অগ্নি বিমা কী? অগ্নি বিমার বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ
- প্রকাশ: ১২:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৪৮৯৬ বার পড়া হয়েছে
সভ্যতার শুরু থেকেই আগুন মানুষের নিত্য সঙ্গী। আগুনের ব্যবহার সভ্যতার বিকাশে যেমন সহায়তা করেছে, তেমনিভাবে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির আর্থিক লোকসান পুষিয়ে নিতে অগ্নি বিমা বা ফায়ার ইনস্যুরেন্সের (Fire Insurance) জুড়ি নেই। নির্ধারিত হারে প্রিমিয়াম জমা নিয়ে বিমা কোম্পানিগুলো অগ্নি বিমা পলিসি ইস্যু করে। ভবন ও ভবনের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও দ্রব্যাদি এবং ব্যবসায়িক পণ্যদ্রব্যের জন্য অগ্নি বিমা করা যায়। আবার সবগুলো বিষয়কে এক সাথে বিমার আওতায় আনা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে অগ্নি বিমার প্রচলন বেড়ে যাচ্ছে। এ ইউনিটে অগ্নি বিমার শ্রেণি বিভাগ, অগ্নি বিমার অপরিহার্য উপাদান, অগ্নিজনিত ক্ষতি প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাহলে আসুন, অগ্নি বিমার নানা বিষয় জেনে নিই।
অগ্নি বিমার ধারণা
নাম থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই অগ্নি বিমার উদ্ভব হয়েছে। সারাবিশ্বে এটি বহুল ব্যবহৃত বিমা। অগ্নি বিমা সম্পত্তি বিমার একটি ধরন মাত্র। এটি একটি চুক্তি। যে চুক্তির দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্নিজনিত ক্ষতির জন্য বিমাগ্রহীতাকে বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, তাকে অগ্নি বিমা বলে।
আর. এস. শর্মার (R. S. Sharma) মতে, “অগ্নি বিমা চুক্তি একটি চুক্তি যার মাধ্যমে প্রতিদানের বিনিময়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বর্ণিত বিষয়বস্তু অগ্নি দ্বারা অথবা চুক্তিতে বর্ণিত অন্য কোনো বিপদে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুক্তিতে নির্ধাারিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করার অঙ্গীকার করে।”
এম. এন. মিশ্রর (M. N. Mishra) মতে, “অগ্নিকান্ডের কারণে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে অগ্নি বিমা বলে।”
পরিশেষে বলা যায়, আগুনের ক্ষতি থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যে বিমা করা হয়, তাকে অগ্নি বিমা বলে।
অগ্নি বিমার বৈশিষ্ট্যসমূহ
অগ্নি বিমার সংজ্ঞাগুলো ব্যাখ্যা করলে অগ্নি বিমার নিচের বর্ণিত বৈশিষ্ট্যাবলি দেখতে পাওয়া যাবে:
- ১. অগ্নি বিমা একটি চুক্তি যেখানে দুটি পক্ষ থাকে; (il বিমাগ্রহীতা ও (ii) বিমা কোম্পানি।
- ২. এটি একটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
- ৩. চুক্তির বিষয়বস্তু হবে সম্পত্তি ও মানুষ, কিন্তু শস্য বা গবাদি পশু এর বিষয়বস্তু নয়।
- ৪. ক্ষতিপূরণ পেতে হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতি হতে হবে।
- ৫. বিমার সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ প্রদত্ত প্রিমিয়াম হলো প্রতিদান।
- ৬. ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ক্ষতির সমান বা চুক্তিতে বর্ণিত নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নির্দিষ্ট হবে।
- ৭. বিমার বিষয়বস্তু অবশ্যই নির্ধারিত থাকবে। এখানে অগ্নির সংজ্ঞা ভিন্ন। অগ্নি বিমার ক্ষেত্রে অগ্নি হলো সাধারণভাবে তাই যা দিয়ে কোনো কিছু পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু যা থেকে কেবলমাত্র আলো বা উত্তাপ সৃষ্টি হয় তা আগুন নয়।
বজ্রপাত বা বিদ্যুৎ উত্তাপ বা আলো সৃষ্টি করলেও তা অগ্নি বিমার ক্ষেত্রে আগুন বলে চিবেচিত হবে না। তাই বজ্রপাতের ফলে কোনো জিনিস পুড়ে গেলে তা অগ্নি বিমার আওতাভুক্ত হবে না।
অগ্নি বিমার গুরুত্ব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্য বিমার মত অগ্নি বিমার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাহলে আসুন, এগুলো জেনে নিই।
১. মূলধন গঠন ও বিনিয়োগ: বিমা কোম্পানিগুলো অগ্নি বিমার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়াম হিসেবে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে যা দেশের মূলধন গঠনে সাহায্য করে এবং উক্ত সংগৃহীত অর্থ লাভজনক উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। যার ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে অর্থনীতিতে একটি চাঙ্গাভাব বজায় থাকে এবং দেশের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখে।
