত শক্ত অবস্থান গড়তে না পারলেও এতা ইন্টেলের চাইতে কোন  অংশে  পিছিয়ে  নেই। PROCESSOR এর ব্রান্ড সিলেকশন নিয়ে বছর  খানিক  আগেও তেমন কোন সমস্যা ছিলনা। অনেকেই ধারণা  করেন  যে এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়। এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়। কিন্তু এই ধারণা একদম  ভুল কেননা প্রসেসর  তো গরম হবেই। এএমডির প্রসেসরগুলো সাথে এখন যে হিটসিংক দেওয়া হয়েছে  এর মাধ্যমে প্রসেসর বেসি গরম হয়ে  গেলে তাকে নিওন্ত্রনে আনতে সাহায্য করে। 

কোন ব্রান্ডের প্রসেসর কিনবেন এটা সম্পুর্ন  ভাবে  নির্ভর করে নিজের উপর। কেননা ইন্টেল ও এএমডি দুটোই প্রায় সমান কাজ করে। ইন্টেলের রয়েছে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজির মাধ্যমে সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর যা অনেক জনপ্রিয়।  

প্রসেসর কত স্পিডে কাজ করবে, সেটার পরিমাপ মানে হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড। প্রসেসর যদি Core 2 Duo 2.67 Ghz হয়,তাহলে এখানে 2.67 Ghz হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড। ছাত্র ছাত্রী দের জন্য ডুয়েল কোর এর পিসি হলেই যথেষ্ট। যদি বাজেট  বেশি  থাকে  তাহলে কোর-টু ডুয়ো (যদি মার্কেটেপাওয়া যায়) চাইলে নিতে পার।

মাদারবোর্ড

যে লেভেলেরই ইউজার হোক না কেন, প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করে ভালো ব্রান্ডের মাদারবোর্ড কিনা দরকার। আর ছাত্র ছাত্রী দের জন্য মোটামুটি মানের মাদারবোর্ড কিনলেই যথেষ্ট। তবে মাদারবোর্ডের কানেক্টর গুলো সম্পর্কে  যাচাই করে নিতে হবে। RAM এর স্লট কয়টা আছে, কী টাইপের হয়, কত বায়াস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য স্লট কয়টা, মাদারবোর্ডে আলাদা ভাবে কি কি হার্ডওয়ার সাপোর্ট করবে, পরবর্তী সময়ে আপগ্রেড করতে গেলে কোন লেভেল পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে, হার্ডডিস্ক কতটুকু সাপোর্ট করবে, মাদারবোর্ডে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কয়টা এক্সপ্যানশন স্লট ফাঁকা আছে এই ধরনের বিষয় গুলো  অবশ্যই জেনে নিতে হবে। 

মাদারবোর্ডের ব্রান্ড হিসেবে ASUS এবং gigabyte তুলনা মুলক অনেক ভালো। এক কথায় মাদারবোর্ড কেনার আগে বাজার থেকে যথেষ্ট পরিমান তথ্য জেনে নিতে হবে। তাহলে ভালো মাদারর্বোড দেখে কিনতে সাহায্য করবে।  

RAM (Random Access Memory)

RAM   উপর নির্ভর করে পিসির স্পিড। ছাত্রছাত্রীদের জন্য 2 GB RAM হলেই চলে। তবে RAM এর পারফরম্যান্স তার ব্রান্ডএর উপর নির্ভর করে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের র‍্যাম দেখে কিনবেন। আবার আপনার মাদারবোর্ড RAM কে সাপোর্ট করে কিনা তা যাচাই ও বাছাই করে নিবেন। 

হার্ডডিস্ক ড্রাইভ

পিসির যাবতীয় কাজ হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর মধ্যে জমা থাকে। সাধারণত একটা উইন্ডোজ কে জায়গা দিতে সর্বনিম্ন ২০ জিবি স্টোরেজ দিতে হয়। এছাড়াও আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করতে হয়। তাই পরামর্শ থাকবে যেন ৫০০ জিবির স্টোরেজ বিশিষ্ট হার্ডডিস্ক নির্বাচন করতে। 

