বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত; ভেটো দিয়ে কী পেয়েছে তুরস্ক এবং রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?

তুরস্ক তার যে দাবি দাওয়া ছিল তা ন্যাটো সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে ফিরে পেলো এবং চূড়ান্ত হলো সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া। তুরস্কের কুর্দিদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেবে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। এখন রাশিয়া কী করবে?

সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড (Finland) এবং সুইডেনের (Sweden) যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় সম্মেলনে। এর আগে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে তুরস্ক ভেটো দিয়েছিল এবং তুরস্কের (Türkiye) ভেটো ক্ষমতা রয়েছে কারণ তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। আর ন্যাটোতে নতুন কোন দেশ যুক্ত করতে হলে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন দরকার হয়। কিন্তু চলমান ন্যাটো সম্মেলনে এ সমস্যার সমাধান হয় এবং ন্যাটোতে যোগদানে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের আর কোন বাধা থাকলো না। এ বছরের ন্যাটোর সম্মেলন হচ্ছে মাদ্রিদে যা গত ২৮ জুন শুরু হয় এবং ৩০ জুন পর্যন্ত চলে।

ন্যাটো (NATO) কী?

NATO-এর পূর্ণরূপ হলো North Atlantic Treaty Organization অর্থাৎ উত্তর আটলান্টিক চুক্তি প্রতিষ্ঠান যা একটি সামরিক জোট। এই সামরিক জোট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল এবং এর সদরদপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। বর্তমানে ন্যাটোভুক্ত দেশের সংখ্যা বা ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র ৩০ টি। 

কেন ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয় বা এদের কাজ কী?

ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি হয় যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ন্যাটোভুক্ত সদস্য দেশগুলো। ন্যাটোর সাথে রয়েছে এমন প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখতে বদ্ধপরিকর।

কেন সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে? 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান যা ঘটছে মূলত ইউক্রেনের (Ukraine) ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া নিয়ে। কিন্তু এই যুদ্ধের মধ্যেই ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করে যদিও এর আগে ন্যাটোতে যোগ দেবে না বা যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিল না উত্তর ইউরোপের এই দেশ দুটির।

রাশিয়া (Russia) বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আক্রমনও করেছে এবং বর্তমানে যুদ্ধ চলমান তাই ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে খুব চিন্তিত বিশেষকরে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমনের পরে। তাছাড়া, ২০১৪ সালে রাশিয়ার বিমান বাহিনী সুইডেনের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল এবং নানা হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে বিভিন্ন সময়ে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে, তাই এই দেশ দুটি ন্যাটোতে যুক্ত হতে চায় যাতে করে তারা সহযোগিতা পায় এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় কমে যায়।

ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে তুরস্কের আপত্তি ছিল কেন?

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে ফিনল্যান্ডে রাশিয়ার সরবরাহ করা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে দেখা যায়। তবে এই দুই দেশের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়ো সমস্যা ছিল তুরস্কের আপত্তি। তুরস্কের প্রসিডেন্ট এরদোয়ান সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানে আপত্তি এবং ভেটো প্রদান করে। ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর সমর্থন ছিল কিন্তু তুরস্ক এখানে বাধা দেয়। কারণ যদি এই দুই দেশ ন্যাটোতে যোগ দেয় তাহলে তা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে তুরস্ক।

তুরস্কে বসবাসকারী কুর্দিদের উপর সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সমর্থন রয়েছে। কুর্দিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দাবি করে এবং বিভিন্ন সামরিক অভিযান, ধর্মঘট করে যেখানে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সমর্থন রয়েছে বলে তুরস্ক মনে করা হয়। পুরো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অতিথিশালা। এ অবস্থায় সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড যদি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার না করে তবে তুরস্ক ন্যাটোতে যোগদানে সমর্থন করবে না এমনটি বলা হয়। নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে, বামপন্থি, চরমপন্থি গোষ্ঠী ডিএইচকেপি-সি ও যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীদের সমর্থন করে আসছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

২০১৬ সালে তুরস্কে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে ছিলেন নেতা ফেতুল্লাহ। এছাড়া, ২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযানের পর ইইউ সদস্য দেশগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই তালিকায় সুইডেন-ফিনল্যান্ডও ছিল। তাই তুরস্ক এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অ্যাখ্যা দিতে দাবি করে। এর আগে ১৯৮০ সালে তুরস্ক ন্যাটোতে গ্রিসকে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয় এবং পরে ন্যাটোর সহযোগিতা নিয়ে তুরস্কবিরোধী হয় গ্রিস এবং সে ধরনের ভুল তুরস্ক করতে চান না।

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে অফিসিয়ালি আমন্ত্রণ জানিয়েছে ন্যাটো (NATO)

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সম্মতি দেওয়ায় কী পেয়েছে তুরস্ক?

তুরস্ক তার যে দাবি দাওয়া ছিল তা ন্যাটো সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে ফিরে পেলো এবং চূড়ান্ত হলো সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া। তুরস্কের কুর্দিদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেবে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। এছাড়া সিরিয়া যুদ্ধের সময় দেওয়া অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এর ফলে তুরস্ক তার দাবি-দাওয়া পূরণে সক্ষম হলো।

রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? 

