১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

মাইন্ড ম্যাপিং কী? মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা কী?

শেহনাজ ইসলাম মুক্তি
  • প্রকাশ: ০১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৮৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

মাইন্ড ম্যাপিং কী? মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা কী?


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

অংশগ্রহণমূলক শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত সমস্যা সমাধান পদ্ধতির একটি উপ-পদ্ধতি হলো মাইন্ড ম্যাপিং (Mind Mapping)। তথ্যবিশ্বের জ্ঞানকে একটি যৌক্তিক কাঠামোয় এনে শিক্ষার্থীদের ধারণায় অর্থপূর্ণভাবে সঞ্চালন ঘটাতে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মাইন্ড ম্যাপিং কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় কোনো মূল ধারণা থেকে ক্রমাগত উপ-ধারণায় অর্থপূর্ণ এবং যৌক্তিক কাঠামো মেনে বিশ্লেষণ করা হয় তাকে মাইন্ড ম্যাপিং বলে। মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিকে শুধু মাইন্ড ম্যাপ (Mind Map) বলা হয়েও থাকে।

দেখা যায়, মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক একটি পদ্ধতি বটে। মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এককভাবে, জোড়ায় অথবা দলীয়ভাবেও কাজ করতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে শিক্ষকের পরিকল্পনার উপর।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠতর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুযোগ থাকে;
  • মাইন্ড ম্যাপিং শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়;
  • এতে কর্মতৎপরতায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়ে; 
  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর ধারণা-কাঠামো তৈরি হয়;
  • শিক্ষার্থীর বহু-ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার হয়; 
  • শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ে; 
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়;
  • শিখন প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্দৃষ্টি জাগে ও সামগ্রিক শিখন হয়।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার কৌশল

এই পদ্ধতির ব্যবহার কৌশলে কিছুটা বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে প্রধানত দলগতভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। ব্যবহার কৌশল বিষয়ে শিক্ষককে নিম্নবর্ণিত ধারাক্রম অনুসরণ করতে হয়।

  • সমস্যা চিহ্নিত করা বা সমস্যার অংশ নির্বাচন করা।
  • সমস্যার সাথে জড়িত তথ্যগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা।
  • শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দলে ভাগ করা।
  • প্রতি দলে একই কাজ অথবা ভিন্ন ভিন্ন কাজ দেওয়া।
  • দলীয় কাজ শ্রেণিতে উপস্থাপনের জন্য পোস্টার পেপারে লিখতে বলা।
  • কাজ চলা অবস্থায় শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা প্রদান করা।
  • দলীয় কাজের কাঠামোবদ্ধ রূপ শ্রেণিতে উপস্থাপন করা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- কোনো একটি কবিতার সারাংশ তৈরি করতে শিক্ষক কবিতা আবৃত্তি ও কবিতার বিষয়কেন্দ্রিক মিনি লেকচার দেবার পর, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কবিতা থেকে কিছু তাৎপর্যমন্ডিত শব্দ নির্বাচন করে বোর্ডে লিখে দিতে পারেন এবং ঐ শব্দগুলোর ভিত্তিতে কবিতার বিষয়বস্তু বা মূলভাব বা সারাংশ লিখতে দিতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে বোর্ডে লিখিত ঐ শব্দগুলো শিক্ষার্থীদের ধারণার জগতে কবিতাটি সম্পর্কে একটি কাঠামো তৈরি করবে এবং শব্দগুলোর আন্তঃসম্পর্ক বিচার বিশ্লেষণের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন কবিতার বিষয়বস্তু বিনির্মাণ করবে তখন তাদের পূর্ববর্তী ধারণার মধ্যে সুস্পষ্টতা আসবে এবং শিখন অর্থপূর্ণ হবে।

উপরিউক্ত কৌশলগুলোর সঙ্গে কার্যক্ষেত্রে শিক্ষক নিচের সহায়ক ইঙ্গিতগুলোর ব্যবহার করতে পারেন।

