শুক্রবার, মার্চ ২৪, ২০২৩

প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং ও কাউন্সেলিং পদ্ধতি

বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স কোনটি বা বিয়ের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কীভাবে করতে হবে, সেই বিষয়ে কাউন্সেলিং সহায়তা করবে। সাধারণত দেখা যায় বিয়ের পাত্র-পাত্রীরা তাদের সঙ্গী কেমন হবে, পরিবারের সদস্যরা কেমন হবে, যৌন জীবন কেমন হবে ইত্যাদি বিষয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন। কাউন্সেলরের দায়িত্ব হবে তাদের কী কী সমস্যা আছে তা প্রথমে চিহ্নিত করা এবং সমস্যার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা যেন তারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পায় ও তাদের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

মনস্তত্ত্ববিদেরা মনে করেন সুস্থ ও উন্নত বিবাহিত জীবন পেতে হলে অবশ্যই প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং বা পরামর্শ নেওয়া দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে দুই জন মানুষের মধ্যে যেসব সমস্যা দেখা যায়, তার অনেকটাই আসে ভুল প্রত্যাশা থেকে এবং বিয়ে-পরবর্তী জীবন সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে। প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং-এর সাহায্যে এই বিষয়গুলোর মোকাবিলা করা যায়। এই কারণেই একজন পরিবার কল্যাণ কর্মী হিসেবে ভবিষ্যৎ দম্পতিকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং কী এবং কোন পদ্ধতিতে প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং করা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং

কাউন্সেলিং জেনে শুনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে মানুষ যখন নতুন পরিবেশে বা অবস্থানে জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তখন কাউন্সেলিং সেই অবস্থা থেকে উত্তরণে সাহায্য করে । এটা এমন একটা প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা যা মানুষকে তাদের নিজেদেরকে ভালো করে চিনতে শেখায় বা বুঝতে শেখায়। আর সেই সঙ্গে আমরা যে বিরূপ বা জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের মনে স্বচ্ছ ধারণার জন্ম দেয়। এর সাহায্যে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা বা বোধ গড়ে ওঠে, নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল হয়ে উঠি এবং গঠনমূলক উপায়ে প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করতে সক্ষম হই।

কাউন্সেলিং ক্লায়েন্টের আচার-আচরণে পরিবর্তন আনে, আত্মনির্ভরতা ও মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। এসব কিছুই একজন মানুষের সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়তা করে এবং জীবনের সফলতার সাথেও এর গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

অবিবাহিত যুবক বা যুবতীদের বিয়ে সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে কাউন্সেলিং করার সময় সঠিক তথ্য দিয়ে তাদের সাহায্য করতে হবে। বিবাহ কোনো জটিল বা বিরূপ পরিস্থিতি নয়। এটি মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া— যার মাধ্যমে মানুষ জীবনের একটি নতুন অধ্যায়/ধাপে/পরিবেশে/নতুন জীবনে প্রবেশ করে। এটি পারস্পরিক দায়িত্ব পালনের চুক্তি বা অঙ্গীকার। পারস্পরিক আশা, ভরসা, নির্ভরতা ও অঙ্গীকারের সমন্বয়। এতে পরস্পরকে খাপ খাওয়াতে হয়। না পারলে বিরোধের আশঙ্কা থেকেই যায়। দ্বন্দ্ব ও বিরোধ মীমাংসা না হলে তা থেকে অশান্তি, অস্থিতিশীলতা, নির্যাতন ও চূড়ান্ত পর্যায়ে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিং এক্ষেত্রে যুব বয়সীদের সাহায্য করতে পারে।

বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স কোনটি বা বিয়ের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কীভাবে করতে হবে, সেই বিষয়ে কাউন্সেলিং সহায়তা করবে। সাধারণত দেখা যায় বিয়ের পাত্র-পাত্রীরা তাদের সঙ্গী কেমন হবে, পরিবারের সদস্যরা কেমন হবে, যৌন জীবন কেমন হবে ইত্যাদি বিষয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন। কাউন্সেলরের দায়িত্ব হবে তাদের কী কী সমস্যা আছে তা প্রথমে চিহ্নিত করা এবং সমস্যার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা যেন তারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পায় ও তাদের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অনেক সময় বিয়ে নিয়ে যুববয়সীদের মনে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়, যা নিরসন করা জরুরি। আবার অতীতের কোন অভিজ্ঞতাও তাদের বর্তমান আচরণ এবং সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় কেউ কেউ কোনো একটা বিষয় নিয়ে ভবিষ্যৎ আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে কাউন্সেলিং তাদের জীবনের হতাশা, উৎকন্ঠা বা ভুল ধারণা দূর করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং করার সময় যে সব বাধা আসতে পারে

প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং-এর সময় সামনাসামনি মৌখিক যোগাযোগ করতে হয়। এক্ষেত্রেকাউন্সেলরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তাকে সাহায্য করতে হয়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ব্যক্তির জীবনের সমস্যার সমাধানে কাউন্সেলর অনেকগুলো দিক নির্দেশনা বা উদাহরণ তুলে ধরেন, যা থেকে ব্যক্তি তার জন্য উপযুক্ত নির্দেশনাটি বেছে নেন এবং নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। কাউন্সেলিং-এর ক্ষেত্রে যে বাধা আসতে পারে—