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালেও সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডে হামলা চালানোর বিষয়ে ভাববে। আর ইউক্রেন ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভুক্ত রাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার রয়েছে অনেক বড়ো সীমান্ত যা ফিনল্যান্ডের তুলনায় বেশি। তাই সুইডেন বা ফিনল্যান্ডে হয়তো আক্রমন করবে না। তবে পুতিন ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যদি ন্যাটোর সেনা মোতায়েন করা হয় এই দুই দেশে এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা বা কোন সেনা ঘাঁটি তৈরি করা হয় তাহলে রাশিয়া তার জবাব দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়াকে যুদ্ধের মধ্যে রেখেছে এবং ইউক্রেনে যেভাবে রাশিয়া হামলা করছে ঠিক তেমনি কম হলেও রাশিয়া পাল্টা আক্রমণের স্বীকার হচ্ছেন। আর এখানে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে যদিও সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি। এতে রাশিয়ার অর্থনীতি যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিশ্চিত।

করোনাভাইরাস মহামারী পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি এবং অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। এর মধ্যে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে যুক্ত করা নিয়ে যদি রাশিয়া কোনভাবে যুদ্ধ জড়িয়ে যায় তবে তা পশ্চিমাদের পাতা আরেকটি ফাঁদে রাশিয়া পা দেবে এমনটাও হতে পারে। তবে ইউক্রেনের মতো এখানে রাশিয়ার ততটা সমস্যা নেই। কারণ ইউক্রেনের সাথে দীর্ঘ সীমান্তের পাশাপাশি কৃষ্ণসাগরের মাধ্যমে রাশিয়া তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে।

ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করার মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউক্রেনের সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং এখানে এসে আমেরিকা রাশিয়ার বাণিজ্যিক বিষয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়া আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে। এছাড়া, ইউক্রেনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া (Crimea) যুদ্ধে জড়িয়ে দখল করে নেয়। যার জন্য জি-৭ জোট থেকে বের করে দেওয়া হয় রাশিয়াকে।

মো. আসাদুল আমীন
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে 'বিশ্লেষণ'-এর জন্য স্পনসরশিপ খোঁজা হচ্ছে। আগ্রহীদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইমেইল: contact.bishleshon@gmail.com

এ বিষয়ের আরও নিবন্ধ

কে২: বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ

কে২ বা কেটু (K2) এভারেস্ট পর্বতের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮,৬১১ মিটার (২৮,২৫১ ফুট)। হিমালয় পর্বতমালার...

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: জম্মু ও কাশ্মীর

জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি, এটি ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর অংশে অবস্থিত এবং কাশ্মীরের বৃহত্তর অঞ্চলের অংশ, যা ১৯৪৭ সাল...

রাশিয়ার পারমাণবিক মহড়া ও শংকটাপূর্ণ যুদ্ধাবস্থা— পরিস্থিতির দায় কার?

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিলেন। চলতি মাসেই পারমাণবিক অস্ত্রের বড়ো ধরনের মহড়া চালাতে যাচ্ছে রাশিয়া। এর...

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশ, বৈশ্বিক দায় ও দায়িত্বশীলতা

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের এ জয়ের পথ মোটেই মসৃন ছিল না।  দেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি...

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষার যুগে বাংলাদেশ

যেহেতু অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা একটি নতুন ধারণা, তাই বাস্তবায়নের জন্য এমন একটি কমিটি থাকা উচিত যারা ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে পাঠ্যক্রমটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম রেকর্ড করার জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে তাও স্পষ্ট করতে হবে। কারণ মূল্যায়নের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য অভিজ্ঞতার রেকর্ড সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে।

যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ

ইউরোপে মুসলিম বিদ্বেষিতা নতুন কিছু নয়। মধ্যযুগ থেকে এর সূত্রপাত। মধ্যযুগে খ্রিষ্টানদের কাছে জেরুজালেম শহরটি ছিল তাদের ধর্মীয় প্রেরণার প্রধান কেন্দ্র। তাদের...

হোয়াইট কলার বা ভদ্রবেশী  অপরাধ কী এবং বাংলাদেশে ভদ্রবেশী অপরাধের সংঘটন

হোয়াইট কলার অপরাধ। এর কোনো আইনগত সংজ্ঞা নেই। বাংলা শব্দে এটা ‘ভদ্রবেশী অপরাধ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর উৎপত্তি হলেও ক্রমে তা বিভিন্ন রাষ্ট্রে...
আরও পড়তে পারেন

শিরক কী, মানুষ কীভাবে শিরকে লিপ্ত হয়

ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে স্রষ্টা তার কোনো ক্ষমতাতেই কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করেননি। অর্থাৎ আল্লাহই একমাত্র একক ইলাহ যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টির...

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝায়

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource management) হলো একই সঙ্গে একটি অধ্যয়নের বিষয় ও ব্যবস্থাপনা কৌশল যা একটি প্রতিষ্ঠানের...

টপ্পা গান কী, টপ্পা গানের উৎপত্তি, বাংলায় টপ্পা গান ও এর বিশেষত্ব

টপ্পা গান এক ধরনের লোকিক গান বা লোকগীতি যা ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। এই টপ্পা গান বলতে...

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে কী বোঝায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি বা রাষ্ট্রচিন্তা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখাবিশেষ যেখানে পরিচালন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়।  এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র...

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী বা গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়

গণতন্ত্র বলতে কোনো জাতিরাষ্ট্রের অথবা কোনো সংগঠনের এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বা পরিচালনাব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here