সিপিইউ কুলার

পিসিকে ঠান্ডা রাখার জন্য একটি ভালো মানের সিপিইউ কুলার প্রয়োজন। একটি পিসির ভালো পারফরম্যান্স পেতে সিপিইউ কুলারের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে প্রসেসর এর সাথে একটি  সাধারণ  কুলার  থাকে। ছাত্র ছাত্রী দের জন্য সাধারণ ধরনের  কুলার  হলেই চলে। 

কেসিং

কেসিং হল পিসির বাহিরের  আবরণ। নিজের  পছন্দ মতো করে কেসিং কিনে নিতে পার  তবে  একটা কথা মনে  রাখা দরকার  কেসিং এর ভেতর থেকে  বাইরে  বাতাস  আসা যাওয়া  করতে পারে, এবং কেসিং মজবুত  কিনা সেদিকে  খেয়াল  রাখতে হবে। 

শেষকথা

ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার কোনো বিষয় note করে রাখার জন্য ডেস্কটপ বেশ উপকারী। আবার বিভিন্ন  ধরনের বিষয় নিয়ে research করার জন্য একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। অপ্রয়োজনে খুব বেশি দামের ডেস্কটপ না কেনাই ভালো। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বা যে-কোনো ডিভাইস নিজের প্রয়োজন ও অর্থের পরিমাণের ওপর ভাবনা-চিন্তা করেই কেনা উচিত।

এখানে বিডিস্টল (bdstall.com)-কে রেফার করা হলেও ওখান থেকে কেউ প্রতারিত বা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তার দায় ‘বিশ্লেষণ’ নেবে না।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য কেমন ডেস্কটপ পিসি নির্বাচন করা উচিত?

প্রকাশ: ১১:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

বিভিন্ন কারনে পার্সোনাল কম্পিউটারের হিসেবে ডেস্কটপ (Desktop) খুবই জনপ্রিয় যা ছোটো-বড়ো সব ধরনের কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ডেস্কটপের সাহায্যে আমরা শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো অফিসের প্রায় সকল কাজ করে থাকি। বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ডেস্কটপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডিজিটাল ডিভাইস। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক নানা ধরনের বিষয় গুলো ফাইল  করে রাখার জন্যও ডেস্কটপ পিসি ব্যবহার করা যায়। তাই একটি ভালো মানের পিসি নির্বাচন করা দরকার। কম বাজেটের মধ্যে এই ধরনের  পিসির সহজেই পেয়ে যাবেন বিডিস্টল-এর অনলাইন ওয়েবসাইটে থেকে। সেখান ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পিসি বিল্ড করার পূর্বে পিসি বিল্ডার টুলস ব্যবহার করে ডেস্কটপ পিসির দাম পাশাপাশি ব্র‍্যান্ড পিসির দাম সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারবে।

ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা নিজেদের জন্য নতুন একটি পিসি  কেনার কথা ভাবছ কিন্তু পিসির বিষয় নিয়ে কোন ধারণা নেই, তাদের জন্য আমাদের এই তথ্য ভালো কাজে দিবে বলে আশা করছি। উপরের আলোচিত সকল দিক মাথায় রেখে ছাত্র ছাত্রী দের জন্য ডেস্কটপ পিসি কিভাবে  নির্বাচন করতে হবে  সেই  সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।  

পার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের ডেস্কটপ কেন দরকার?

ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনাতে নানান ধরনের কাজে ডেস্কটপ পিসির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাদের পড়ালেখার প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজ ভাবে করতে মূলত কম্পিউটার ব্যবহার করে। একজন ছাত্র বা ছাত্রী পড়াশোনার জন্য যে সকল কাজে কম্পিউটার গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে তা হচ্ছেঃ-  

অনলাইন ক্লাস করার জন্য

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া অনলাইন ক্লাস করা অনেকটাই কঠিন। অনলাইনের ক্লাসে বিষয়ে পড়াশোনা সঠিকভাবে বুঝতে হলে এর বিকল্প নেই। অনলাইন ক্লাস করার জন্য নতুন পিসি কেনার ইচ্ছে থাকলে স্বল্প বাজেটের একটি পিসি কিনতে পারবেন। প্রথম জেনারেশনের কোর আই-৩ নির্বাচন করলেই ভালো হয় আর নয়তো ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ডুয়েল কোর নির্বাচন  করা যেতে পারে। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য একটি বড় মনিটরএর পিসি হলেই ভালো  হয় আর তাই ১৯ ইঞ্চির মনিটরের একটি পিসি কেনার জন্য পরিকল্পনা করা যেতে পারে। তাছাড়া ছাত্র ছাত্রী দের  জন্য ৫০০ জিবির সাধারণ মানের হার্ডডিস্ক এর পিসিই  যথেষ্ঠ। 