  • কাউন্সেলরের নিজের প্রস্তুতি না থাকলে ক্লায়েন্টের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক হতে না পারলে
  • কাউন্সেলরের নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কম থাকলে
  • বিষয় সম্পর্কে কাউন্সেলরের সার্বিক জ্ঞান না থাকলে
  • কাউন্সেলর এবং অবিবাহিত যুবক-যুবতীর মধ্যে বয়সের বেশি পার্থক্য থাকলে গ্রহীতার চাহিদা/প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে
  • বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে না পারলেবার্তা উপলব্ধি করতে না পারলে
  • ক্লায়েন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখতে না পারলে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে
  • অংশগ্রহণকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে বা বিশ্বাস স্থাপন করতে না পারলে 
  • কৌশলগত দিক, ভাষার ব্যবহার, উপকরণের যথাযথ ব্যবহার করতে না পারলে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ক্লায়েন্টের উপর প্রভাব খাটালে
  • ক্লায়েন্টের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে না পারলে
  • নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখাতে পারলে
  • ক্লায়েন্টের প্রতি অবহেলা বা অবজ্ঞা প্রকাশ করলে
  • সবজান্তা ভাব, গর্বিত বা উদ্ধত ভাব প্রদর্শন করলে।

ক্লায়েন্টের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও আন্তরিকতার সাথে কথা বলে কাউন্সেলিং-এর অনেক বাধা দূর করা যায়।

প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং-এর মূলনীতি

আগেই আলোচনা করা হয়েছে যে, কাউন্সেলিং একটি প্রক্রিয়া যা প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং-এর ক্ষেত্রে অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের সিদ্ধান্ত নিতে এবং সিদ্ধান্তগুলি চর্চা করতে সহায়তা করে। গুণগত ও কার্যকর কাউন্সেলিং-এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে ক্লায়েন্ট-কেন্দ্রিক পরামর্শ প্রদান।

বিয়ের উপযুক্ত বয়সে উপনীত যুবক-যুবতীদের কাউন্সেলিং-এ ইতিবাচক ফলাফল আনতে অর্থাৎ কাউন্সেলিং-এর উদ্দেশ্য সফল করতে যার সাথে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কাউন্সেলর আগ্রহ নিয়ে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে কথা বলা শুরু করতে পারেন এবং ফলো-আপসহ কাউন্সেলিং এর প্রত্যেকটি ধাপে যুবক-যুবতীদের গুরুত্ব দিয়ে ভালো ব্যবহার ও সম্মান দেখিয়ে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে পারেন। প্রাক-বৈবাহিক সময়ে যুবক-যুবতীদের কার্যকর কাউন্সেলিং-এর আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে তাদের চাহিদা বোঝা এবং সেইভাবে তাকে তথ্য দেয়া। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, বিবাহ সম্পর্কিত ভাবনা বা আশংকাগুলো সবার একই রকম হবে না। পরিবেশ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিস্থিতির উপর চাহিদা নির্ভর করে। একজন সফল কাউন্সেলরকে সবকিছু বিবেচনা করে চাহিদা বের করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারলে অবিবাহিত যুবক-যুবতীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। শুধু সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেক কিশোরী ও নারী বিয়ের প্রথম রাত থেকেই গর্ভধারণের দিকে এগিয়ে যায়। আবার তথ্য না থাকার কারণেই দেখা যায় একজন অপুষ্ট মা অপুষ্ট শিশুর জন্ম দিচ্ছে কিংবা গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্যগত জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন, এমন কি অকালে মারা যাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে যে, কাউন্সেলর যেন কিছুতেই নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে না দেন। বরং জীবন ঘনিষ্ট উপযুক্ত উদাহরণ ও তথ্য দিয়ে তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেন এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেবা প্রদান করেন। কাউন্সেলরের আরেকটি বড় কাজ হবে তথ্যগুলো ক্লায়েন্টকে মনে রাখতে সাহায্য করা এবং তিনি যে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নিন না কেন, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তাকে সহায়তা করা। 

কাউন্সেলিং-এর মূলনীতি

কাউন্সেলিং-এর মূলনীতি হলো, ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার ও সম্মান দেখিয়ে তার সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। উপযুক্ত তথ্য প্রদান করে পছন্দ অনুযায়ী তথ্য দেওয়া। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাহায্য করা। কোনো কিছু বুঝতে ও মনে রাখতে না পারলে তাকে সহায়তা করা।

