০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

প্রবীণদের অধিকার: গড়ে উঠুক কল্যাণকর রাষ্ট্র

হাসান আলী
  • প্রকাশ: ১১:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

যে-কোনো নির্যাতনই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুর্বল মানুষই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কে দুর্বল? প্রবীণ, নারী ও শিশুরাই বেশি দুর্বল বলে তারা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সহায়সম্বলহীন মানুষ, যারা শ্রম বিক্রি করেন, তারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনকারী যখন বুঝতে পারে—নির্যাতিত ব্যক্তির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দুর্বল—তখন সে নির্যাতন করতে কম দ্বিধা করে। কারণ, নির্যাতনকারী মনে করে, ঐ দুর্বল মানুষটিকে নির্যাতন করলেও কিছু হবে না বা হলেও তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা তার আছে।

যুগে যুগে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। নির্যাতনে শারীরিক শক্তি একসময় প্রধান ছিল। শারীরিকভাবে শক্তিশালী লোকজন আশপাশের লোকজনকে সব সময়ই তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে। নিয়ন্ত্রণ অমান্যকারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শারীরিক নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ বাড়ছে। ফলে নির্যাতনের ধরন পালটে গেছে। এখন তুলনামূলকভাবে মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানসিক নির্যাতন পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, সেবা প্রতিষ্ঠানে, অফিস আদালতে দিন দিন বাড়ছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ব্যাপারে তত্পরতা রয়েছে, বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেও নির্যাতন-নিপীড়নের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, আইন শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের পক্ষেই যায়, তবু আশায় বুক বাঁধে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা।

নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষরা লড়াই-সংগ্রাম করে রাষ্ট্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। বরাবরই নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করার জন্য দুর্বল মানুষই থাকে। এই দুর্বল মানুষের রক্ত-ঘামে আমাদের সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমাদের দৈনন্দিন সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ দুর্বল মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা থেকে প্রাপ্ত। দুর্বল মানুষের লড়াই-সংগ্রাম থেকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করতে গিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন হয়েছে। নির্যাতন মানুষকে প্রতিবাদী হতে প্রেরণা জোগায়। নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করা হয়।

প্রবীণরা সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠী। তাদের অধিকাংশই সহায়সম্পদহীন অবস্থায় প্রবীণ জীবনে প্রবেশ করে। ভরসা করে সন্তান ও নিয়তির ওপর। কপালের লিখন খণ্ডানো যায় না, এই বিশ্বাস থেকে সব রকমের নির্যাতন-নিপীড়নকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। প্রবীণরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনের প্রায় পুরোটাই পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। নির্যাতনবিরোধী আইন থাকার পরও অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে যায়। মানসিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করা কিংবা চুপ করে থাকাও বড় ধরনের মানসিক নির্যাতন। প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাই গণমাধ্যমের কল্যাণে।

কোনো নির্যাতনই এককভাবে মোকাবিলা করা যায় না। মোকাবিলা করতে হয় সম্মিলিতভাবে। প্রবীণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রবীণ জনগোষ্ঠী পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত জুলুমনির্যাতন বন্ধ করার জন্য সক্রিয় হবে। প্রবীণরা বার্ধক্যের ভার পরিবার-পরিজন আর নিয়তির ওপর ছেড়ে দিতে চাইবে না। তারা নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে অর্থসঞ্চয় করবে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে, স্বস্তিদায়ক জীবনের জন্য কুঅভ্যাস ত্যাগ করবে, সন্তাননির্ভর মানসিকতা বাদ দেবে।

প্রবীণদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। প্রবীণরা তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে নির্যাতনের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। কারো ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা পাপ, এটা শত সহস্রবার প্রচার করলেও নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নির্যাতন করা মানবাধিকার পরিপন্থি কাজ এই কথায়ও কাজ হবে না। নির্যাতনবিরোধী কঠিন আইন করা হলেও নির্যাতন বন্ধ হবে না। নির্যাতন বন্ধ করতে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তির নির্ভরতা যত কম হবে নির্যাতনের মাত্রাও তত কম হবে। সন্তাননির্ভর জীবনের আকাঙ্ক্ষা কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করার ইচ্ছা মানুষকে আবেগী সংকটে ফেলে দেয়। যদি জীবনের শুরু থেকে প্রবীণ জীবনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তবে নির্যাতনের সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়। ব্যক্তি তখন ঠিক করে আয়ের কতটুকু নিজের জন্য, কতটুকু সন্তানের জন্য, কতটুকু স্ত্রী বা স্বামীর জন্য, কতটুকু প্রবীণ জীবনের জন্য রাখবেন।

প্রবীণ নির্যাতন প্রতিরোধ অবশ্যই বড়ো ধরনের চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভালো কিছু অর্জনের সুযোগ থাকে। প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা যতবেশি মানুষের সামনে ঘটবে, মানুষ ততবেশি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাববে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নানান রকমের উপায় খুঁজে বের করবে। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আশপাশের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে বৃহত্ শক্তি হিসেবে আবির্ভাব ঘটাতে পারবে। বৃহত্ শক্তির মোকাবিলা করার বিষয়টি সব সময় নির্যাতনকারী মাথায় রাখবে। সে বুঝতে পারবে নির্যাতন করলে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে না।

বিষয়:

