০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
                       

শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ০৬:২৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৭৫৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

পাঠকে ফলপ্রসূ করার জন্য শিক্ষক পরিস্থিতি অনুসারে একাধিক পদ্ধতি ও কৌশলের সংমিশ্রণে নিজের মতো করে পাঠ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠের সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষকের বিচক্ষণতা এবং বিষয়জ্ঞান ও শিখন পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগের উপর।

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব হলো বিষয়বস্তু অনুযায়ী শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বিকাশ সাধন। শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল শিক্ষাক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিতকরণ, অর্থাৎ শিখনফল অর্জন প্রধানত দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হচ্ছে শ্রেণিশিক্ষকের সক্রিয় সহযোগিতা ও যথোপযুক্ত শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশলের সুষ্ঠু প্রয়োগ। উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায়, শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষকের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অনেক কঠিন ও জটিল কাজ যা করার জন্য অনেক শ্রম ও সময় প্রয়োজন তা যথোচিত পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগে সহজে ও কম সময়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। শিক্ষার্থীর শিখনের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য। শিক্ষক পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে কম পরিশ্রমে এবং অপেক্ষাকৃত কম সময়ে যথোচিত পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগে শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জন নিশ্চিত করতে পারেন।

পদ্ধতি ও কৌশল (Method and Techniques)

শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল অনেক ধরনের। এর কয়েকটি শিক্ষককেন্দ্রিক এবং কয়েকটি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ শিক্ষালাভে সহায়ক। সব পদ্ধতিরই কমবেশি সুবিধা ও অসুবিধা আছে। এমন কোনো পদ্ধতি বা কৌশল নেই যেটি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমভাবে উপযোগী বা সব ধরনের বিষয়বস্তুর জন্য উপযোগী। শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে একটি পাঠ পরিচালনায় শিক্ষককে এক বা একাধিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয়। পাঠকে ফলপ্রসূ করার জন্য শিক্ষক পরিস্থিতি অনুসারে একাধিক পদ্ধতি ও কৌশলের সংমিশ্রণে নিজের মতো করে পাঠ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠের সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষকের বিচক্ষণতা এবং বিষয়জ্ঞান ও শিখন পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগের উপর। এজন্য বলা হয় শিক্ষকই সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি।

পদ্ধতি (Method)

পদ্ধতি বা মেথড (Method) হলো কোনও কিছু করার নির্ধারিত উপায়, প্রক্রিয়া বা পথ। উপযুক্ত প্রক্রিয়া ব্যতীত কোনো কাজ সম্পাদন করলে তা যথাযথ হয় না। পাঠদান পদ্ধতি হলো পাঠদানের প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া হবে যথাযথ ওকার্যকর অর্থাৎ শিখনফল অর্জন উপযোগী। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু, শিক্ষক, শিক্ষার্থী পারস্পারিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠের লক্ষ্যও উদ্দেশ্য অর্জনের প্রক্রিয়াই হলো পদ্ধতি। শিক্ষক যে প্রক্রিয়ায় সার্থক, ফলপ্রসু, কার্যকর পাঠদান করেন, শিখনফল অর্জন করেন তাকে পদ্ধতি বলে। 

সুষ্ঠু শিক্ষাদান পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Teaching Methods)

