০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা— ইতিহাস, আয়তন, সময়সূচি, প্রবেশমূল্য এবং অন্যান্য তথ্য

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ১২:০৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ম্যাপ

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি চিড়িয়াখানা। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে এ চিড়িয়াখানা ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থান মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা উদ্বোধন ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় জুন ২৩, ১৯৭৪ তারিখ।

বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী ঢাকা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নাম পরিবর্তন করে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নামকরণ করা হয়। ঢাকা চিড়িয়াখানার বার্ষিক বাজেট ৩৭.৫ মিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন টাকা পশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যয় করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেতরে একটি জাদুঘর রয়েছে ও একটি মসজিদ রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ইতিহাস

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকা শহরের শাহবাগে তৎকালীন নবাবরা একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার গোড়াপত্তন করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানার অভাব অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের সামনে বর্তমান ইদগাহ এলাকায় ৪-৫ একর জায়গা জুড়ে ছোট আকারের একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। চিড়িয়াখানাটিতে একটি বড়ো পুকুর এবং পাড়ের খানিকটা জায়গা জুড়ে একটি বলাকা প্রদর্শনী ছিল। সেখানে রাজহাঁস, পাতিহাঁস, শীতের পরিযায়ী হাঁস এবং অন্যান্য পাখি ছিল। হাড়গিলা, সারস এবং ময়ূরও প্রদর্শিত হত। বানর, হনুমান আর হরিণ ছিল। সরিসৃপের মধ্যে অজগর ও কুমির ছিল প্রধান।

ঢাকায় একটি আধুনিক চিড়িয়াখানা স্থাপনের ব্যাপারে প্রথম সরকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে। তৎকালীন কৃষি, সহযোগিতা ও ত্রাণ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সে বছর ২৬ ডিসেম্বর প্রস্তাবনাটি চুড়ান্তভাবে ঘোষিত হয়। এরপর চিড়িয়াখানা স্থাপনের কোনপ্রকার উদ্যোগ ছাড়াই এক দশক পার হয়ে যায়। ১৯৬১ সালের ১১ মার্চ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের বরাতে এক উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ পরিষদের কাজ ছিল প্রস্তাবিত চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দান। তদানীন্তন পশুপালন সার্ভিসের পরিচালক এই পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

ঢাকা চিড়িয়াখানার আয়তন

ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর। চিড়িয়াখানার চত্বরে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক আছে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণী বৈচিত্র

ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা তথা ঢাকা চিড়িয়াখানায় ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি প্রাণী রয়েছে। প্রধান কিছু প্রাণীর মধ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এশীয় সিংহ, লোনা পানির কুমির, ইমপালা, এমু, টাপির, এশীয় কালো ভাল্লুক ইত্যাদি।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সময়সূচি

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারী ছুটির দিন হলে সেই রবিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।

  • গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে
  • শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশমূল্য

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করার জন্য জনসাধারণের জন্য টিকেট ক্রয় করা বাধ্যতামূলক। চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য প্রতি টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ টাকা মাত্র। দুই বছর বয়সের বেশি সকলের জন্যই ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট প্রযোজ্য। চিড়িয়াখানার ভেতরে অবস্থিত জাদুঘরে প্রবেশের জন্য চাইলে অতিরিক্ত ১০ টাকা দিয়ে টিকেট ক্রয় করয়ে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক পরিশোধ করেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে নিজেদের শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র (স্টুডেন্ট আইডি কার্ড) প্রদর্শন করতে হয়।
  • বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হবে না, তারা ফ্রিতেই বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন।

ঢাকা চিড়িয়াখানায় কীভাবে যাওয়া যায়

ঢাকার সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, দোলাইর পার, মতিঝিল, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, গাবতলী হতে মিরপুর-চিড়িয়াখানাগামী যে-কোনো বাস, ট্যাক্সি, অটোরিকশা (সিএনজি) বা কার যোগে চিড়িয়াখানা যাওয়া যায়।

এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

দাপ্তরিক নামবাংলা: বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা
ইংরেজি: Bangladesh National Zoo
অন্য নামপূর্বনাম (বাংলা): ঢাকা চিড়িয়াখানা
পূর্বনাম (ইংরেজি): Dhaka Zoo
[বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’ বা শুধু ‘চিড়িয়াখানা’ নামেই অধিক পরিচিত।
অবস্থানমিরপুর, ঢাকা
উদ্‌বোধনজুন ২৩, ১৯৭৪
যে মন্ত্রণালয়ের অধীনমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
আয়তন৭৫ হেক্টর (প্রায়)
প্রবেশমূল্য২ বছর বয়সের অধিক প্রতি জনের জন্য ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট বাধ্যতামূলক
শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ টাকা (আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে)
প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ
চিড়িয়াখানার ভেতরের জাদুঘরে প্রবেশের টিকেট ১০ টাকা
সময়সূচিএপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে
নভেম্বর থেকে মার্চ মাসে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সাপ্তাহিক বন্ধরবিবার
[রবিবার যদি সরকারি ছুটির দিন হয় তাহলে চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে]
বিষয়:

