০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
                       

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব উপন্যাসের তালিকা এবং সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আহমেদ মিন্টো
  • প্রকাশ: ১১:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / ২৫৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অনন্ত জীবন, চিরজীবী মানবাত্মা ও প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্যের কবি। মৃত্যুকে তিনি দেখেছেন মহাজীবনের যতি হিসেবে। জীবন-মৃত্যু ও জগৎ-সংসার তাঁর নিকট প্রতিভাত হয় এক অখন্ড রূপে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস বাংলা ভাষায় তার অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম। ১৮৮৩ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট ১৩ টি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এছাড়া একটি অসমাপ্ত উপন্যাসও রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসমাপ্ত উপন্যাসের নাম— করুণা। করুণা উপন্যাসটি তাঁর জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। করুণা বাদ দিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মোট উপন্যাস ১৩ টি ধরা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব উপন্যাসের পরিচিতি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩ টি উপন্যাসের তালিকা—

  1. বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)
  2. রাজর্ষি (১৮৮৭)
  3. চোখের বালি (১৯০৩)
  4. নৌকাডুবি (১৯০৬)
  5. প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮)
  6. গোরা (১৯১০)
  7. ঘরে বাইরে (১৯১৬)
  8. চতুরঙ্গ (১৯১৬)
  9. যোগাযোগ (১৯২৯)
  10. শেষের কবিতা (১৯২৯)
  11. দুই বোন (১৯৩৩)
  12. মালঞ্চ (১৯৩৪)
  13. চার অধ্যায় (১৯৩৪)

করুণা (১৮৭৭-১৮৭৮) (১৯৬১)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস লেখার প্রথম প্রচেষ্টা হলো ‘করুণা’। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি এটি লিখেছিলেন। তবে এটি তাঁর জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। এটি ‘ভারতী’ পত্রিকায় ১৮৭৭-১৮৭৮ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলীতে ‘করুণা’ প্রথম প্রকাশিত হয়। এটির পরিশেষ হয়নি বলে এটি উপন্যাসের সম্পূর্ণ মর্যাদা পায় নি (অসমাপ্ত উপন্যাস)। এটিকে বাদ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ মোট তেরোটি উপন্যাস লিখেছেন।

অসমাপ্ত ‘করুণা’ উপন্যাসের চরিত্র— করুণা, নরেন্দ্র, মহেন্দ্র, পন্ডিত রঘুনাথ, মহিনী এবং অনূপকুমার।

বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)

রবীন্দ্রনাথের প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত উপন্যাস হলো বৌ-ঠাকুরাণীর হাট। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য ও বাকলার জমিদার রামচন্দ্রের বিবাদকে উপজীব্য করে রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বৌ-ঠাকুরাণীর হাট অবলম্বনে রচিত হয় রবীন্দ্রনাথের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকটি। প্রায়শ্চিত্ত ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে পুনর্লিখিত হয়ে ‘পরিত্রাণ’ নামে মুদ্রিত হয়। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বৌ-ঠাকুরাণীর হাট’ উপন্যাসের প্রশংসা করেছেন।

‘বৌ-ঠাকুরাণীর হাট’ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৫৩ সালে ‘বউ ঠাকুরাণীর হাট’ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন নরেশ মিত্র।

রাজর্ষি (১৮৮৭)

রাজর্ষি হলো ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসটি মানবতা পক্ষে ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে রাজর্ষি উপন্যাসের প্রথম অংশের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় তার বিখ্যাত নাটক ‘বিসর্জন’। 

রাজর্ষি উপন্যাসের চরিত্র— গোবিন্দমাণিক্য, পুরোহিত রঘুপতি, হাসি ও তাতা, জয়সিংহ, নক্ষত্ররায়।

চোখের বালি (১৯০৩)

চোখের বালি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। ১৯০১-০২ সালে নবপর্যায় বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯০৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।