  • পদ্ধতি হবে লক্ষ্য ভিত্তিক। প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিয়ে লক্ষ্যের অনুকূলে বিষয়বস্তু উপস্থাপন ও লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। সর্বশেষ লক্ষ্য অর্জন ও নির্ণয়ের জন্য যথাযথ মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রয়োগে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো।
  • পদ্ধতি প্রয়োগ কখনও এলোমেলো হতে পারবে না, পদ্ধতি হতে হবে সুপরিকল্পিত।
  • পদ্ধতি হতে হবে মনোবিজ্ঞান ভিত্তিক। শিক্ষার্থীর বয়স, সামর্থ্য, আগ্রহ, ইচ্ছা ও অভিরুচি অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা বাঞ্ছনীয়।
  • এটি হবে কর্মভিত্তিক। সার্থক পদ্ধতি সমাজ ও জীবনভিত্তিক উপাদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। শিক্ষার্থীর সমস্ত জ্ঞানার্জনই জীবনের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধাবিত।
  • বিষয়ের ভিন্নতার দিকে যেমন নজর রাখেন তেমনি সমগ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রতি তার দৃষ্টি সদা জাগ্রত থাকে। মেধা, গড় মেধা ও উচ্চ মেধা তিন শ্রেণির প্রতি সমান দৃষ্টি রেখে তিনি শিক্ষা প্রদান করেন।
  • উত্তম পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থীর মনকে যুক্তিও চিন্তাধর্মী করে তোলা। শিশুর মন যুক্তি ও বিচারধর্মী থাকে না। শিক্ষার্থী বড়ো হওয়ার সাথে সাথে তার ভিতরে ধীরে ধীরে যুক্তি ও বিচারবুদ্ধি জাগ্রত হয়। প্রাথমিক স্তরে মূর্ত বিষয় দিয়ে শুরু করে পরবর্তী উচ্চতর স্তরে বিমূর্ত বিষয়ের অবতারণা করা উচিত।

শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত পদ্ধতি ও কৌশলের উপর। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও প্রবণতা এবং পাঠের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করা প্রয়োজন। পদ্ধতি ও কৌশল সঠিক হলে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে শিক্ষার্থী সহজে শিখতে পারে।

শিক্ষক কেন্দ্রিক (Teacher Centered Methods)

সনাতন এ পদ্ধতিতে শুধু শিক্ষকেরই প্রাধান্য থাকে, তিনি একনায়ক পন্থায় গতানুগতিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও জ্ঞান সরবরাহ করে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। প্রশ্নের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে তথ্য বের করে আনতে পারেন। যে পন্থাই অবলম্বন করেন না কেন শিক্ষক যখন কেন্দ্র বিন্দুতে থেকে শ্রেণি পরিচালনা করেন তখন শিক্ষার্থীরা পরোক্ষ শিখনে উদ্বুদ্ধ হয়, শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নির্দেশিত গে․ণ ভূমিকা পালন করে তা শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতির অন্তর্গত।

শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতির একটি উদাহারণ

শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষণীয় উপদানগুলো নিজের মতো করে সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। শিক্ষার্থীদের সরাসরি শিক্ষণীয় উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্ক থাকে না। বিষয়বস্তুর সাথে পরোক্ষভাবে শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে দাতা গ্রহীতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক- শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী মিথষ্ক্রিয়া হয় না।

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি (Student Centered methods)

শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি বহুবিধ। এখানে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার কয়েকটিপদ্ধতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলো। তবে শিক্ষকের অধিক সংখ্যক পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি যে ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি উপযোগি তা প্রয়োগ করতে পারেন।

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পদ্ধতির একটি উদাহরণ

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী শিক্ষনীয় উপদানগুলো নিজের মতো করে সাজিয়ে শেখে। শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি শিক্ষণীয় উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্ক থাকে। বিষয়বস্তুর সাথে প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষকের সহচর্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক- শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী মিথষ্ক্রিয়া হয়। শিখনের একজন সহায়ক বা ফ্যাসিলিটেইটর (Facilitator) হিসেবে কাজ করেন। তারা শিখন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দায়িত্বশীল হন, কিন্তু শিখন ফলাফল তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

কৌশল (Techniques)

শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত পদ্ধতি ও কৌশলের উপর। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও প্রবণতা এবং পাঠের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করা প্রয়োজন। পদ্ধতি ও কৌশল সঠিক হলে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে শিক্ষার্থী সহজে শিখতে পারে।

