০১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ডিজিটাল লোন: ডিজিটাল লোন অ্যাপ কী এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

মু. মিজানুর রহমান মিজান
  • প্রকাশ: ০১:২৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৬২৫ বার পড়া হয়েছে

ডিজিটাল লোন অ্যাপের প্রতীকী চিত্র

কার অর্থের প্রয়োজন নেই? মাঝেমধ্যেই আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার কারণে প্রায়শই বিভিন্ন খাতে খরচ করতে হয়। সব সময় যে আমরা প্রয়োজনে খরচ করি তা নয়, অপ্রয়োজনেও আমরা অনেক সময় হাতখুলে খরচ করি। চলার পথে আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্নখাতে খরচ করি এটি যেমন সত্য, তেমনই সত্য হলো সবার পকেটে সব সময় টাকা থাকে না। আর এ জন্যই বহু লোক সাময়িকভাবে আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে নিয়ে থাকেন ঋণ। ঋণ গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যম হিসেবে সর্বশেষ মাধ্যম হলো ডিজিটাল লোন (Digital Loan)। ডিজিটাল লোন গ্রহণ ও প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করা হয় সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে।

ডিজিটাল লোন (Digital Loan)

আর্থিক প্রযুক্তি বা ফিন্যানশিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করে যখন কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে যার প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজার বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে করা হয় তাকে ডিজিটাল ঋণ বলা হয়।

উল্লেখ্য, ‘আর্থিক প্রযুক্তি’র ইংরেজি ‘ফিন্যানশিয়াল টেকনোলজি’ (Financial Technology)-কে সংক্ষেপে ‘ফিনটেক’ (Fintech) বলা হয়।

ডিজিটাল লোন অ্যাপ কী?

ডিজিটাল লোন অ্যাপ হলো এমন এক প্রকারের মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহার করে কোনো গ্রাহক সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ প্রাপ্তির অনুমোদন লাভসহ ঋণের অর্থ পায়।

লোন অ্যাপ ব্যাবহার করে লোন প্রদানকারী ব্যাংক বা আর্থিক সংস্থার নির্দিষ্ট কিছু অংশীদারদের নিকট থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়। লোন অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যুকৃত ঋণের সুদ বা ব্যাংকের মুনাফার হার সাধারণ ঋণের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।

ডিজিটাল লোন অ্যাপের সুবিধা

  • ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী আর্থিক সংস্থার কোনো শাখায় স্বশরীরে উপস্থিত না হয়ে ঋণের আবেদন, ঋণ গ্রহণ ও ঋণ পরিশোধ করা যায়।
  • অল্প সময়ের মধ্যে ঋণের আবেদন করে তাৎক্ষণিকভাবেই অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।
  • সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় লেনদেন।
  • ঋণ প্রদানকারী নির্দিষ্ট সংস্থার অংশীদার প্রতিষ্ঠান থেকে ঝামেলা ছাড়াই পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়।

ডিজিটাল লোন অ্যাপের অসুবিধা

  • লোন অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যুকরা ঋণের বিপরীতে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে সুদ বা মুনাফা নেওয়া হয়।
  • লোন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রহণ করা ঋণের গ্রাহক নির্দিষ্ট শর্ত ও সময় অনুসারে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে অধিক অঙ্কের জরিমানা প্রদান করতে হয়।
  • সাধারণত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অংশীদার ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায় না।
  • ব্যাংক ছাড়াও বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে, যেগুলোর বেশিরভাগই সরকারিভাবে নিবন্ধিত নয়, এ কারণে সাধারণ মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অনিবন্ধিত লোন অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ফোটো, কনট্যাক্টস নম্বর চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
  • এমনকি এই অ্যাপগুলি গ্রাহকদের ব্ল্যাকমেইলিং করে বলেও অভিযোগ।

লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা কি নিরাপদ?

বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে গ্রহণের জন্য লোন অ্যাপ নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদ্ধতি। তবে একজন গ্রাহককে অবশ্যই ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ‘ডিজিটাল ঋপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধিত নয়। যে সকল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত নয় সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা অনিরাপদ। তবে নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও যে লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করলে তা নিরাপদ হবে তাও নিশ্চিত করর ‘নিরাপদ’ বলা যায় না। অনেক সময় সাইবার হামলা বা হ্যাকিং-এর শিকার হয়ে গ্রাহককে বিপদে পড়তে হতে পারে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের অনেকেই লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।

তবে কারও যদি লোন অ্যাপের মাধমে ঋণ গ্রহণ করতেই হয় তাহলে তিনি যেন কোনো ‘নিবন্ধিত ব্যাংক’ থেকে তা গ্রহণ করেন। যদি কোনো ব্যাংক ‘লোন অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে তাহলে তা আপনি গ্রহণ করতেই পারেন, এটা নিরাপদ।

মনে রাখবেন, যতই ভালো কোনো ব্যাংকের সাথে আপনার অ্যাকাউন্ট থাক না কেন, আপনি যে-কোনো সময় সাইবার হামলার শিকার হতে পারেন। তবুও বলি, সরকার নিবন্ধিত ব্যাংক বা নিবন্ধিত ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয়। লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা নিরাপদ যদি তা সরকার নিবন্ধিত ব্যাংক থেকে নেওয়া নয়।

শেয়ার করুন

2 thoughts on “ডিজিটাল লোন: ডিজিটাল লোন অ্যাপ কী এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

  1. লোন এপস এর মাধ্যমে লোন পাব? ভালো একটা লোন এপস এর নাম বলেন। আমি মৎস্য ব্যবসায়ী।

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

মু. মিজানুর রহমান মিজান

মু. মিজানুর রহমান মিজান একজন স্বাধীন শিক্ষামূলক লেখক। তিনি শিক্ষা গবেষণায় বেশ আগ্রহী। যৌথভাবে কিছু গবেষণায়ও অংশ নিয়েছেন।
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

ডিজিটাল লোন: ডিজিটাল লোন অ্যাপ কী এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

প্রকাশ: ০১:২৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

কার অর্থের প্রয়োজন নেই? মাঝেমধ্যেই আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার কারণে প্রায়শই বিভিন্ন খাতে খরচ করতে হয়। সব সময় যে আমরা প্রয়োজনে খরচ করি তা নয়, অপ্রয়োজনেও আমরা অনেক সময় হাতখুলে খরচ করি। চলার পথে আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্নখাতে খরচ করি এটি যেমন সত্য, তেমনই সত্য হলো সবার পকেটে সব সময় টাকা থাকে না। আর এ জন্যই বহু লোক সাময়িকভাবে আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে নিয়ে থাকেন ঋণ। ঋণ গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যম হিসেবে সর্বশেষ মাধ্যম হলো ডিজিটাল লোন (Digital Loan)। ডিজিটাল লোন গ্রহণ ও প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করা হয় সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে।

ডিজিটাল লোন (Digital Loan)

আর্থিক প্রযুক্তি বা ফিন্যানশিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করে যখন কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে যার প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজার বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে করা হয় তাকে ডিজিটাল ঋণ বলা হয়।

উল্লেখ্য, ‘আর্থিক প্রযুক্তি’র ইংরেজি ‘ফিন্যানশিয়াল টেকনোলজি’ (Financial Technology)-কে সংক্ষেপে ‘ফিনটেক’ (Fintech) বলা হয়।

ডিজিটাল লোন অ্যাপ কী?

ডিজিটাল লোন অ্যাপ হলো এমন এক প্রকারের মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহার করে কোনো গ্রাহক সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ প্রাপ্তির অনুমোদন লাভসহ ঋণের অর্থ পায়।

লোন অ্যাপ ব্যাবহার করে লোন প্রদানকারী ব্যাংক বা আর্থিক সংস্থার নির্দিষ্ট কিছু অংশীদারদের নিকট থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়। লোন অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যুকৃত ঋণের সুদ বা ব্যাংকের মুনাফার হার সাধারণ ঋণের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।

ডিজিটাল লোন অ্যাপের সুবিধা

  • ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী আর্থিক সংস্থার কোনো শাখায় স্বশরীরে উপস্থিত না হয়ে ঋণের আবেদন, ঋণ গ্রহণ ও ঋণ পরিশোধ করা যায়।
  • অল্প সময়ের মধ্যে ঋণের আবেদন করে তাৎক্ষণিকভাবেই অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।
  • সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় লেনদেন।
  • ঋণ প্রদানকারী নির্দিষ্ট সংস্থার অংশীদার প্রতিষ্ঠান থেকে ঝামেলা ছাড়াই পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়।

ডিজিটাল লোন অ্যাপের অসুবিধা

  • লোন অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যুকরা ঋণের বিপরীতে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে সুদ বা মুনাফা নেওয়া হয়।
  • লোন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রহণ করা ঋণের গ্রাহক নির্দিষ্ট শর্ত ও সময় অনুসারে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে অধিক অঙ্কের জরিমানা প্রদান করতে হয়।
  • সাধারণত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অংশীদার ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায় না।
  • ব্যাংক ছাড়াও বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে, যেগুলোর বেশিরভাগই সরকারিভাবে নিবন্ধিত নয়, এ কারণে সাধারণ মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অনিবন্ধিত লোন অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ফোটো, কনট্যাক্টস নম্বর চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
  • এমনকি এই অ্যাপগুলি গ্রাহকদের ব্ল্যাকমেইলিং করে বলেও অভিযোগ।

লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা কি নিরাপদ?

বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে গ্রহণের জন্য লোন অ্যাপ নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদ্ধতি। তবে একজন গ্রাহককে অবশ্যই ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ‘ডিজিটাল ঋপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধিত নয়। যে সকল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত নয় সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা অনিরাপদ। তবে নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও যে লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করলে তা নিরাপদ হবে তাও নিশ্চিত করর ‘নিরাপদ’ বলা যায় না। অনেক সময় সাইবার হামলা বা হ্যাকিং-এর শিকার হয়ে গ্রাহককে বিপদে পড়তে হতে পারে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের অনেকেই লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।

তবে কারও যদি লোন অ্যাপের মাধমে ঋণ গ্রহণ করতেই হয় তাহলে তিনি যেন কোনো ‘নিবন্ধিত ব্যাংক’ থেকে তা গ্রহণ করেন। যদি কোনো ব্যাংক ‘লোন অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে তাহলে তা আপনি গ্রহণ করতেই পারেন, এটা নিরাপদ।

মনে রাখবেন, যতই ভালো কোনো ব্যাংকের সাথে আপনার অ্যাকাউন্ট থাক না কেন, আপনি যে-কোনো সময় সাইবার হামলার শিকার হতে পারেন। তবুও বলি, সরকার নিবন্ধিত ব্যাংক বা নিবন্ধিত ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয়। লোন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা নিরাপদ যদি তা সরকার নিবন্ধিত ব্যাংক থেকে নেওয়া নয়।