০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

আত্মহত্যা নয়, আত্মবিশ্বাসের জয় হোক

এইচ এম তৌফিকুর রহমান
  • প্রকাশ: ১১:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫৫৭ বার পড়া হয়েছে

আত্মহত্যা আইনের চোখে অপরাধ, ধর্মীয়ভাবে মহাপাপ

আত্মহত্যা মানবজাতির ইতিহাসে একটি পুরোনো ব্যাধি। কোনো ধর্ম কিংবা সংস্কৃতিতে আত্মহত্যা সংগঠিত করার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। একজন মানুষের আত্মহত্যা শুধু ঐ ব্যক্তি নয়, বরং তাঁর পরিবার, সমাজ এবং কখনো কখনো রাষ্ট্রের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। 

কেননা, স্বাস্থ্য শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয় বরং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গঠিত। এরফলে, একটি দেশের মানুষের অতিরিক্ত আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়া মানে সেই দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নেই, এটাই নির্দেশ করে। 

আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO), ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (IASP) এবং বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একযোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে আসছে। এ দিনটি আমাদের বার্তা দেয় যে, আত্মহত্যাকে প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য নিতে হবে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন। 

২০২২ সালের আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, কর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আশা তৈরী করা। শুধু ২০২২ এ নয় বরং তিন বছরের জন্য ২০২১-২৩ ত্রিবার্ষিক থিম হিসেব গ্রহণ করা হয়েছে, “Creating Hope through Action”.

আমরা যখন খুব বেশি ব্যক্তিকেন্দ্রীক কাজে ডুবে থাকি তখন আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া এবং পাওয়ার হিসেবটা লম্বা হতে থাকে। যখন এ দুটির মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় তখনই বাধে বিপত্তি। ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও হশে পড়ি আশাহত। অপরপক্ষে চিন্তা করুন, যখন মানুষ অন্যের জন্য, মানবতার জন্য কাজ করে তখন নিজের চাওয়াগুলো অতটা প্রভাব ফেলেনা আমাদের জীবনে। বরং অন্য কারো মুখে হাসি ফোটানোই যেন হয়ে ওঠে জীবনের মূল লক্ষ্য। আর অন্য কারো মূখে হাসি ফোটানোর যে অপার্থিব আনন্দ তা হয়ত এই পৃথিবীর কোন কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যাবেনা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান আমাদের বলছে আত্মহত্যা কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।  বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দিন প্রতি এ হার ২ হাজার ১৯১ জন। প্রতি লাখে প্রায় ১৬ জন। বিগত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। কাজেই আত্মহত্যা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। 

বাংলাদেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। যেখানে ২০১৬ সালে দেশে ৯, ০০০ এরও কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সংখ্যাটি যথাক্রমে ১০, ০০০ এবং ১১, ০০০-এর বেশি ছিল। করোনা মহামারিকালে এ যেন আগুনে ঘি ঢালা হয়েছে।  অর্থাৎ ২০২০ সালে সারা দেশে ১৪, ০০০ হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। যেখানে এখন করোনায় ১০ জনেরও কম মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন ৩০ এর বেশী মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এবং হলিক্রস স্কুলের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় আবারো আত্মহত্যার বিষয়টি সব মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। 

আত্মহত্যা মহাপাপ। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। এই দুটি বাক্য সবাই জানেন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? আত্মহত্যা নির্মূল বা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আইন, বিধি ও নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

আত্মহত্যার পেছনে আসলে বহুমাত্রিক কারণ থাকতে পারে। শুধু রাগের বশেই নয় বরং মানসিক সমস্যা থেকেও একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে পারেন। এছাড়াও আত্মহত্যার পেছনে অনেকগুলো সামাজিক কারণও জড়িত। যেমন, যৌতুক, বেকারত্ব, পারিবারিককলহ, প্ররোচনা, চাপ, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্য, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীনতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদি। 

এসব কারণে অনেকেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, সাইকোথেরাপি, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি, বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা, কথা বলার ও আবেগ ভাগািভাগি করার পরিবেশ তৈরি করা এবং আত্ম-সমালোচনা অপরিহার্য। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আরো বেশি করে সমন্বিত প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুয়ায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেসঙ্গে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। 

এছাড়াও স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে ট্রেনিং দিতে হবে যাতে তাঁরা তাদের আশেপাশের আত্মহত্যা প্রবণ মানুষদের শনাক্ত করতে পারে এবং সাপোর্ট দিতে পারে। 