সফল ও সার্থক পাঠদানের জন্য শিক্ষককে যে-কোনো পদ্ধতি বা পদ্ধতির অংশ যে কোনো সময় প্রয়োগ করতে হয়, শিক্ষক একটি বা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে পাঠদান করেন না, পরিস্থিতি অনুযায়ী নানা কৌশল প্রয়োগ করে সফল পাঠদান প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হন; এগুলো হলো পাঠদানের কৌশল।

পদ্ধতির সফল ও যথোপযুক্ত প্রয়োগের জন্য শিক্ষক যে সকল কৌশল ব্যবহার করেন তাকে পাঠদানের কৌশল বলে।

এখানে পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক হাতিয়ার বা কৌশল ব্যবহার করেন। পাঠদানে কোনো

পদ্ধতি এককভাবে ব্যবহৃত না হয়ে কখনো কখনো কৌশল আবার কখনো কখনো কৌশল, পদ্ধতিতে রুপ নেয়।

শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য।
শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য।

সার্থক শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের বিবেচ্য দিক- 

  • শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা মানসিক সক্রিয়তা ও দৈহিক সক্রিয়তা। শিক্ষা লাভ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীকে সক্রিয় রাখা গেলে কম সময়ে ও সহজে শিখন সম্ভব।
  • শিক্ষক কখন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করবেন, এটি তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তবে শিক্ষার্থীর মন ও চিন্তার স্বাধীনতার বিষয়টি স্মরণ রাখতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর মনোযোগ ধরে রাখা এজন্য শ্রেণি কার্যক্রম হবে বৈচিত্র্যপূর্ণ।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার নিজের মতো করে নিজ গতিতে শেখে। তাই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের কথা বিবেচনায় রেখে যথাসম্ভব শিক্ষার্থীর উপযোগী উপায়ে সহযোগিতা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীর পক্ষে শিক্ষালাভ সহজ হয়। 
  • পূর্ব লব্ধ জ্ঞান, দক্ষতার সাথে সংযোগ স্থাপন করে নতুন জ্ঞান, দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হলে শিক্ষা লাভ সহজ হয়।
  • শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা বুঝে শিখবে। কোন বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করবে।
  • না বুঝে মুখস্থ করা যথার্থ শিক্ষা নয়। এতে শিখনের সঞ্চালন হয় না।
  • শিখনকে স্থায়ীকরণের জন্য প্রয়োজন অনুশীলনের ব্যবস্থা। নতুনভাবে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা বারবার অনুশীলন করা হলে একদিকে যেমন শিখন স্থায়ী হয়, অন্যদিকে শিখন সঞ্চালনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
  • শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • শিক্ষকের বিশ্বাস থাকতে হবে যে, তাঁর সকল শিক্ষার্থীই শেখার সামর্থ্য সম্পন্ন।
  • সবার শেখার উপায় ও গতির মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, তবে উপযুক্ত পরিবেশ ও সহযোগিতা পেলে সবাই শেখে।

কতগুলো পদ্ধতি

বক্তৃতা পদ্ধতি, আলোচনা, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি : (প্রশ্ন-উত্তর পদ্ধতি, সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি, ওয়ার্কশ, সমস্যা সমাধান পদ্ধতি, প্রকল্প পদ্ধতি, অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতি, পোস্ট বক্স, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি, সংশ্লেষণ পদ্ধতি, মাইক্রোটিচিং, আরোহী, অবোরহী, বিশ্লেষণ)

কতগুলো কৌশল

একক কাজ, জোড়ায় কাজ, দলীয় কাজ, নির্ধারিত কাজ, মার্কেট প্লেস, মৎস্যপাত্র, পোস্ট বক্স, VIPP CARD, শোনা এবং পর্যবেক্ষণ করা, স্নোবলিং (Snowballing), ভূমিকা পালন, সাক্ষাৎকার, মাথা খাটানো, এক্সপার্ট জিগস, মাইন্ড ম্যাপিং Buzz-groups, আইসব্রেকিং (Ice Breaking)।

শেয়ার করুন

2 thoughts on “শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল

  1. শিখন শেখানো কার্যক্রমে বাস্তববাদের ভূমিকা কি?

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল

প্রকাশ: ০৬:২৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব হলো বিষয়বস্তু অনুযায়ী শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বিকাশ সাধন। শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল শিক্ষাক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিতকরণ, অর্থাৎ শিখনফল অর্জন প্রধানত দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হচ্ছে শ্রেণিশিক্ষকের সক্রিয় সহযোগিতা ও যথোপযুক্ত শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশলের সুষ্ঠু প্রয়োগ। উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায়, শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষকের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অনেক কঠিন ও জটিল কাজ যা করার জন্য অনেক শ্রম ও সময় প্রয়োজন তা যথোচিত পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগে সহজে ও কম সময়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। শিক্ষার্থীর শিখনের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য। শিক্ষক পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে কম পরিশ্রমে এবং অপেক্ষাকৃত কম সময়ে যথোচিত পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগে শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জন নিশ্চিত করতে পারেন।

পদ্ধতি ও কৌশল (Method and Techniques)

শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল অনেক ধরনের। এর কয়েকটি শিক্ষককেন্দ্রিক এবং কয়েকটি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ শিক্ষালাভে সহায়ক। সব পদ্ধতিরই কমবেশি সুবিধা ও অসুবিধা আছে। এমন কোনো পদ্ধতি বা কৌশল নেই যেটি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমভাবে উপযোগী বা সব ধরনের বিষয়বস্তুর জন্য উপযোগী। শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে একটি পাঠ পরিচালনায় শিক্ষককে এক বা একাধিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয়। পাঠকে ফলপ্রসূ করার জন্য শিক্ষক পরিস্থিতি অনুসারে একাধিক পদ্ধতি ও কৌশলের সংমিশ্রণে নিজের মতো করে পাঠ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠের সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষকের বিচক্ষণতা এবং বিষয়জ্ঞান ও শিখন পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগের উপর। এজন্য বলা হয় শিক্ষকই সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি।

পদ্ধতি (Method)

পদ্ধতি বা মেথড (Method) হলো কোনও কিছু করার নির্ধারিত উপায়, প্রক্রিয়া বা পথ। উপযুক্ত প্রক্রিয়া ব্যতীত কোনো কাজ সম্পাদন করলে তা যথাযথ হয় না। পাঠদান পদ্ধতি হলো পাঠদানের প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া হবে যথাযথ ওকার্যকর অর্থাৎ শিখনফল অর্জন উপযোগী। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু, শিক্ষক, শিক্ষার্থী পারস্পারিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠের লক্ষ্যও উদ্দেশ্য অর্জনের প্রক্রিয়াই হলো পদ্ধতি। শিক্ষক যে প্রক্রিয়ায় সার্থক, ফলপ্রসু, কার্যকর পাঠদান করেন, শিখনফল অর্জন করেন তাকে পদ্ধতি বলে। 

সুষ্ঠু শিক্ষাদান পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Teaching Methods)