নোট করা 

ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার বিষয় গুলো নোট করাটা অত্যান্ত প্রয়োজন। একটি কম্পুইটার থাকলে তারা খুব সহজে note করে নিতে পারে  আবার তা পিসির সাহায্যে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। পিসির দ্বারা  পড়ালেখার প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো সংরক্ষণ করার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী তা ব্যবহার করতে পারে। এতে করে ঝামেলা কম হয়। পূর্বের খাতাপ্ত্র খোঁজার ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।   

ফাইল সংরক্ষণ করা

ছাত্র ছাত্রী রা তাদের পড়ালেখার বিষয়ক নানা ধরনের তথ্য সমুহ এবং তাদের প্রয়োজনীয় জরুরী কাগজ-পত্র যেমন তাদের পরিচয় পত্র, প্রসংশা পত্র, এমন কি জন্ম নিবন্ধন সমুহ ফাইল আকারে পিসির সাহায্যে সংরক্ষণ করতে পারে।

রিসার্চ করা

প্রতিনিয়ত আমরা নতুন কিছু জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে অজানা অনেক তথ্য বা খবর সম্পর্কে জানতে পারি। আর তাই সেই ক্ষেত্রে একটি পিসির ব্যবহার ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে তোলার জন্য বেশ ভালো ভুমিকা পালন করতে পারে। 

ডেস্কটপ কম্পিউটার

ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে ডেস্কটপ নির্বাচন করা উচিত? 

প্রায় সব ধরনের কাজ করার জন্য পিসিতেই কিছু নিদির্ষ্ট উপকরণ থাকে যা ব্যবহার না করলে একটি পিসি চালানো সম্ভব হয় না। মূলত পিসির জন্য কাজের ধরনের উপরে নির্ভর করে কন কন যন্ত্রাংশ দিয়ে ডেস্কটপ পিসি তৈরি হবে। সাধারনত একটা কম্পিউটার তৈরির সময় প্রসেসর, মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই, র‍্যাম, হার্ড ডিস্ক এবং কেসিং-এর উপকরণ প্রয়োজন হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পিসি কিভাবে নির্বাচন করতে হবে সেই সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি। 

প্রসেসর 

একটি পিসির জন্য  প্রসেসর কি জিনিস মনে হয় বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। কারণ এটি পিসির মূল পার্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে এএমডি এর প্রসেসর চলে এসেছে। এএমডি ইন্টেলের মত শক্ত অবস্থান গড়তে না পারলেও এতা ইন্টেলের চাইতে কোন  অংশে  পিছিয়ে  নেই। PROCESSOR এর ব্রান্ড সিলেকশন নিয়ে বছর  খানিক  আগেও তেমন কোন সমস্যা ছিলনা। অনেকেই ধারণা  করেন  যে এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়। এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়। কিন্তু এই ধারণা একদম  ভুল কেননা প্রসেসর  তো গরম হবেই। এএমডির প্রসেসরগুলো সাথে এখন যে হিটসিংক দেওয়া হয়েছে  এর মাধ্যমে প্রসেসর বেসি গরম হয়ে  গেলে তাকে নিওন্ত্রনে আনতে সাহায্য করে। 

কোন ব্রান্ডের প্রসেসর কিনবেন এটা সম্পুর্ন  ভাবে  নির্ভর করে নিজের উপর। কেননা ইন্টেল ও এএমডি দুটোই প্রায় সমান কাজ করে। ইন্টেলের রয়েছে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজির মাধ্যমে সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর যা অনেক জনপ্রিয়।  

প্রসেসর কত স্পিডে কাজ করবে, সেটার পরিমাপ মানে হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড। প্রসেসর যদি Core 2 Duo 2.67 Ghz হয়,তাহলে এখানে 2.67 Ghz হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড। ছাত্র ছাত্রী দের জন্য ডুয়েল কোর এর পিসি হলেই যথেষ্ট। যদি বাজেট  বেশি  থাকে  তাহলে কোর-টু ডুয়ো (যদি মার্কেটেপাওয়া যায়) চাইলে নিতে পার।

