০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

সেন্টিনেলিজ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে হাজার বছর ধরে বিচ্ছিন্ন রহস্যময় জাতি

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ১০:৫৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • / ১২৪৬ বার পড়া হয়েছে

উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

ভারতের শাসনাধীন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Andaman and Nicobar Islands) সম্পর্কে সকলেই জানেন। এই দ্বীপের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে নানান রকমের তথ্য পাওয়া যায়। রহস্য দিয়ে ঘেরা এই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এক অদ্ভুত ও রহস্যময় জাতি আছে যারা এই আধুনিক বিশ্ব থেকে একদমই বিচ্ছিন্ন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসরত অদ্ভুত এই জাতির নাম হলো সেন্টিনেলিজ (Sentinelese)।

কেমন জাতি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সেন্টিনেলিজ?

ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে ৬০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সবার অগোচরে বসবাস করছে একটি আদিবাসী গোত্র, সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসকারী এই গোত্রের মানুষজনকে ডাকা হয় সেন্টিনেলিজ নামে। সেন্টিনেলিজিরা কাপড় পরে না। এই গোত্রটি সম্পর্কে খুবই কম জানা গেছে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষের নিকট এক প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে, সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দারা হলো প্রকৃতপক্ষে পাঠান দণ্ডপ্রাপ্তরা, যারা ব্রিটিশ কারাগার থেকে পালিয়ে দ্বীপটিতে লুকিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, পাঠান হলো আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একটি গোত্র।

আন্দামান দ্বীপের সেন্টিনেলিজ নামের এই রহস্যময় আদিবাসী গোত্র সম্পর্কে সত্তরের দশক থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন ভারতের টি. এন. পন্ডিত নামের একজন গবেষক এবং তাঁর সহকর্মীরা। ১৯৯১ সালে টি. এন. পণ্ডিত তাঁর দলকে নিয়ে সেন্টিনেলিজ জাতি সম্পর্কে অনুসন্ধানে কিছুটা সাফল্য লাভ করেন, তবে পুরোপুরি জানতে পারেননি। জনাব পণ্ডিত সেখানে সেন্টিনেলিজদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। যেমন, তাদের জন্য শুকর ও নারিকেল উপহার হিসেবে নিয়ে যাওয়া, ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি বোঝার জন্য পার্শ্ববর্তী দ্বীপের কিছু লোকজন নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। টি. এন. পণ্ডিত ও তাঁর দলের উপহার নারিকেল গ্রহণ করেছিল কিন্তু শূকর মেরে ফেলে পুতে দেয়। তবে এই গবেষকদলের কেউই দ্বীপে ওঠার অনমতি পায়নি। আন্দামান দ্বীপে কাপড় বিহীন এই সেন্টিনেলিজ গোত্র সম্পর্কে এখন এরকম উপহার দেওয়ার মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সরকার। 

টি. এন. পণ্ডিতের দেওয়া নারিকেল সংগ্রহে ব্যস্ত সেন্টিনেলিজ সদস্যরা
টি. এন. পণ্ডিতের দেওয়া নারিকেল সংগ্রহে ব্যস্ত সেন্টিনেলিজ সদস্যরা

সেন্টিনেলিজরা খুব লম্বাও নয়, খুব খাটোও নয়। তারা সব সময় তীর ধনুক বহন করে। এই আদিবাসী গোত্রের লোকজন তীর ধনুক দিয়ে মাছ শিকার করে। বুনো শুকর, শিকড়, বনের ফলমূল আর মধু তাদের প্রধান খাবার। তবে সেন্টিনেলিজ জাতির লোকেরা সাগরে চলাচলকারী লোকজনের কাছে পরিচিত নন। এসব লোকের তীর-ধনুক বহন করার আরেকটি কারণ হলো যাতে বাইরের কেউ তাদের দ্বীপে প্রবেশ না করতে পারে। নিজেদের এলাকার ব্যাপারে এই বাসিন্দারা খুবই রক্ষণশীল এবং বাইরের কাউকে পেলেই তারা আক্রমণ করে থাকে।

২০০৬ সালে দুই জন জেলে উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপের কাছাকাছি গেলে আদিবাসীদের হামলায় নিহত হয়। ২০০৪ সালের সুনামির পর যখন ভারতীয় কর্মকর্তারা দ্বীপটির ওপর আকাশ থেকে জরিপ করার চেষ্টা করে, তখন দ্বীপের একজন বাসিন্দা তীর ছুড়ে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করার চেষ্টা চালায়।

বর্ণিল ইতিহাস

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে মূলত চারটি আফ্রিকার উপজাতি গোত্র বাস করে। গ্রেট আন্দামানিজ, অনেজ, জারাওয়া এবং সেন্টিনেলিজ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বাস করে দুইটি মঙ্গোলয়েড গোত্র-শোম্পেন এবং নিকোবারিজ।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর এই দ্বীপে একটি কারা কলোনি স্থাপন করে, যেখানে বন্দীদের আটকে রাখা হতো। কিছুদিন পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেই তাদের লড়াই শুরু হয়ে যায়।

ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী বাহিনীর সঙ্গে গ্রেটার আন্দামালিজ বাহিনীর সঙ্গে প্রথম লড়াই হয় ১৮৫৯ সালে, যার ফলাফল সহজেই ধারণা করা যেতে পারে।

যুদ্ধ এবং রোগের বিস্তারের কারণে স্থানীয় গোত্রগুলোয় দ্রুত জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। তবে সেন্টিনেলরা বাস করতো একটি দূরের দ্বীপে, ফলে এই দ্বীপের বাসিন্দা ঔপনিবেশিক শাসনের আওতার বাইরে থেকে যায়।

সেন্টিনেলিজদের সহিংসতা

টি. এন. পণ্ডিতের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সেন্টিনেলিজদের সহিংসতার প্রবণতা এখনো রয়ে গেছে। সেন্টিনেলিজরা একটি শান্তিপ্রিয় জাতি ছিল। তারা মানুষজনের ওপর হামলা করত না। তারা আশেপাশের এলাকায় কখনো যেত না বা কারো সাথে ঝামেলাও তৈরি করতো না। এটা আসলে একটা বিরল ঘটনা। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড এই এলাকার আশেপাশে নিয়মিত টহল দিতে চায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাঝেমাঝে এরকম অনুপ্রবেশ ঘটে এবং আমেরিকান এই পর্যটকের অনেক মানুষজন দ্বীপটিতে চলে যান।

টিএন পণ্ডিত মনে করেন, আরও দ্বীপবাসীদের জন্যে যোগাযোগের উদ্যোগ শুরু করা উচিত।

টি. এন. পণ্ডিতের ভাষায়, ”আমাদের অবশ্যই আবারো চেষ্টা করা উচিত এবং তাদের সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ শুরু করা উচিত। কিন্তু তাদের বিরক্ত করা অবশ্যই আমাদের উচিত হবে না। তারা আলাদা থাকতে চাইলে সেটিকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত।”

বি. দ্র.: নভেম্বর ২৭, ২০১৮ তারিখে বিবিসির অনলাইন সংস্করণে 'The man who spent decades befriending isolated Sentinelese tribe' নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন স্বামীনতন নটরজান (Swaminathan Natarajan)। ওই রিপোর্টের আলোকে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

সেন্টিনেলিজ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে হাজার বছর ধরে বিচ্ছিন্ন রহস্যময় জাতি

প্রকাশ: ১০:৫৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

ভারতের শাসনাধীন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Andaman and Nicobar Islands) সম্পর্কে সকলেই জানেন। এই দ্বীপের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে নানান রকমের তথ্য পাওয়া যায়। রহস্য দিয়ে ঘেরা এই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এক অদ্ভুত ও রহস্যময় জাতি আছে যারা এই আধুনিক বিশ্ব থেকে একদমই বিচ্ছিন্ন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসরত অদ্ভুত এই জাতির নাম হলো সেন্টিনেলিজ (Sentinelese)।

কেমন জাতি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সেন্টিনেলিজ?

ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে ৬০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সবার অগোচরে বসবাস করছে একটি আদিবাসী গোত্র, সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসকারী এই গোত্রের মানুষজনকে ডাকা হয় সেন্টিনেলিজ নামে। সেন্টিনেলিজিরা কাপড় পরে না। এই গোত্রটি সম্পর্কে খুবই কম জানা গেছে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষের নিকট এক প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে, সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দারা হলো প্রকৃতপক্ষে পাঠান দণ্ডপ্রাপ্তরা, যারা ব্রিটিশ কারাগার থেকে পালিয়ে দ্বীপটিতে লুকিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, পাঠান হলো আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একটি গোত্র।

আন্দামান দ্বীপের সেন্টিনেলিজ নামের এই রহস্যময় আদিবাসী গোত্র সম্পর্কে সত্তরের দশক থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন ভারতের টি. এন. পন্ডিত নামের একজন গবেষক এবং তাঁর সহকর্মীরা। ১৯৯১ সালে টি. এন. পণ্ডিত তাঁর দলকে নিয়ে সেন্টিনেলিজ জাতি সম্পর্কে অনুসন্ধানে কিছুটা সাফল্য লাভ করেন, তবে পুরোপুরি জানতে পারেননি। জনাব পণ্ডিত সেখানে সেন্টিনেলিজদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। যেমন, তাদের জন্য শুকর ও নারিকেল উপহার হিসেবে নিয়ে যাওয়া, ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি বোঝার জন্য পার্শ্ববর্তী দ্বীপের কিছু লোকজন নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। টি. এন. পণ্ডিত ও তাঁর দলের উপহার নারিকেল গ্রহণ করেছিল কিন্তু শূকর মেরে ফেলে পুতে দেয়। তবে এই গবেষকদলের কেউই দ্বীপে ওঠার অনমতি পায়নি। আন্দামান দ্বীপে কাপড় বিহীন এই সেন্টিনেলিজ গোত্র সম্পর্কে এখন এরকম উপহার দেওয়ার মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সরকার। 

