১১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

আহমেদ মিন্টো
  • প্রকাশ: ০৯:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৯৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কর্মী। যদিও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ আবিষ্কার হয়েছে, এতে করে অনেক দূর এগিয়েছে বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা কিন্তু কর্মীর গুরুত্ব আদৌ কমেনি। এর প্রধান কারণ হলো কর্মী উৎপাদনের একমাত্র উপাদান যা অন্যান্য উপকরণগুলো সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে কাজ সুসম্পন্ন করে। কোনো প্রতিষ্ঠানের উপাদান বা উপকরণ যত ভালোই হোক না কেন কর্মী ছাড়া এসবের কোনো বিশেষ মূল্য নেই।

প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। নিচে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব (Importance of Human Resource Managemen) ব্যাখ্যা করা হলো-

১. মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার (Maximum Utilization of Human Resources)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রধান কাজ হলো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের দিয়ে যথাযথভাবে কাজে করিয়ে নেওয়া। জনশক্তি পরিকল্পনার মাধ্যমেই একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা যায়। প্রতিষ্ঠানে জনশশক্তি ভিন্ন অন্যান্য সম্পদ বা উপাদান বা উপকরণ মানব সম্পদের ছোঁয়া ব্যাতিত সক্রিয় হয় না।

—-

২. বস্তুগত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার (Maximum Utilization of Material resources)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও অবস্তুগত সকল উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বস্তুগত উপাদানসমূহের কাম্য ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নত করা যায়।

৩. কর্মীদের কর্ম দক্ষতা উন্নয়ন (Developing the working skill of works)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মীর কর্মদক্ষতা উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যেমন বাড়ে তেমনি উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক সাফল্য ত্বরান্বিত হয়।

৪. ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ (Preparing future development plan)

এই আধুনিক যুগকে বলা হয় যান্ত্রিক যুগ। বিভিন্ন প্রযুক্তির আবিস্কার, উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কাজে গতি এলেও জটিলতা বেড়েই চলছে। অদূর ভবিষ্যতে এর থেকেও কাজকর্মের গতি বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি জটিলতাও সমানভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তীত অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন মেয়াদী ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

৫. উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ (Recruiting the proper Personnel)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজই হলো উপযুক্ত জনশক্তি সংগ্রহ করে তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যম কর্মে নিয়োজিত করা; এখানেই অন্যান্য ব্যবস্থাপনা থেকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রধান পার্থক্য। উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ ও নিবাচনের জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

৬. সমন্বয় করা (To Co-ordinate)

প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে অন্যতম প্রধান শক্তি হলো সমন্বয় করা। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে ও বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এবং বস্তুগত ও অবস্তুগত উপকরণসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম কাজ।

৭. কার্য সন্তুষ্টি (Job Satisfaction)

প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে কর্মীদের মধ্যে কর্মসষ্টুষ্টি বজায় থাকে ফলে শ্রম ঘূর্ণায়মানতা হ্রাস পায়।

৮. শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক উন্নয়ন (Developing the labour management Relation)

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। ব্যবস্থাপনার সাথে শ্রমিকদের সম্পর্ক অনুকূল হলে অতি সহজে শ্রমিকদের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়।

৯. উচ্চ মনোবল সৃষ্টি (Maintaining the high morale)

শ্রমিক কর্মীদের মনোবল উন্নয়ন ও অক্ষুণ্ণ রাখা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান কাজ। এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিতে হয়।

১০. মজুরী নীতি প্রণয়ন (Preparing the wages policy)

কর্মীদের জন্য একটি মজুরি নীতি প্রণয়ন করা ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মীদের মজুরী প্রদান করলে কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে। তাই সঠিক মজুরী নির্ধারণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরি করে।

১১. কল্যাণমূলক কার্যক্রম (Welfare activities)

কর্মীই হলো প্রতিষ্ঠানের প্রাণশক্তি। কর্মীরাই প্রতিষ্ঠান সচল রাখে। কর্মীদের সার্বিক ভালো-মন্দ দেখা শুনার ভার মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর ন্যস্ত থাকে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের অভাব অভিযোগ দূর করতে তাদের সন্তুষ্টির জন্য কল্যাণমূলক নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।

১২. প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন (Development of the organization)

প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক কাজের জন্য মৌলিক ব্যবস্থাপনা যে সকল রীতি-নীতি ও নির্দেশাবলি জারি করে মানব সম্পদ বা কর্মী ব্যবস্থাপনা সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে। এ জন্য কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়ে তাদের নিকট থেকে সর্বাধিক উৎপাদন ও সেবা আদায় করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে ও সুনাম বৃদ্ধি পায়। এভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান সার্বিক দিক থেকেই উন্নত হয়।

(স্বীকৃত পাঠ্যবই ও প্রশিক্ষণ মডিউল অবলম্বনে)