মাদারবোর্ড

যে লেভেলেরই ইউজার হোক না কেন, প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করে ভালো ব্রান্ডের মাদারবোর্ড কিনা দরকার। আর ছাত্র ছাত্রী দের জন্য মোটামুটি মানের মাদারবোর্ড কিনলেই যথেষ্ট। তবে মাদারবোর্ডের কানেক্টর গুলো সম্পর্কে  যাচাই করে নিতে হবে। RAM এর স্লট কয়টা আছে, কী টাইপের হয়, কত বায়াস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য স্লট কয়টা, মাদারবোর্ডে আলাদা ভাবে কি কি হার্ডওয়ার সাপোর্ট করবে, পরবর্তী সময়ে আপগ্রেড করতে গেলে কোন লেভেল পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে, হার্ডডিস্ক কতটুকু সাপোর্ট করবে, মাদারবোর্ডে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কয়টা এক্সপ্যানশন স্লট ফাঁকা আছে এই ধরনের বিষয় গুলো  অবশ্যই জেনে নিতে হবে। 

মাদারবোর্ডের ব্রান্ড হিসেবে ASUS এবং gigabyte তুলনা মুলক অনেক ভালো। এক কথায় মাদারবোর্ড কেনার আগে বাজার থেকে যথেষ্ট পরিমান তথ্য জেনে নিতে হবে। তাহলে ভালো মাদারর্বোড দেখে কিনতে সাহায্য করবে।  

RAM (Random Access Memory)

RAM   উপর নির্ভর করে পিসির স্পিড। ছাত্রছাত্রীদের জন্য 2 GB RAM হলেই চলে। তবে RAM এর পারফরম্যান্স তার ব্রান্ডএর উপর নির্ভর করে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের র‍্যাম দেখে কিনবেন। আবার আপনার মাদারবোর্ড RAM কে সাপোর্ট করে কিনা তা যাচাই ও বাছাই করে নিবেন। 

হার্ডডিস্ক ড্রাইভ

পিসির যাবতীয় কাজ হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর মধ্যে জমা থাকে। সাধারণত একটা উইন্ডোজ কে জায়গা দিতে সর্বনিম্ন ২০ জিবি স্টোরেজ দিতে হয়। এছাড়াও আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করতে হয়। তাই পরামর্শ থাকবে যেন ৫০০ জিবির স্টোরেজ বিশিষ্ট হার্ডডিস্ক নির্বাচন করতে। 

সিপিইউ কুলার

পিসিকে ঠান্ডা রাখার জন্য একটি ভালো মানের সিপিইউ কুলার প্রয়োজন। একটি পিসির ভালো পারফরম্যান্স পেতে সিপিইউ কুলারের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে প্রসেসর এর সাথে একটি  সাধারণ  কুলার  থাকে। ছাত্র ছাত্রী দের জন্য সাধারণ ধরনের  কুলার  হলেই চলে। 

কেসিং

কেসিং হল পিসির বাহিরের  আবরণ। নিজের  পছন্দ মতো করে কেসিং কিনে নিতে পার  তবে  একটা কথা মনে  রাখা দরকার  কেসিং এর ভেতর থেকে  বাইরে  বাতাস  আসা যাওয়া  করতে পারে, এবং কেসিং মজবুত  কিনা সেদিকে  খেয়াল  রাখতে হবে। 

শেষকথা

ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার কোনো বিষয় note করে রাখার জন্য ডেস্কটপ বেশ উপকারী। আবার বিভিন্ন  ধরনের বিষয় নিয়ে research করার জন্য একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। অপ্রয়োজনে খুব বেশি দামের ডেস্কটপ না কেনাই ভালো। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বা যে-কোনো ডিভাইস নিজের প্রয়োজন ও অর্থের পরিমাণের ওপর ভাবনা-চিন্তা করেই কেনা উচিত।

এখানে বিডিস্টল (bdstall.com)-কে রেফার করা হলেও ওখান থেকে কেউ প্রতারিত বা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তার দায় ‘বিশ্লেষণ’ নেবে না।