২. শিল্প ক্ষেত্রে অবদান: অগ্নি ও বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ব্যবসায়ের গতিধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতি হলে অগ্নি বিমা তার ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। ফলে ব্যবসায়ের গতি স্বাভাবিক থাকে।
৩. সামাজিক কল্যাণসাধন: অগ্নি বিমা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত ঝুঁকি বহন করে। অগ্নিজনিত ক্ষতি হলে বীমাকারী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি লাঘব করে দেয়। এভাবে কাউকে চরম অর্থনৈতিক দূর্দশা থেকে রক্ষা করে। এ ধরনের কার্য প্রকারান্তরে সমাজেরই কল্যাণ সাধন করে। এ ধরনের সামাজিক কল্যাণ আবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪. কর্মসংস্থান সৃষ্টি: বিমা ব্যবসায় লাভজনক হওয়ায় অগ্নি বিমা প্রতিষ্ঠান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেকার সমস্যা সমাধানে অগ্নি বিমা অবদান রাখছে।
৫. সচেতনতা বৃদ্ধি: অগ্নি বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্নি বিমা গ্রহণ করার সময় অগ্নির ঝুঁকি কমানোর নানা পরামর্শ ও উৎসাহ দান করে থাকে। মাঝে মাঝে অগ্নি বিমাকারীর প্রতিনিধিরা অগ্নি বিমাকৃত সম্পদ পরিদর্শন করে। ফলে মানুষের মধ্যে অগ্নিজনিত ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং অগ্নি ঝুঁকিও কমে যায়।
৬. অন্যান্য বিমার পরিপূরক: অগ্নি বিমায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুমুখী। যান ও মাল উভয়েরই ব্যাপক ক্ষতি হয়। অগ্নি বিমা ব্যবস্থা অন্যান্য বিমার পরিপূরক হয়ে ব্যক্তি, সমাজ এবং দেশের অর্থনৈতিক গতিকে আরও ত্বরান্বিত করে। কারণ কোনো বিমা ব্যবস্থাই এককভাবে সার্বিক ভূমিকা পালন করতে পারে না।
পরিশেষে বলা যায় যে, অগ্নি বিমা যেমন দেশের সম্পদ রক্ষা করে, তেমনিভাবে মূলধন গঠন করে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে, ব্যবসা বাণিজ্যের চাকাকে সচল ও শক্তিশালী করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অগ্নি বিমার ধরণ বা প্রকারভেদ
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে নতুন নতুন অগ্নি বিমার উদ্ভব ঘটছে। নিচে এদের বর্ণনা দেওয়া হলো:
১. মূল্যায়িত বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রের বেলায় বিমার বিষয়বস্তুর মূল্য পূর্বেই নির্ধারণ করা থাকে এবং বিমার বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাকারী বিমা গ্রহীতাকে উক্ত মূল্যের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। পূর্ব থেকেই মূল্য নির্ধারিত থাকে বিধায় বিমার দাবীর সময় সম্পদের মূল্যের প্রমাণপত্র হাজির করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণতঃ মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে এরূপ বিমাপত্র গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ বিমায় একজন বিমাকারী পূর্ব থেকেই ক্ষতির পরিমাণ বা দাবীর পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত থাকে। এ ধরনের বিমায় প্রিমিয়ামের হার সাধারণত বেশি থাকে।
২. অমূল্যায়িত বিমাপত্র
অমূল্যায়িত বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বাজার মূল্যের উপর বিমার দাবীর পরিমাণ নির্ভর করে। তাই বিমা গ্রহণ করার সময় ঠধষঁবৎ দিয়ে বিষয়বস্তুর মূল্য নির্ধারণ করা হয় না। এতে পরে মূল্য নির্ধারণ করা হয় বিধায় ক্ষতিপূরণের নীতি পুরাপুরি ভাবে প্রয়োগ করা যায়।
৩. গড়পড়তা বিমাপত্র
কেউ সম্পদের বাজার মূল্য থেকে কম বা বেশি মূল্যে বিমা করলে আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর বিমাকৃত মূল্য ও বাজার মূল্যের অনুপাত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।
৪. সুনির্দিষ্ট বিমা পত্র
এ ধরনের বিমাপত্রে বিমাকৃত সম্পত্তি ও সম্পদের মূল্য সুনির্দিষ্ট থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিমা করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, বিমাকারী বিমাকৃত সম্পদের ক্ষতি হলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করবে। সম্পত্তির মূল্যায়নের সমস্যা থাকে না, দু’ পক্ষই আগে থেকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানতে পারে। সামগ্রিক ক্ষতি ব্যতীত কমতি বিমার জন্য এ ধরনের বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ কম পাবার ক্ষতি স্বীকার করতে হয় না।
৫. ভাসমান বিমাপত্র
একই মালিক বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত সম্পত্তির জন্য একটি মাত্র বিমাপত্র গ্রহণ করলে তাকে ভাসমান