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

আহমেদ মিন্টো

মিন্টো একজন ফ্রিল্যান্স লেখক এবং বিশ্লেষণ'র কন্ট্রিবিউটর।

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

প্রকাশ: ০৯:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কর্মী। যদিও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ আবিষ্কার হয়েছে, এতে করে অনেক দূর এগিয়েছে বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা কিন্তু কর্মীর গুরুত্ব আদৌ কমেনি। এর প্রধান কারণ হলো কর্মী উৎপাদনের একমাত্র উপাদান যা অন্যান্য উপকরণগুলো সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে কাজ সুসম্পন্ন করে। কোনো প্রতিষ্ঠানের উপাদান বা উপকরণ যত ভালোই হোক না কেন কর্মী ছাড়া এসবের কোনো বিশেষ মূল্য নেই।

প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। নিচে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব (Importance of Human Resource Managemen) ব্যাখ্যা করা হলো-

১. মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার (Maximum Utilization of Human Resources)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রধান কাজ হলো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের দিয়ে যথাযথভাবে কাজে করিয়ে নেওয়া। জনশক্তি পরিকল্পনার মাধ্যমেই একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা যায়। প্রতিষ্ঠানে জনশশক্তি ভিন্ন অন্যান্য সম্পদ বা উপাদান বা উপকরণ মানব সম্পদের ছোঁয়া ব্যাতিত সক্রিয় হয় না।

—-

২. বস্তুগত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার (Maximum Utilization of Material resources)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও অবস্তুগত সকল উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বস্তুগত উপাদানসমূহের কাম্য ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নত করা যায়।

৩. কর্মীদের কর্ম দক্ষতা উন্নয়ন (Developing the working skill of works)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মীর কর্মদক্ষতা উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যেমন বাড়ে তেমনি উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক সাফল্য ত্বরান্বিত হয়।

৪. ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ (Preparing future development plan)

এই আধুনিক যুগকে বলা হয় যান্ত্রিক যুগ। বিভিন্ন প্রযুক্তির আবিস্কার, উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কাজে গতি এলেও জটিলতা বেড়েই চলছে। অদূর ভবিষ্যতে এর থেকেও কাজকর্মের গতি বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি জটিলতাও সমানভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তীত অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন মেয়াদী ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

৫. উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ (Recruiting the proper Personnel)

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজই হলো উপযুক্ত জনশক্তি সংগ্রহ করে তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যম কর্মে নিয়োজিত করা; এখানেই অন্যান্য ব্যবস্থাপনা থেকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রধান পার্থক্য। উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ ও নিবাচনের জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

৬. সমন্বয় করা (To Co-ordinate)

প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে অন্যতম প্রধান শক্তি হলো সমন্বয় করা। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে ও বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এবং বস্তুগত ও অবস্তুগত উপকরণসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম কাজ।

৭. কার্য সন্তুষ্টি (Job Satisfaction)

প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে কর্মীদের মধ্যে কর্মসষ্টুষ্টি বজায় থাকে ফলে শ্রম ঘূর্ণায়মানতা হ্রাস পায়।

৮. শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক উন্নয়ন (Developing the labour management Relation)

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। ব্যবস্থাপনার সাথে শ্রমিকদের সম্পর্ক অনুকূল হলে অতি সহজে শ্রমিকদের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়।

৯. উচ্চ মনোবল সৃষ্টি (Maintaining the high morale)

শ্রমিক কর্মীদের মনোবল উন্নয়ন ও অক্ষুণ্ণ রাখা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান কাজ। এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিতে হয়।

১০. মজুরী নীতি প্রণয়ন (Preparing the wages policy)

কর্মীদের জন্য একটি মজুরি নীতি প্রণয়ন করা ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মীদের মজুরী প্রদান করলে কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে। তাই সঠিক মজুরী নির্ধারণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরি করে।

১১. কল্যাণমূলক কার্যক্রম (Welfare activities)

কর্মীই হলো প্রতিষ্ঠানের প্রাণশক্তি। কর্মীরাই প্রতিষ্ঠান সচল রাখে। কর্মীদের সার্বিক ভালো-মন্দ দেখা শুনার ভার মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর ন্যস্ত থাকে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের অভাব অভিযোগ দূর করতে তাদের সন্তুষ্টির জন্য কল্যাণমূলক নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।

১২. প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন (Development of the organization)

প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক কাজের জন্য মৌলিক ব্যবস্থাপনা যে সকল রীতি-নীতি ও নির্দেশাবলি জারি করে মানব সম্পদ বা কর্মী ব্যবস্থাপনা সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে। এ জন্য কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়ে তাদের নিকট থেকে সর্বাধিক উৎপাদন ও সেবা আদায় করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে ও সুনাম বৃদ্ধি পায়। এভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান সার্বিক দিক থেকেই উন্নত হয়।

(স্বীকৃত পাঠ্যবই ও প্রশিক্ষণ মডিউল অবলম্বনে)