  • পদ্ধতি হবে লক্ষ্য ভিত্তিক। প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিয়ে লক্ষ্যের অনুকূলে বিষয়বস্তু উপস্থাপন ও লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। সর্বশেষ লক্ষ্য অর্জন ও নির্ণয়ের জন্য যথাযথ মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রয়োগে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো।
  • পদ্ধতি প্রয়োগ কখনও এলোমেলো হতে পারবে না, পদ্ধতি হতে হবে সুপরিকল্পিত।
  • পদ্ধতি হতে হবে মনোবিজ্ঞান ভিত্তিক। শিক্ষার্থীর বয়স, সামর্থ্য, আগ্রহ, ইচ্ছা ও অভিরুচি অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা বাঞ্ছনীয়।
  • এটি হবে কর্মভিত্তিক। সার্থক পদ্ধতি সমাজ ও জীবনভিত্তিক উপাদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। শিক্ষার্থীর সমস্ত জ্ঞানার্জনই জীবনের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধাবিত।
  • বিষয়ের ভিন্নতার দিকে যেমন নজর রাখেন তেমনি সমগ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রতি তার দৃষ্টি সদা জাগ্রত থাকে। মেধা, গড় মেধা ও উচ্চ মেধা তিন শ্রেণির প্রতি সমান দৃষ্টি রেখে তিনি শিক্ষা প্রদান করেন।
  • উত্তম পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থীর মনকে যুক্তিও চিন্তাধর্মী করে তোলা। শিশুর মন যুক্তি ও বিচারধর্মী থাকে না। শিক্ষার্থী বড়ো হওয়ার সাথে সাথে তার ভিতরে ধীরে ধীরে যুক্তি ও বিচারবুদ্ধি জাগ্রত হয়। প্রাথমিক স্তরে মূর্ত বিষয় দিয়ে শুরু করে পরবর্তী উচ্চতর স্তরে বিমূর্ত বিষয়ের অবতারণা করা উচিত।

শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত পদ্ধতি ও কৌশলের উপর। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও প্রবণতা এবং পাঠের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করা প্রয়োজন। পদ্ধতি ও কৌশল সঠিক হলে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে শিক্ষার্থী সহজে শিখতে পারে।

শিক্ষক কেন্দ্রিক (Teacher Centered Methods)

সনাতন এ পদ্ধতিতে শুধু শিক্ষকেরই প্রাধান্য থাকে, তিনি একনায়ক পন্থায় গতানুগতিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও জ্ঞান সরবরাহ করে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। প্রশ্নের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে তথ্য বের করে আনতে পারেন। যে পন্থাই অবলম্বন করেন না কেন শিক্ষক যখন কেন্দ্র বিন্দুতে থেকে শ্রেণি পরিচালনা করেন তখন শিক্ষার্থীরা পরোক্ষ শিখনে উদ্বুদ্ধ হয়, শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নির্দেশিত গে․ণ ভূমিকা পালন করে তা শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতির অন্তর্গত।

শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতির একটি উদাহারণ

শিক্ষক কেন্দ্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষণীয় উপদানগুলো নিজের মতো করে সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। শিক্ষার্থীদের সরাসরি শিক্ষণীয় উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্ক থাকে না। বিষয়বস্তুর সাথে পরোক্ষভাবে শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে দাতা গ্রহীতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক- শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী মিথষ্ক্রিয়া হয় না।

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি (Student Centered methods)

শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি বহুবিধ। এখানে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার কয়েকটিপদ্ধতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলো। তবে শিক্ষকের অধিক সংখ্যক পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি যে ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি উপযোগি তা প্রয়োগ করতে পারেন।

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পদ্ধতির একটি উদাহরণ

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী শিক্ষনীয় উপদানগুলো নিজের মতো করে সাজিয়ে শেখে। শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি শিক্ষণীয় উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্ক থাকে। বিষয়বস্তুর সাথে প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষকের সহচর্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষক- শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী মিথষ্ক্রিয়া হয়। শিখনের একজন সহায়ক বা ফ্যাসিলিটেইটর (Facilitator) হিসেবে কাজ করেন। তারা শিখন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দায়িত্বশীল হন, কিন্তু শিখন ফলাফল তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

কৌশল (Techniques)

শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক কর্তৃক পরিচালিত পদ্ধতি ও কৌশলের উপর। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও প্রবণতা এবং পাঠের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পদ্ধতি ও কৌশল নির্বাচন করা প্রয়োজন। পদ্ধতি ও কৌশল সঠিক হলে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে শিক্ষার্থী সহজে শিখতে পারে।

সফল ও সার্থক পাঠদানের জন্য শিক্ষককে যে-কোনো পদ্ধতি বা পদ্ধতির অংশ যে কোনো সময় প্রয়োগ করতে হয়, শিক্ষক একটি বা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে পাঠদান করেন না, পরিস্থিতি অনুযায়ী নানা কৌশল প্রয়োগ করে সফল পাঠদান প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হন; এগুলো হলো পাঠদানের কৌশল।