বিমাপত্র বলা হয়। এক্ষেত্রে বিমাকারী বিভিন্ন স্থানের সম্পদের আলাদা আলাদা সালামী হিসাব করে একটি মোট সালামীর গড় নির্ণয় করে সাকুল্য সালামী ধার্য করে থাকে। মজুত পণ্যের হ্রাস-বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ধরনের বিমা কার্যকর। বিক্ষিপ্ত পণ্য বিমা করে বিমাগ্রহীতা সুবিধা লাভ করে থাকে। গড় প্রিমিয়াম বের করা বেশ জটিল। এখানে কোনো কোনো বিশেষ পণ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করতে হয়।
৬. বাড়তি বিমাপত্র
মজুত পণ্যে (ওহাবহঃড়ৎু)-এর উপর এ ধরনের বিমা করা হয়। যে সকল কারবারীর মজুত পণ্যের পরিমাণ নির্দিষ্ট না থেকে হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে, তাদের জন্য বাড়তি বিমাপত্র বেশ উপযোগী। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার যে পরিমাণ মজুত পণ্য তার কাছে সর্বদা থাকে, তার জন্য একটি বিমাপত্র এবং এর অতিরিক্ত যে পরিমাণ মজুদ হয়, তার জন্য অন্য আরেকটি বিমা পত্র গ্রহণ করে থাকে।
৭. ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র
এ বিমাটিও মজুত পণ্যের উপর করা হয়। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার সর্বোচ্চ পরিমাণ মজুত মালের মূল্য ধরে বিমা করা হয় এবং প্রাথমিকভাবে সাধারণত ৭৫% প্রিমিয়াম প্রদান করা হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাধারণতঃ মাসে মাসে মজুত পরিমাণ পণ্যের মূল্য ঘোষণা দিতে হয় এবং বৎসর শেষে মোট মজুতের গড় করে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়। যদি প্রিমিয়াম পূর্বের প্রদত্ত প্রিমিয়াম থেকে কম হয়, তবে তত পরিমাণ ফেরত দেয়। আর প্রিমিয়াম বেশি হলে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম বিমাকারীকে দিতে হয়। সাধারণতঃ বড়ো বড়ো উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীগণ যাদের প্রচুর পরিমাণে মজুত মাল থাকে ও তা পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে, তারা এ ধরনের বিমা গ্রহণ করে লাভবান হয়ে থাকে।
৮. সমন্বয়যোগ্য বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা প্রথমে মজুত পণ্যের মূল্যের সমান একটা সাধারণ বিমা গ্রহণ করে এবং পরে মজুত মালের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি হলে তা বিমার আওতায় আনা হয়। এ ধরনের বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিমাকৃত মূল্য বিমাপত্র গ্রহণের সময়কালে প্রকৃত মজুত পণ্যের মূল্যের সমান হবে। এ মূল্যে অস্থায়ী প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয় এবং তা বিমাপত্র গ্রহণ করলেই পরিশোধ করা হয়। মজুতপণ্যের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি হলে তা ঘোষণা দ্বারা জানাতে হয়। এ ঘোষণা অনুযায়ী বিমাকারী বিমার কিস্তি হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকে। যতবার মজুত পণ্য হ্রাস-বৃদ্ধি হয়, ততবারই বিমার কিস্তি হ্রাস-বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয় এবং বিমা চুক্তির মেয়াদ শেষে প্রিমিয়াম চূড়ান্ত করা হয়।
৯. পুনঃস্থাপন বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রের মাধ্যমে সম্পত্তি বিনষ্ট হলে তার জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উক্ত সম্পত্তি পুনরায় প্রতিস্থাপন করার জন্য বিমাকারী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।
১০. আনুষঙ্গিক ক্ষতি বিমাপত্র
অগ্নি বিমার সাথে অন্য একটি বিমাসহ বিমাপত্র গ্রহণ করা হরে হা আনুসঙ্গিক ক্ষতি বিমাপত্র হিসেবে পরিচিত। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ছাড়াও উক্ত সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে থাকার জন্য যে মুনাফা কমে যায়, সে পরিমাণ মুনাফা হানির জন্য যে বিমা করা হয়, তাকে আনুসঙ্গিক ক্ষতি বিমাপত্র বলে।
অগ্নি বিমার তাৎপর্য হলো- শিল্পের চাকাকে সচল রাখে, আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত করে, সামাজিক কল্যাণ সাধন করে, সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং অন্যান্য বিমার জন্য পরিপূরক ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে প্রচলিত উল্লেখযোগ্য অগ্নি বিমাপত্র গুলো হলো- মূল্যায়িত বিমাপত্র, অমূল্যায়িত বিমাপত্র, গড়পড়তা বিমাপত্র, সুনির্দিষ্ট বিমাপত্র, ভাসমান বিমাপত্র, বাড়তি বিমাপত্র, ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র, সমন্বয়যোগ্য বিমাপত্র, সার্বিক বিমাপত্র, মুনাফা হানিকর বিমা পত্র ও বাট্টাকৃত বিমাপত্র।