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

হাসান আলী

প্রাবন্ধিক, প্রবীণবিষয়ক গবেষক

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

প্রবীণদের অধিকার: গড়ে উঠুক কল্যাণকর রাষ্ট্র

প্রকাশ: ১১:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

যে-কোনো নির্যাতনই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুর্বল মানুষই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কে দুর্বল? প্রবীণ, নারী ও শিশুরাই বেশি দুর্বল বলে তারা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সহায়সম্বলহীন মানুষ, যারা শ্রম বিক্রি করেন, তারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনকারী যখন বুঝতে পারে—নির্যাতিত ব্যক্তির প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দুর্বল—তখন সে নির্যাতন করতে কম দ্বিধা করে। কারণ, নির্যাতনকারী মনে করে, ঐ দুর্বল মানুষটিকে নির্যাতন করলেও কিছু হবে না বা হলেও তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা তার আছে।

যুগে যুগে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। নির্যাতনে শারীরিক শক্তি একসময় প্রধান ছিল। শারীরিকভাবে শক্তিশালী লোকজন আশপাশের লোকজনকে সব সময়ই তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে। নিয়ন্ত্রণ অমান্যকারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শারীরিক নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ বাড়ছে। ফলে নির্যাতনের ধরন পালটে গেছে। এখন তুলনামূলকভাবে মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানসিক নির্যাতন পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, সেবা প্রতিষ্ঠানে, অফিস আদালতে দিন দিন বাড়ছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ব্যাপারে তত্পরতা রয়েছে, বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেও নির্যাতন-নিপীড়নের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, আইন শেষ পর্যন্ত শক্তিমানের পক্ষেই যায়, তবু আশায় বুক বাঁধে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা।

নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষরা লড়াই-সংগ্রাম করে রাষ্ট্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। বরাবরই নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করার জন্য দুর্বল মানুষই থাকে। এই দুর্বল মানুষের রক্ত-ঘামে আমাদের সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমাদের দৈনন্দিন সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ দুর্বল মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা থেকে প্রাপ্ত। দুর্বল মানুষের লড়াই-সংগ্রাম থেকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করতে গিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন হয়েছে। নির্যাতন মানুষকে প্রতিবাদী হতে প্রেরণা জোগায়। নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করা হয়।

প্রবীণরা সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠী। তাদের অধিকাংশই সহায়সম্পদহীন অবস্থায় প্রবীণ জীবনে প্রবেশ করে। ভরসা করে সন্তান ও নিয়তির ওপর। কপালের লিখন খণ্ডানো যায় না, এই বিশ্বাস থেকে সব রকমের নির্যাতন-নিপীড়নকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। প্রবীণরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনের প্রায় পুরোটাই পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। নির্যাতনবিরোধী আইন থাকার পরও অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে যায়। মানসিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করা কিংবা চুপ করে থাকাও বড় ধরনের মানসিক নির্যাতন। প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাই গণমাধ্যমের কল্যাণে।

কোনো নির্যাতনই এককভাবে মোকাবিলা করা যায় না। মোকাবিলা করতে হয় সম্মিলিতভাবে। প্রবীণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রবীণ জনগোষ্ঠী পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত জুলুমনির্যাতন বন্ধ করার জন্য সক্রিয় হবে। প্রবীণরা বার্ধক্যের ভার পরিবার-পরিজন আর নিয়তির ওপর ছেড়ে দিতে চাইবে না। তারা নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে অর্থসঞ্চয় করবে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে, স্বস্তিদায়ক জীবনের জন্য কুঅভ্যাস ত্যাগ করবে, সন্তাননির্ভর মানসিকতা বাদ দেবে।

প্রবীণদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। প্রবীণরা তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে নির্যাতনের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। কারো ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা পাপ, এটা শত সহস্রবার প্রচার করলেও নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নির্যাতন করা মানবাধিকার পরিপন্থি কাজ এই কথায়ও কাজ হবে না। নির্যাতনবিরোধী কঠিন আইন করা হলেও নির্যাতন বন্ধ হবে না। নির্যাতন বন্ধ করতে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তির নির্ভরতা যত কম হবে নির্যাতনের মাত্রাও তত কম হবে। সন্তাননির্ভর জীবনের আকাঙ্ক্ষা কিংবা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করার ইচ্ছা মানুষকে আবেগী সংকটে ফেলে দেয়। যদি জীবনের শুরু থেকে প্রবীণ জীবনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তবে নির্যাতনের সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়। ব্যক্তি তখন ঠিক করে আয়ের কতটুকু নিজের জন্য, কতটুকু সন্তানের জন্য, কতটুকু স্ত্রী বা স্বামীর জন্য, কতটুকু প্রবীণ জীবনের জন্য রাখবেন।

প্রবীণ নির্যাতন প্রতিরোধ অবশ্যই বড়ো ধরনের চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভালো কিছু অর্জনের সুযোগ থাকে। প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা যতবেশি মানুষের সামনে ঘটবে, মানুষ ততবেশি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাববে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নানান রকমের উপায় খুঁজে বের করবে। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আশপাশের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে বৃহত্ শক্তি হিসেবে আবির্ভাব ঘটাতে পারবে। বৃহত্ শক্তির মোকাবিলা করার বিষয়টি সব সময় নির্যাতনকারী মাথায় রাখবে। সে বুঝতে পারবে নির্যাতন করলে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে না।