বিষয়:

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

এইচ এম তৌফিকুর রহমান

শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

আত্মহত্যা নয়, আত্মবিশ্বাসের জয় হোক

প্রকাশ: ১১:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আত্মহত্যা মানবজাতির ইতিহাসে একটি পুরোনো ব্যাধি। কোনো ধর্ম কিংবা সংস্কৃতিতে আত্মহত্যা সংগঠিত করার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। একজন মানুষের আত্মহত্যা শুধু ঐ ব্যক্তি নয়, বরং তাঁর পরিবার, সমাজ এবং কখনো কখনো রাষ্ট্রের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। 

কেননা, স্বাস্থ্য শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয় বরং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গঠিত। এরফলে, একটি দেশের মানুষের অতিরিক্ত আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়া মানে সেই দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নেই, এটাই নির্দেশ করে। 

আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO), ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (IASP) এবং বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একযোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে আসছে। এ দিনটি আমাদের বার্তা দেয় যে, আত্মহত্যাকে প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য নিতে হবে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন। 

২০২২ সালের আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, কর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আশা তৈরী করা। শুধু ২০২২ এ নয় বরং তিন বছরের জন্য ২০২১-২৩ ত্রিবার্ষিক থিম হিসেব গ্রহণ করা হয়েছে, “Creating Hope through Action”.

আমরা যখন খুব বেশি ব্যক্তিকেন্দ্রীক কাজে ডুবে থাকি তখন আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া এবং পাওয়ার হিসেবটা লম্বা হতে থাকে। যখন এ দুটির মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় তখনই বাধে বিপত্তি। ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও হশে পড়ি আশাহত। অপরপক্ষে চিন্তা করুন, যখন মানুষ অন্যের জন্য, মানবতার জন্য কাজ করে তখন নিজের চাওয়াগুলো অতটা প্রভাব ফেলেনা আমাদের জীবনে। বরং অন্য কারো মুখে হাসি ফোটানোই যেন হয়ে ওঠে জীবনের মূল লক্ষ্য। আর অন্য কারো মূখে হাসি ফোটানোর যে অপার্থিব আনন্দ তা হয়ত এই পৃথিবীর কোন কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যাবেনা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান আমাদের বলছে আত্মহত্যা কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।  বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দিন প্রতি এ হার ২ হাজার ১৯১ জন। প্রতি লাখে প্রায় ১৬ জন। বিগত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। কাজেই আত্মহত্যা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। 

বাংলাদেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। যেখানে ২০১৬ সালে দেশে ৯, ০০০ এরও কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সংখ্যাটি যথাক্রমে ১০, ০০০ এবং ১১, ০০০-এর বেশি ছিল। করোনা মহামারিকালে এ যেন আগুনে ঘি ঢালা হয়েছে।  অর্থাৎ ২০২০ সালে সারা দেশে ১৪, ০০০ হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। যেখানে এখন করোনায় ১০ জনেরও কম মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন ৩০ এর বেশী মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এবং হলিক্রস স্কুলের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় আবারো আত্মহত্যার বিষয়টি সব মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। 

আত্মহত্যা মহাপাপ। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। এই দুটি বাক্য সবাই জানেন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? আত্মহত্যা নির্মূল বা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আইন, বিধি ও নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

আত্মহত্যার পেছনে আসলে বহুমাত্রিক কারণ থাকতে পারে। শুধু রাগের বশেই নয় বরং মানসিক সমস্যা থেকেও একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে পারেন। এছাড়াও আত্মহত্যার পেছনে অনেকগুলো সামাজিক কারণও জড়িত। যেমন, যৌতুক, বেকারত্ব, পারিবারিককলহ, প্ররোচনা, চাপ, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্য, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীনতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদি। 

এসব কারণে অনেকেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, সাইকোথেরাপি, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি, বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা, কথা বলার ও আবেগ ভাগািভাগি করার পরিবেশ তৈরি করা এবং আত্ম-সমালোচনা অপরিহার্য। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আরো বেশি করে সমন্বিত প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুয়ায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেসঙ্গে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। 

এছাড়াও স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে ট্রেনিং দিতে হবে যাতে তাঁরা তাদের আশেপাশের আত্মহত্যা প্রবণ মানুষদের শনাক্ত করতে পারে এবং সাপোর্ট দিতে পারে।