কাউন্সেলিং-এর সময় যোগাযোগ উপকরণ ব্যবহারের সুবিধা

মানুষ দেখে ও শুনে শিখতে পছন্দ করে। কাউন্সেলিং-এর সময় শুধু আলোচনা না করে বা পরামর্শ না দিয়ে যোগাযোগ উপকরণ দেখিয়ে বিষয় সম্পর্কে তাদের মনোযোগী করে তুলতে পারা যায়। আনন্দের মাধ্যমে শিখতে পারলে মানুষ তা মনে রাখতে পারে এবং ঘটনা ও বিষয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। এতে করে ফলপ্রসূ আলোচনা করা সম্ভব হয়। যোগাযোগ উপকরণের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে আপনার দেওয়া তথ্যের গুরুত্ব বাড়বে এবং আপনার গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হবে। উপকরণ দেখা ও শিখনের একটি পরিবেশ তৈরি করা যা আলোচনাকে অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক করে। উপকরণ ব্যবহার করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে, এটি অভিজ্ঞতামূলক শিখনে সহায়তা করে যা অনেক বেশি জীবন ঘনিষ্ট হয় এবং বার্তাগুলো বুঝে, যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে আচরণ পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করে এবং বার্তাকে নিজের মতো করে ধারণ করতে (আত্মীকরণ) এবং মনে রাখতে সহায়তা করে।

— প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং বিষয়ক গাইডবুক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বাংলাদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে 'বিশ্লেষণ'-এর জন্য স্পনসরশিপ খোঁজা হচ্ছে। আগ্রহীদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইমেইল: contact.bishleshon@gmail.com

এ বিষয়ের আরও নিবন্ধ

রেটিনার অবক্ষয়জনিত দৃষ্টিহীনতা এবং প্লুরিপোটেন্টস্টেম কোষ থেরাপি

মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বা দৃষ্টিসূক্ষ্মতা হলো ২০/২০। অর্থাৎ, এ ধরণের দৃষ্টির সংজ্ঞা হচ্ছে ২০ ফুট দূর থেকে একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখার ক্ষমতা।...

হোয়াইট কলার বা ভদ্রবেশী  অপরাধ কী এবং বাংলাদেশে ভদ্রবেশী অপরাধের সংঘটন

হোয়াইট কলার অপরাধ। এর কোনো আইনগত সংজ্ঞা নেই। বাংলা শব্দে এটা ‘ভদ্রবেশী অপরাধ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর উৎপত্তি হলেও ক্রমে তা বিভিন্ন রাষ্ট্রে...

ক্রমহ্রাসমান মানব Y (ওয়াই)-ক্রোমোজোম নিয়ে নানা উদ্বেগ ও জেন্ডার সমতায় দৃষ্টিপাত

যে প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে নর ও নারী তাদের স্বতন্ত্র শারীরবৃত্তীয়তা অর্জন করে, তার মুলে রয়েছে নারী-পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের ভিন্নতা। মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের...

মনোবিজ্ঞান কাকে বলে— এর উৎপত্তি ও সংজ্ঞা

‘সাইকি’ (Psyche) এবং ‘লোগোস’ (Logos) এই দুটি শব্দের সমম্বয়ে গঠিত শব্দ ‘সাইকোলজি’ (Psychology)। শব্দ দুটি গ্রিক ভাষা থেকে এসেছে। ‘সাইকি’ অর্থ আত্মা...

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষার যুগে বাংলাদেশ

যেহেতু অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা একটি নতুন ধারণা, তাই বাস্তবায়নের জন্য এমন একটি কমিটি থাকা উচিত যারা ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে পাঠ্যক্রমটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম রেকর্ড করার জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে তাও স্পষ্ট করতে হবে। কারণ মূল্যায়নের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য অভিজ্ঞতার রেকর্ড সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে।

যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ

ইউরোপে মুসলিম বিদ্বেষিতা নতুন কিছু নয়। মধ্যযুগ থেকে এর সূত্রপাত। মধ্যযুগে খ্রিষ্টানদের কাছে জেরুজালেম শহরটি ছিল তাদের ধর্মীয় প্রেরণার প্রধান কেন্দ্র। তাদের...

হোয়াইট কলার বা ভদ্রবেশী  অপরাধ কী এবং বাংলাদেশে ভদ্রবেশী অপরাধের সংঘটন

হোয়াইট কলার অপরাধ। এর কোনো আইনগত সংজ্ঞা নেই। বাংলা শব্দে এটা ‘ভদ্রবেশী অপরাধ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর উৎপত্তি হলেও ক্রমে তা বিভিন্ন রাষ্ট্রে...
আরও পড়তে পারেন

শিরক কী, মানুষ কীভাবে শিরকে লিপ্ত হয়

ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে স্রষ্টা তার কোনো ক্ষমতাতেই কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করেননি। অর্থাৎ আল্লাহই একমাত্র একক ইলাহ যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টির...

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝায়

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource management) হলো একই সঙ্গে একটি অধ্যয়নের বিষয় ও ব্যবস্থাপনা কৌশল যা একটি প্রতিষ্ঠানের...

টপ্পা গান কী, টপ্পা গানের উৎপত্তি, বাংলায় টপ্পা গান ও এর বিশেষত্ব

টপ্পা গান এক ধরনের লোকিক গান বা লোকগীতি যা ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। এই টপ্পা গান বলতে...

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে কী বোঝায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি বা রাষ্ট্রচিন্তা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখাবিশেষ যেখানে পরিচালন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়।  এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র...

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী বা গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়

গণতন্ত্র বলতে কোনো জাতিরাষ্ট্রের অথবা কোনো সংগঠনের এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বা পরিচালনাব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here