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা— ইতিহাস, আয়তন, সময়সূচি, প্রবেশমূল্য এবং অন্যান্য তথ্য

প্রকাশ: ১২:০৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি চিড়িয়াখানা। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে এ চিড়িয়াখানা ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থান মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা উদ্বোধন ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় জুন ২৩, ১৯৭৪ তারিখ।

বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী ঢাকা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নাম পরিবর্তন করে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নামকরণ করা হয়। ঢাকা চিড়িয়াখানার বার্ষিক বাজেট ৩৭.৫ মিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন টাকা পশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যয় করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেতরে একটি জাদুঘর রয়েছে ও একটি মসজিদ রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ইতিহাস

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকা শহরের শাহবাগে তৎকালীন নবাবরা একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার গোড়াপত্তন করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানার অভাব অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের সামনে বর্তমান ইদগাহ এলাকায় ৪-৫ একর জায়গা জুড়ে ছোট আকারের একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। চিড়িয়াখানাটিতে একটি বড়ো পুকুর এবং পাড়ের খানিকটা জায়গা জুড়ে একটি বলাকা প্রদর্শনী ছিল। সেখানে রাজহাঁস, পাতিহাঁস, শীতের পরিযায়ী হাঁস এবং অন্যান্য পাখি ছিল। হাড়গিলা, সারস এবং ময়ূরও প্রদর্শিত হত। বানর, হনুমান আর হরিণ ছিল। সরিসৃপের মধ্যে অজগর ও কুমির ছিল প্রধান।

ঢাকায় একটি আধুনিক চিড়িয়াখানা স্থাপনের ব্যাপারে প্রথম সরকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে। তৎকালীন কৃষি, সহযোগিতা ও ত্রাণ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সে বছর ২৬ ডিসেম্বর প্রস্তাবনাটি চুড়ান্তভাবে ঘোষিত হয়। এরপর চিড়িয়াখানা স্থাপনের কোনপ্রকার উদ্যোগ ছাড়াই এক দশক পার হয়ে যায়। ১৯৬১ সালের ১১ মার্চ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের বরাতে এক উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ পরিষদের কাজ ছিল প্রস্তাবিত চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দান। তদানীন্তন পশুপালন সার্ভিসের পরিচালক এই পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

ঢাকা চিড়িয়াখানার আয়তন

ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর। চিড়িয়াখানার চত্বরে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক আছে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণী বৈচিত্র

ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা তথা ঢাকা চিড়িয়াখানায় ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি প্রাণী রয়েছে। প্রধান কিছু প্রাণীর মধ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এশীয় সিংহ, লোনা পানির কুমির, ইমপালা, এমু, টাপির, এশীয় কালো ভাল্লুক ইত্যাদি।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সময়সূচি

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারী ছুটির দিন হলে সেই রবিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।

  • গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে
  • শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশমূল্য

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করার জন্য জনসাধারণের জন্য টিকেট ক্রয় করা বাধ্যতামূলক। চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য প্রতি টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ টাকা মাত্র। দুই বছর বয়সের বেশি সকলের জন্যই ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট প্রযোজ্য। চিড়িয়াখানার ভেতরে অবস্থিত জাদুঘরে প্রবেশের জন্য চাইলে অতিরিক্ত ১০ টাকা দিয়ে টিকেট ক্রয় করয়ে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক পরিশোধ করেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে নিজেদের শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র (স্টুডেন্ট আইডি কার্ড) প্রদর্শন করতে হয়।
  • বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হবে না, তারা ফ্রিতেই বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন।

ঢাকা চিড়িয়াখানায় কীভাবে যাওয়া যায়

ঢাকার সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, দোলাইর পার, মতিঝিল, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, গাবতলী হতে মিরপুর-চিড়িয়াখানাগামী যে-কোনো বাস, ট্যাক্সি, অটোরিকশা (সিএনজি) বা কার যোগে চিড়িয়াখানা যাওয়া যায়।

এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

দাপ্তরিক নামবাংলা: বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা
ইংরেজি: Bangladesh National Zoo
অন্য নামপূর্বনাম (বাংলা): ঢাকা চিড়িয়াখানা
পূর্বনাম (ইংরেজি): Dhaka Zoo
[বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’ বা শুধু ‘চিড়িয়াখানা’ নামেই অধিক পরিচিত।
অবস্থানমিরপুর, ঢাকা
উদ্‌বোধনজুন ২৩, ১৯৭৪
যে মন্ত্রণালয়ের অধীনমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
আয়তন৭৫ হেক্টর (প্রায়)
প্রবেশমূল্য২ বছর বয়সের অধিক প্রতি জনের জন্য ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট বাধ্যতামূলক
শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ টাকা (আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে)
প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ
চিড়িয়াখানার ভেতরের জাদুঘরে প্রবেশের টিকেট ১০ টাকা
সময়সূচিএপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে
নভেম্বর থেকে মার্চ মাসে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সাপ্তাহিক বন্ধরবিবার
[রবিবার যদি সরকারি ছুটির দিন হয় তাহলে চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে]