বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩

প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার উপকারিতা

প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবি জাতি গঠন, মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক উপাদান ডিমের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ডিম মানুষের জন্য মূল্যবান খাদ্যসামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ধারণা করা হয়, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশে ডিমের জন্য বন্য মুরগি পালন করা হয়।

সুম ও মিশরে মুরগি আনা হয় ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এবং ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ডিমের জন্য মুরগি আনা হয় গ্রিসে। ডিম সম্পর্কে নানা কুসংস্কার থাকা সত্ত্বেও সহস্রাধিক বছর ধরে মানুষ ডিম খেয়ে আসছে। দুনিয়ার সব জাতি, ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে ডিম একটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও গ্রহণযোগ্য খাবার। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ডিম পাওয়া যায়। তবে সব থেকে জনপ্রিয় হচ্ছে মুরগির ডিম। ডিম খেতে পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সব বয়সের মানুষ ডিম খেতে খুব পছন্দ করে।

ডিম বর্তমানে সারা বিশ্বে সুপারফুড নামে পরিচিত। এটি নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন বি-৫, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, বায়োটিন, কোলিন, ফলিক এসিড, আয়োডিন, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়ামসহ ১৩টি ভিটামিন ও মিনারেলস এবং ৬ গ্রাম উন্নতমানের প্রোটিন। ডিমের নানা পুষ্টিগুণের মধ্যে অন্যতম প্রোটিন। এ প্রোটিনে রয়েছে- ৯টি জরুরি অ্যামাইনো এসিড। এটি পেশি গঠন, মজবুত ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। তাছাড়া ডিমে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল, যা কি-না মস্তিষ্কের সেল গঠনে সহায়তা করে। ফলে সুস্থ মস্তিষ্ক গঠন করে। তাছাড়া ডিমে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২, সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। কিছুদিন আগেও হৃদরোগের ক্ষেত্রে ডিমের ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। 

বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণা বলছেন, প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের কিছু পুষ্টি উপাদান গর্ভাবস্থায় খুব জরুরি। বিশেষ করে ডিম জন্মগত ‘স্পাইনাল বিফিডা’ রোগের ঝুঁকি কমায়। ডিমে থাকা লুটেইন ও জিয়েক্সাথিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে। তাছাড়া ডিমের অন্যান্য ভিটামিনও ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য সহায়ক। তাছাড়া স্থূলকায় মানুষের জন্যও ডিম উপকারি। ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না। সেই সঙ্গে এনার্জিও পাওয়া যায়। যেহেতু ক্ষুধা লাগে না, তাই বাড়তি খাবার খাওয়া কম হয়, ওজন কমে। অন্যদিকে ডিমে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

সুন্দর ত্বকের জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পুষ্টির দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কমে আসবে। শর্করা কমিয়ে প্রতিদিন ডিম খেলে মাসে ৩ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব। মাত্র দুটি ডিম নারীর দৈনিক প্রোটিন চাহিদার এক-চতুর্থাংশ পূরণ করতে পারে।

পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন নামে পরিচিত এই ডিম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে- বিশ্ব ডিম দিবস। ‘প্রতিদিন একটি ডিম পুষ্টিময় সারাদিন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৪ অক্টোবর শুক্রবার পালিত হয়েছে দিবসটি। প্রতিপাদ্যে অনুযায়ী শিশু, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক সবার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন একটি ডিম দরকার। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডিমের ব্যবহার অপরিহার্য। কেননা, আজকের শিশুরায় আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুরা সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে একটি ডিম খেলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। তাই বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের জন্য ডিম খুবই উপকারী খাবার। ডিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। 

প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন
প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন

অপুষ্টির শিকার শিশুরা খর্বাকৃতির হতে পারে। এসব শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম হয়ে থাকে। ৬ বা ৯ মাস পর থেকে শিশু যদি একটি করে ডিম খায়, তাহলে শিশুর খর্বাকৃতি কমাতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শিশুর জন্মের পর থেকে ১ হাজার দিন পর্যন্ত ডিম খাওয়া খুবই প্রয়োজন। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সি ১০ শতাংশ শিশু কৃশকায় অর্থাৎ এরা তীব্র অপুষ্টির শিকার। পাশাপাশি একই বয়সি ৩০ শতাংশ শিশু খর্বকায়, অর্থাৎ বয়সের তুলনায় এদের উচ্চতা কম। অন্যদিকে ২ শতাংশের বেশি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বিভিন্ন সময়ের শিশু পুষ্টির যে তথ্য দেয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কৃশকায় ও খর্বকায় শিশুর হার দিন দিন কমছে। তবে অস্বাভাবিক বেশি ওজনের শিশুর হার বাড়ছে।

নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ডিমকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। ডিমকে ভাজা, পোচ, সিদ্ধ, আধাসিদ্ধ করে খাওয়া ছাড়াও কেক, প্যানকেক, হালুয়া, স্যান্ডউইচ, সালাদ, চপ, পুডিং, বিরিয়ানি, নুডলস, পিঠা ইত্যাদিতে ব্যবহার করে খাওয়া যায়। ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষজাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয়। 

প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবি জাতি গঠন, মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক উপাদান ডিমের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’

তখন থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার এ দিবসটি বিশ্বজুড়ে একযোগে পালিত হয়ে আসছে। ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ডিম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি)-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালন করে আসছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতসহ সারা বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ এবং এর পরিধি ও ব্যাপ্তি সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এ সংস্থাটির সদস্য ৮০টি দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অ্যানিমেল অ্যাগ্রিকালচার সোসাইটি (বিএএএস) ‘ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন’-এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয়। বাংলাদেশের গবেষক ও চাষি এবং খামারিদের আপ্রাণ চেষ্টায় ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরামর্শ হলো, সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের বছরে অন্তত ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর সংস্থার গবেষণা ও খামারিদের পরিশ্রমের ফলে দেশে ডিমের মোট উৎপাদন ছিল ২ হাজার ৩৩৫ দশমিক কোটি। ফলশ্রুতিতে বছরে জনপ্রতি ডিমের প্রাপ্যতা বেড়েছে ১৩৬ দশমিক ০১টি। যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে ডিম উৎপাদিত হয়েছিল ছিল ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৩১ কোটি। যদিও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ; কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের অতিমুনাফালোভী মনোভাবের কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম ক্রয়ের সক্ষমতা।

এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডিম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে একদিকে মানুষের পুষ্টি চাহিদা যেমন পূরণ হবে, অন্যদিকে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর করে কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি ডিম নিয়ে আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের মধ্যে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার ফলে দেশের আপামর মানুষ যদি পরিমাণ মতো ডিম খায়, তবে অপুষ্টির চিত্র পুরোপুরি পাল্টে ফেলা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে 'বিশ্লেষণ'-এর জন্য স্পনসরশিপ খোঁজা হচ্ছে। আগ্রহীদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইমেইল: contact.bishleshon@gmail.com

এ বিষয়ের আরও নিবন্ধ

রেটিনার অবক্ষয়জনিত দৃষ্টিহীনতা এবং প্লুরিপোটেন্টস্টেম কোষ থেরাপি

মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বা দৃষ্টিসূক্ষ্মতা হলো ২০/২০। অর্থাৎ, এ ধরণের দৃষ্টির সংজ্ঞা হচ্ছে ২০ ফুট দূর থেকে একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখার ক্ষমতা।...

ক্রমহ্রাসমান মানব Y (ওয়াই)-ক্রোমোজোম নিয়ে নানা উদ্বেগ ও জেন্ডার সমতায় দৃষ্টিপাত

যে প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে নর ও নারী তাদের স্বতন্ত্র শারীরবৃত্তীয়তা অর্জন করে, তার মুলে রয়েছে নারী-পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের ভিন্নতা। মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের...

মেটফরমিন ও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে তার গুণাঢ্য ফার্মাকোলজি

বিশ্বব্যাপী নভেম্বর মাসকে বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি  গুরুত্বপূর্ণ রোগের জনসচেতনতা মাস হিসেবে, যেমন: ফুসফুসের ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD), ডায়াবিটিস...

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ্যতা মানব স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড়ো হুমকি

বিশ্বখ্যাত সায়েন্টিফিক জার্নাল দ্য ল্যানসেট-এর তথ্য মতে ২০১৯ সালেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার কারণে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছে (The Lancet,...

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষার যুগে বাংলাদেশ

যেহেতু অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা একটি নতুন ধারণা, তাই বাস্তবায়নের জন্য এমন একটি কমিটি থাকা উচিত যারা ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে পাঠ্যক্রমটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম রেকর্ড করার জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে তাও স্পষ্ট করতে হবে। কারণ মূল্যায়নের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য অভিজ্ঞতার রেকর্ড সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে।

যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ

ইউরোপে মুসলিম বিদ্বেষিতা নতুন কিছু নয়। মধ্যযুগ থেকে এর সূত্রপাত। মধ্যযুগে খ্রিষ্টানদের কাছে জেরুজালেম শহরটি ছিল তাদের ধর্মীয় প্রেরণার প্রধান কেন্দ্র। তাদের...

হোয়াইট কলার বা ভদ্রবেশী  অপরাধ কী এবং বাংলাদেশে ভদ্রবেশী অপরাধের সংঘটন

হোয়াইট কলার অপরাধ। এর কোনো আইনগত সংজ্ঞা নেই। বাংলা শব্দে এটা ‘ভদ্রবেশী অপরাধ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর উৎপত্তি হলেও ক্রমে তা বিভিন্ন রাষ্ট্রে...
আরও পড়তে পারেন

শিরক কী, মানুষ কীভাবে শিরকে লিপ্ত হয়

ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে স্রষ্টা তার কোনো ক্ষমতাতেই কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করেননি। অর্থাৎ আল্লাহই একমাত্র একক ইলাহ যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টির...

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝায়

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource management) হলো একই সঙ্গে একটি অধ্যয়নের বিষয় ও ব্যবস্থাপনা কৌশল যা একটি প্রতিষ্ঠানের...

টপ্পা গান কী, টপ্পা গানের উৎপত্তি, বাংলায় টপ্পা গান ও এর বিশেষত্ব

টপ্পা গান এক ধরনের লোকিক গান বা লোকগীতি যা ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। এই টপ্পা গান বলতে...

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে কী বোঝায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি বা রাষ্ট্রচিন্তা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখাবিশেষ যেখানে পরিচালন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়।  এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র...

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী বা গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়

গণতন্ত্র বলতে কোনো জাতিরাষ্ট্রের অথবা কোনো সংগঠনের এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বা পরিচালনাব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক...

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here