০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত তথ্য

আহমেদ মিন্টো
  • প্রকাশ: ০৩:০২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৭৮৮৫ বার পড়া হয়েছে

যে-কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক কাজ | ছবি: সেবাস্তিয়ান হারম্যান

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Human resource management) হলো একই সঙ্গে একটি অধ্যয়নের বিষয় এবং ব্যবস্থাপনা কৌশল যা কোনো প্রতিষ্ঠানের অভীষ্ঠ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আভ্যন্তরীক মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ওপর আলোকপাত করে।

নিচে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা জনশক্তি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো। এখান থেকে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক/প্রফেশনাল পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে, এগুলো জানা থাকলে উত্তর প্রদান সহজ হবে।

১. কর্মী ব্যবস্থাপনার আধুনিক সংস্কৃরণকৃত মতবাদ হলো মানব সম্পদ/জনশক্তি ব্যবস্থাপনা।

২. কর্মী ব্যবস্থাপনা সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয় আর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।

৩. মানব সম্পদ/জনশক্তি ব্যবস্থাপনার মৌলিক ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।

৪. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিংশ শতাব্দীর চিন্তাধারার ফসল।

৫. স্যার রবার্ট ওয়েন (Sir Robert Owen) কে কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।

৬. হেনরি ফেয়োল ব্যবস্থাপনার জনক।

৭. পিটার এফ. ড্রাকার (Peter F. Drucker) আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক।

৮. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জনক জির্জ এল্টন মেয়ো (George Elton Mayo)

৯. বর্তমানে কর্মী ব্যবস্থাপকগণ পূর্বে Welfare Secretary নামে পরিচিত ছিলেন।

১০. সংগঠনের সকল স্তরের মানবীয় উপদানকে বুঝাতে ১৯৫০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্মী ব্যবস্থাপনার নাম পরিবর্তন করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন করেছে।

১১. প্রতিষ্ঠানের মানবীয় উপাদান সংক্রান্ত সকল কার্যের সমষ্টিকে একত্রে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।

১২. শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন পারিতোষিক ও মজুরী নির্ধারণ, সর্বপরি তাদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রধান দায়িত্ব।

১৩. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান কাজ হলো উন্নত ও দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা।

১৪. যে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা করা হয় তাকে স্টাফিং বলে।

১৫. কার্য বিশ্লেষণ হলো একটি কৌশল যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পথ বা কার্যের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যায়।

১৬. প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তির চাহিদা নিরূপণ ও চাহিদা পুরণের ব্যবস্থা করা হয় তাকে জনশক্তি পরিকল্পনা বলে।

১৭. কর্মী সংগ্রহ হল এক প্রকার কর্মসূচি যার দ্বারা চাকুরী প্রার্থীদের কাজের প্রতি প্রলুব্ধ করা হয়।

১৮. যে পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীদের যাচাই বাছাই করে কাজে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় তাকে কর্মী নির্বাচন বলে।

১৯. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মীদের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা।

২০ সংগঠনের সামগ্রীক কাঠামোগত অবস্থা তুলে ধরার চিত্রকে কার্য নকশা বলে।

২১. বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের প্রতি অধিক প্রলুব্ধ করাকে প্রেষণা বলে।

২২. প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মী ব্যবস্থাপনা- ব্যবস্থাপনা অথবা কর্মী ব্যবস্থাপনার মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সম্পর্ককে শিল্প সম্পর্ক বা শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক বলে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

আহমেদ মিন্টো

মিন্টো একজন ফ্রিল্যান্স লেখক এবং বিশ্লেষণ'র কন্ট্রিবিউটর।

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত তথ্য

প্রকাশ: ০৩:০২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Human resource management) হলো একই সঙ্গে একটি অধ্যয়নের বিষয় এবং ব্যবস্থাপনা কৌশল যা কোনো প্রতিষ্ঠানের অভীষ্ঠ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আভ্যন্তরীক মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ওপর আলোকপাত করে।

নিচে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা জনশক্তি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো। এখান থেকে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক/প্রফেশনাল পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে, এগুলো জানা থাকলে উত্তর প্রদান সহজ হবে।

১. কর্মী ব্যবস্থাপনার আধুনিক সংস্কৃরণকৃত মতবাদ হলো মানব সম্পদ/জনশক্তি ব্যবস্থাপনা।

২. কর্মী ব্যবস্থাপনা সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয় আর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।

৩. মানব সম্পদ/জনশক্তি ব্যবস্থাপনার মৌলিক ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।

৪. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিংশ শতাব্দীর চিন্তাধারার ফসল।

৫. স্যার রবার্ট ওয়েন (Sir Robert Owen) কে কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।

৬. হেনরি ফেয়োল ব্যবস্থাপনার জনক।

৭. পিটার এফ. ড্রাকার (Peter F. Drucker) আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক।

৮. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জনক জির্জ এল্টন মেয়ো (George Elton Mayo)

৯. বর্তমানে কর্মী ব্যবস্থাপকগণ পূর্বে Welfare Secretary নামে পরিচিত ছিলেন।

১০. সংগঠনের সকল স্তরের মানবীয় উপদানকে বুঝাতে ১৯৫০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্মী ব্যবস্থাপনার নাম পরিবর্তন করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন করেছে।

১১. প্রতিষ্ঠানের মানবীয় উপাদান সংক্রান্ত সকল কার্যের সমষ্টিকে একত্রে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।

১২. শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন পারিতোষিক ও মজুরী নির্ধারণ, সর্বপরি তাদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রধান দায়িত্ব।

১৩. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান কাজ হলো উন্নত ও দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা।

১৪. যে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা করা হয় তাকে স্টাফিং বলে।

১৫. কার্য বিশ্লেষণ হলো একটি কৌশল যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পথ বা কার্যের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যায়।

১৬. প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তির চাহিদা নিরূপণ ও চাহিদা পুরণের ব্যবস্থা করা হয় তাকে জনশক্তি পরিকল্পনা বলে।

১৭. কর্মী সংগ্রহ হল এক প্রকার কর্মসূচি যার দ্বারা চাকুরী প্রার্থীদের কাজের প্রতি প্রলুব্ধ করা হয়।

১৮. যে পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীদের যাচাই বাছাই করে কাজে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় তাকে কর্মী নির্বাচন বলে।

১৯. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মীদের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা।

২০ সংগঠনের সামগ্রীক কাঠামোগত অবস্থা তুলে ধরার চিত্রকে কার্য নকশা বলে।

২১. বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের প্রতি অধিক প্রলুব্ধ করাকে প্রেষণা বলে।

২২. প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মী ব্যবস্থাপনা- ব্যবস্থাপনা অথবা কর্মী ব্যবস্থাপনার মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সম্পর্ককে শিল্প সম্পর্ক বা শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক বলে।