  • মাইন্ড ম্যাপের তথ্যগুলো লিখতে বিভিন্ন রঙের কালির/চকের ব্যবহার করা উচিত।
  • মাইন্ড ম্যাপে কেবল তথ্যমূলক বৃত্ত নয় বরং এর বদলে রেখা, নকশা, ডায়াগ্রাম, বৃক্ষ, মাকড় মানচিত্র, শিকল মানচিত্র প্রভৃতি কাঠামোও ব্যবহৃত হতে পারে।
  • দাগ টেনে তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তথ্যের সাথে তথ্যের সম্পর্কের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হয়।
  • একটি বাক্যের মূল শব্দটিকে তথ্য হিসেবে বেছে নিতে হবে।
  • তথ্য হিসেবে কেবল শব্দ নির্বাচন করাই শ্রেয়, বাক্য বা বাক্যাংশ নয়।.
  • মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করতে দেয়ার আগে শিক্ষার্থীদেরকে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট এবং সুবোধ্য নির্দেশনা দিতে হবে।
  • দলে কাজ দিলে সামষ্টিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • প্রতি দলে একই কাজ অথবা ভিন্ন ভিন্ন কাজ দেওয়া যায়।
  • মাইন্ড ম্যাপ তৈরি কেবল নির্ধারিত text (অনুচ্ছেদ) এর আলোকেই নয় বরং text ব্যতীত যে-কোন সমস্যামূলক ইস্যূকে কেন্দ্র করেও (মুক্ত চিন্তার প্রতিফলনের উদ্দেশ্যে) দেওয়া যেতে পারে।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির সুবিধা

  • শিক্ষকের পরিশ্রম কম হয়,
  • শিখন দ্রুত হয়,
  • কর্মতৃপ্তি আসে,
  • ফলপ্রসূ সমাধানে উপনীত হওয়া যায়।
মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে সময় বেশি লাগে এবং পদ্ধতির বাস্তবায়ন ব্যবয়বহুলও বটে

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা

  • শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে এই পদ্ধতি ভাল ভাবে কাজে লাগানো যায় না।
  • এতে ফাঁকির প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে নিবিড় কর্মতৎপরতা বজায় না রাখতে পারলে শিক্ষার্থীদের ফাঁকির প্রবণতা বাড়ে।
  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে সময় বেশি লাগে এবং পদ্ধতির বাস্তবায়ন ব্যবয়বহুলও বটে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

মাইন্ড ম্যাপিং কী? মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা কী?

প্রকাশ: ০১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

অংশগ্রহণমূলক শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত সমস্যা সমাধান পদ্ধতির একটি উপ-পদ্ধতি হলো মাইন্ড ম্যাপিং (Mind Mapping)। তথ্যবিশ্বের জ্ঞানকে একটি যৌক্তিক কাঠামোয় এনে শিক্ষার্থীদের ধারণায় অর্থপূর্ণভাবে সঞ্চালন ঘটাতে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মাইন্ড ম্যাপিং কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় কোনো মূল ধারণা থেকে ক্রমাগত উপ-ধারণায় অর্থপূর্ণ এবং যৌক্তিক কাঠামো মেনে বিশ্লেষণ করা হয় তাকে মাইন্ড ম্যাপিং বলে। মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিকে শুধু মাইন্ড ম্যাপ (Mind Map) বলা হয়েও থাকে।

দেখা যায়, মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক একটি পদ্ধতি বটে। মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এককভাবে, জোড়ায় অথবা দলীয়ভাবেও কাজ করতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে শিক্ষকের পরিকল্পনার উপর।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠতর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুযোগ থাকে;
  • মাইন্ড ম্যাপিং শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতা বাড়ায়;
  • এতে কর্মতৎপরতায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়ে; 
  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর ধারণা-কাঠামো তৈরি হয়;
  • শিক্ষার্থীর বহু-ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার হয়; 
  • শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ে; 
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়;
  • শিখন প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্দৃষ্টি জাগে ও সামগ্রিক শিখন হয়।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার কৌশল

এই পদ্ধতির ব্যবহার কৌশলে কিছুটা বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে প্রধানত দলগতভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। ব্যবহার কৌশল বিষয়ে শিক্ষককে নিম্নবর্ণিত ধারাক্রম অনুসরণ করতে হয়।

  • সমস্যা চিহ্নিত করা বা সমস্যার অংশ নির্বাচন করা।
  • সমস্যার সাথে জড়িত তথ্যগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা।
  • শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দলে ভাগ করা।
  • প্রতি দলে একই কাজ অথবা ভিন্ন ভিন্ন কাজ দেওয়া।
  • দলীয় কাজ শ্রেণিতে উপস্থাপনের জন্য পোস্টার পেপারে লিখতে বলা।
  • কাজ চলা অবস্থায় শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা প্রদান করা।
  • দলীয় কাজের কাঠামোবদ্ধ রূপ শ্রেণিতে উপস্থাপন করা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- কোনো একটি কবিতার সারাংশ তৈরি করতে শিক্ষক কবিতা আবৃত্তি ও কবিতার বিষয়কেন্দ্রিক মিনি লেকচার দেবার পর, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কবিতা থেকে কিছু তাৎপর্যমন্ডিত শব্দ নির্বাচন করে বোর্ডে লিখে দিতে পারেন এবং ঐ শব্দগুলোর ভিত্তিতে কবিতার বিষয়বস্তু বা মূলভাব বা সারাংশ লিখতে দিতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে বোর্ডে লিখিত ঐ শব্দগুলো শিক্ষার্থীদের ধারণার জগতে কবিতাটি সম্পর্কে একটি কাঠামো তৈরি করবে এবং শব্দগুলোর আন্তঃসম্পর্ক বিচার বিশ্লেষণের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন কবিতার বিষয়বস্তু বিনির্মাণ করবে তখন তাদের পূর্ববর্তী ধারণার মধ্যে সুস্পষ্টতা আসবে এবং শিখন অর্থপূর্ণ হবে।

উপরিউক্ত কৌশলগুলোর সঙ্গে কার্যক্ষেত্রে শিক্ষক নিচের সহায়ক ইঙ্গিতগুলোর ব্যবহার করতে পারেন।

  • মাইন্ড ম্যাপের তথ্যগুলো লিখতে বিভিন্ন রঙের কালির/চকের ব্যবহার করা উচিত।
  • মাইন্ড ম্যাপে কেবল তথ্যমূলক বৃত্ত নয় বরং এর বদলে রেখা, নকশা, ডায়াগ্রাম, বৃক্ষ, মাকড় মানচিত্র, শিকল মানচিত্র প্রভৃতি কাঠামোও ব্যবহৃত হতে পারে।
  • দাগ টেনে তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তথ্যের সাথে তথ্যের সম্পর্কের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হয়।
  • একটি বাক্যের মূল শব্দটিকে তথ্য হিসেবে বেছে নিতে হবে।
  • তথ্য হিসেবে কেবল শব্দ নির্বাচন করাই শ্রেয়, বাক্য বা বাক্যাংশ নয়।.
  • মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করতে দেয়ার আগে শিক্ষার্থীদেরকে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট এবং সুবোধ্য নির্দেশনা দিতে হবে।
  • দলে কাজ দিলে সামষ্টিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • প্রতি দলে একই কাজ অথবা ভিন্ন ভিন্ন কাজ দেওয়া যায়।
  • মাইন্ড ম্যাপ তৈরি কেবল নির্ধারিত text (অনুচ্ছেদ) এর আলোকেই নয় বরং text ব্যতীত যে-কোন সমস্যামূলক ইস্যূকে কেন্দ্র করেও (মুক্ত চিন্তার প্রতিফলনের উদ্দেশ্যে) দেওয়া যেতে পারে।

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির সুবিধা

  • শিক্ষকের পরিশ্রম কম হয়,
  • শিখন দ্রুত হয়,
  • কর্মতৃপ্তি আসে,
  • ফলপ্রসূ সমাধানে উপনীত হওয়া যায়।
মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে সময় বেশি লাগে এবং পদ্ধতির বাস্তবায়ন ব্যবয়বহুলও বটে

মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা

  • শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে এই পদ্ধতি ভাল ভাবে কাজে লাগানো যায় না।
  • এতে ফাঁকির প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে নিবিড় কর্মতৎপরতা বজায় না রাখতে পারলে শিক্ষার্থীদের ফাঁকির প্রবণতা বাড়ে।
  • মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে সময় বেশি লাগে এবং পদ্ধতির বাস্তবায়ন ব্যবয়বহুলও বটে।