টি. এন. পণ্ডিতের দেওয়া নারিকেল সংগ্রহে ব্যস্ত সেন্টিনেলিজ সদস্যরা
টি. এন. পণ্ডিতের দেওয়া নারিকেল সংগ্রহে ব্যস্ত সেন্টিনেলিজ সদস্যরা

সেন্টিনেলিজরা খুব লম্বাও নয়, খুব খাটোও নয়। তারা সব সময় তীর ধনুক বহন করে। এই আদিবাসী গোত্রের লোকজন তীর ধনুক দিয়ে মাছ শিকার করে। বুনো শুকর, শিকড়, বনের ফলমূল আর মধু তাদের প্রধান খাবার। তবে সেন্টিনেলিজ জাতির লোকেরা সাগরে চলাচলকারী লোকজনের কাছে পরিচিত নন। এসব লোকের তীর-ধনুক বহন করার আরেকটি কারণ হলো যাতে বাইরের কেউ তাদের দ্বীপে প্রবেশ না করতে পারে। নিজেদের এলাকার ব্যাপারে এই বাসিন্দারা খুবই রক্ষণশীল এবং বাইরের কাউকে পেলেই তারা আক্রমণ করে থাকে।

২০০৬ সালে দুই জন জেলে উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপের কাছাকাছি গেলে আদিবাসীদের হামলায় নিহত হয়। ২০০৪ সালের সুনামির পর যখন ভারতীয় কর্মকর্তারা দ্বীপটির ওপর আকাশ থেকে জরিপ করার চেষ্টা করে, তখন দ্বীপের একজন বাসিন্দা তীর ছুড়ে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করার চেষ্টা চালায়।

বর্ণিল ইতিহাস

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে মূলত চারটি আফ্রিকার উপজাতি গোত্র বাস করে। গ্রেট আন্দামানিজ, অনেজ, জারাওয়া এবং সেন্টিনেলিজ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বাস করে দুইটি মঙ্গোলয়েড গোত্র-শোম্পেন এবং নিকোবারিজ।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর এই দ্বীপে একটি কারা কলোনি স্থাপন করে, যেখানে বন্দীদের আটকে রাখা হতো। কিছুদিন পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেই তাদের লড়াই শুরু হয়ে যায়।

ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী বাহিনীর সঙ্গে গ্রেটার আন্দামালিজ বাহিনীর সঙ্গে প্রথম লড়াই হয় ১৮৫৯ সালে, যার ফলাফল সহজেই ধারণা করা যেতে পারে।

যুদ্ধ এবং রোগের বিস্তারের কারণে স্থানীয় গোত্রগুলোয় দ্রুত জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। তবে সেন্টিনেলরা বাস করতো একটি দূরের দ্বীপে, ফলে এই দ্বীপের বাসিন্দা ঔপনিবেশিক শাসনের আওতার বাইরে থেকে যায়।

সেন্টিনেলিজদের সহিংসতা

টি. এন. পণ্ডিতের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সেন্টিনেলিজদের সহিংসতার প্রবণতা এখনো রয়ে গেছে। সেন্টিনেলিজরা একটি শান্তিপ্রিয় জাতি ছিল। তারা মানুষজনের ওপর হামলা করত না। তারা আশেপাশের এলাকায় কখনো যেত না বা কারো সাথে ঝামেলাও তৈরি করতো না। এটা আসলে একটা বিরল ঘটনা। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড এই এলাকার আশেপাশে নিয়মিত টহল দিতে চায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাঝেমাঝে এরকম অনুপ্রবেশ ঘটে এবং আমেরিকান এই পর্যটকের অনেক মানুষজন দ্বীপটিতে চলে যান।

টিএন পণ্ডিত মনে করেন, আরও দ্বীপবাসীদের জন্যে যোগাযোগের উদ্যোগ শুরু করা উচিত।

টি. এন. পণ্ডিতের ভাষায়, ”আমাদের অবশ্যই আবারো চেষ্টা করা উচিত এবং তাদের সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ শুরু করা উচিত। কিন্তু তাদের বিরক্ত করা অবশ্যই আমাদের উচিত হবে না। তারা আলাদা থাকতে চাইলে সেটিকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত।”

বি. দ্র.: নভেম্বর ২৭, ২০১৮ তারিখে বিবিসির অনলাইন সংস্করণে 'The man who spent decades befriending isolated Sentinelese tribe' নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন স্বামীনতন নটরজান (Swaminathan Natarajan)। ওই রিপোর্টের আলোকে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।