১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে
- প্রকাশ: ০৮:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৬১৬ বার পড়া হয়েছে
২০২০ সালের বই উৎসবে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় ১৭ মাস এই শিক্ষার্থীরা ছিল ক্লাসের বাইরে। ছবি: বিবিসি/গেটিইমেজেস
প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশে ১২ সেপ্টেম্বর হতে কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে, কী কী নিয়ম পালন করতে হবে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। করোনাভাইরাস মহামারীর পর গত বছরের মার্চের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। খবর বিবিসির।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অগাস্টের শেষ দিকে সংক্রমনের হার কমে যাওয়াতে তারা ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। সেদিন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু করবে।
১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে বেশ কিছু কিছু সরকারী নির্দেশনা মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; তবে তিনি সচেতনতার প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করবে, তবে সেখানে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন এবং নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। যে সকল নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে।
- স্কুলে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্কুলে যেতে হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক
- চলতি বছর এবং সামনের বছর যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের প্রতিদিনই ক্লাস নেয়া হবে।
- প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসও চলবে প্রতিদিন।
- প্রাথমিক স্কুলে প্রথম হতে চতুর্থ শ্রেণী এবং হাইস্কুলে ষষ্ঠ হতে অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস চলবে সপ্তাহে একদিন করে।
- স্কুলে কোন অ্যাসেম্বলি হবে না। খেলাধূলা হবে স্বল্প পরিসরে। লাইন বেঁধে ক্লাসে ঢুকতে হবে এবং বেরুতে হবে।
- শুরুতে দিনে ৪ হতে ৫ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। পরে সময় আরও বাড়ানো হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সিন্ডিকেটের সভা করে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে
সরকার প্রতিদিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য স্কুলের সময় এবং দিনের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। সংক্রমন বেড়ে গেলে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছরের বেশি সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও এসময় অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই উদ্যোগ খুব একটা সফল হয়নি, এমনই লিখেছে বিবিসি।