পদ্ধতির সফল ও যথোপযুক্ত প্রয়োগের জন্য শিক্ষক যে সকল কৌশল ব্যবহার করেন তাকে পাঠদানের কৌশল বলে।

এখানে পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক হাতিয়ার বা কৌশল ব্যবহার করেন। পাঠদানে কোনো

পদ্ধতি এককভাবে ব্যবহৃত না হয়ে কখনো কখনো কৌশল আবার কখনো কখনো কৌশল, পদ্ধতিতে রুপ নেয়।

শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য।
শিক্ষকের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের উপর দক্ষতা এবং শ্রেণি ও পাঠ উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের যথাযথ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর শিখন সাফল্য।

সার্থক শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের বিবেচ্য দিক- 

  • শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা মানসিক সক্রিয়তা ও দৈহিক সক্রিয়তা। শিক্ষা লাভ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীকে সক্রিয় রাখা গেলে কম সময়ে ও সহজে শিখন সম্ভব।
  • শিক্ষক কখন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করবেন, এটি তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তবে শিক্ষার্থীর মন ও চিন্তার স্বাধীনতার বিষয়টি স্মরণ রাখতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর মনোযোগ ধরে রাখা এজন্য শ্রেণি কার্যক্রম হবে বৈচিত্র্যপূর্ণ।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার নিজের মতো করে নিজ গতিতে শেখে। তাই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের কথা বিবেচনায় রেখে যথাসম্ভব শিক্ষার্থীর উপযোগী উপায়ে সহযোগিতা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীর পক্ষে শিক্ষালাভ সহজ হয়। 
  • পূর্ব লব্ধ জ্ঞান, দক্ষতার সাথে সংযোগ স্থাপন করে নতুন জ্ঞান, দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হলে শিক্ষা লাভ সহজ হয়।
  • শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা বুঝে শিখবে। কোন বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করবে।
  • না বুঝে মুখস্থ করা যথার্থ শিক্ষা নয়। এতে শিখনের সঞ্চালন হয় না।
  • শিখনকে স্থায়ীকরণের জন্য প্রয়োজন অনুশীলনের ব্যবস্থা। নতুনভাবে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা বারবার অনুশীলন করা হলে একদিকে যেমন শিখন স্থায়ী হয়, অন্যদিকে শিখন সঞ্চালনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
  • শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • শিক্ষকের বিশ্বাস থাকতে হবে যে, তাঁর সকল শিক্ষার্থীই শেখার সামর্থ্য সম্পন্ন।
  • সবার শেখার উপায় ও গতির মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, তবে উপযুক্ত পরিবেশ ও সহযোগিতা পেলে সবাই শেখে।

কতগুলো পদ্ধতি

বক্তৃতা পদ্ধতি, আলোচনা, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি : (প্রশ্ন-উত্তর পদ্ধতি, সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি, ওয়ার্কশ, সমস্যা সমাধান পদ্ধতি, প্রকল্প পদ্ধতি, অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতি, পোস্ট বক্স, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি, সংশ্লেষণ পদ্ধতি, মাইক্রোটিচিং, আরোহী, অবোরহী, বিশ্লেষণ)

কতগুলো কৌশল

একক কাজ, জোড়ায় কাজ, দলীয় কাজ, নির্ধারিত কাজ, মার্কেট প্লেস, মৎস্যপাত্র, পোস্ট বক্স, VIPP CARD, শোনা এবং পর্যবেক্ষণ করা, স্নোবলিং (Snowballing), ভূমিকা পালন, সাক্ষাৎকার, মাথা খাটানো, এক্সপার্ট জিগস, মাইন্ড ম্যাপিং Buzz-groups, আইসব্রেকিং (Ice Breaking)।