চোখের বালি উপন্যাসের বিষয় ‘সমাজ ও যুগযুগান্তরাগত সংস্কারের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের বিরোধ’। আখ্যানভাগ সংসারের সর্বময় কর্ত্রী মা, এক অনভিজ্ঞা বালিকাবধূ, এক বাল্যবিধবা ও তার প্রতি আকৃষ্ট দুই পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।

চোখের বালি উপন্যাসের চরিত্র— মহেন্দ্র, আশা, বিহারী, বিনোদিনী, রাজলক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা।

১৯০৪ সালে অমরেন্দ্রনাথ দত্ত এই উপন্যাসের নাট্যরূপ দেন। ১৯৩৮ সালে অ্যাসোসিয়েট পিকচার্সের প্রযোজনায় চোখের বালি অবলম্বনে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। ২০০৩ সালে বিশিষ্ট পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ এই উপন্যাস অবলম্বনে চোখের বালি নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। চোখের বালি ইংরেজি (২ বার), হিন্দি ও জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়।

নৌকাডুবি (১৯০৬)

নৌকাডুবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নৌকাডুবি উপন্যাসটি লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। নৌকাডুবি উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো হচ্ছে— রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, নলিনাক্ষ, অন্নদাবাবু। 

নৌকাডুবি উপন্যাস অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষ একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, এটি জানুয়ারি ২০১১-তে মুক্তি পায়।

প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮)

প্রজাতির নির্বন্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত একটি হাস্যরসাত্মক উপন্যাস। এটি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। প্রজাপতির নির্বন্ধ ১৩১১ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্র-গ্রন্থাবলী (‘হিতবাদীর উপহার’) সংকলনে চিরকুমার সভা নামে প্রকাশিত হয়। পরে ‘চিরকুমার সভা’ নামে এই উপন্যাসের নাট্যরূপটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। প্রজাপতির নির্বন্ধ এটি সর্বমোট ১৬টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত।

প্রজাপতির নির্বন্ধ উপন্যাসের প্রধান প্রধান চরিত্র— অক্ষয়কুমার, চন্দ্রমাধব, শ্রীশ, বিপিন, পূর্ণ পুরবালা, নৃপবালা।

গোরা (১৯১০)

গোরা রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের দীর্ঘতম উপন্যাস। দেশ পত্রিকার বিচারে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংলা উপন্যাস। গোরা ১৮৮০-এর দশকে ব্রিটিশ রাজত্বকালের সময়কার কলকাতার পটভূমিতে লেখা। এটি লেখার ক্রমে পঞ্চম এবং রবীন্দ্রনাথের তেরোটি উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম। এটি রাজনীতি এবং ধর্ম নিয়ে দার্শনিক বিতর্কে সমৃদ্ধ উপন্যাস। উপন্যাসে মুক্তি, সর্বজনীনতা, ভ্রাতৃত্ব, লিঙ্গ, নারীবাদ, বর্ণ, শ্রেণি, ঐতিহ্য বনাম আধুনিকতা, নগর অভিজাত বনাম গ্রামীণ কৃষক, ঐপনিবেশিক শাসন, জাতীয়তাবাদ এবং ব্রাহ্মসমাজ নিয়ে লেখা রয়েছে।

গোরা উপন্যাসের কিছু চরিত্র— গোরা, লীলা, লাবণ্য, সুচরিতা, বিনয়, ললিতা কৃষ্ণদয়াল‬, আনন্দময়ী‬, ‎পরেশবাবু।

গোরা রিভিউ

ঘরে-বাইরে (১৯১৬)

ঘরে-বাইরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস এই ঘরে বাইরে। ১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাস অবলম্বনে ঘরে-বাইরে নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

ঘরে-বাইরে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— নিখিলেশ, বিমলা, সন্দ্বীপ।

ঘরে-বাইরে রিভিউ পড়ুন এখানে

চতুরঙ্গ    (১৯১৬)

চতুরঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। এটি সাধুভাষায় লিখিত রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ উপন্যাস। এটিকে রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে বিবেচিত হয়। চতুরঙ্গ উপন্যাসের চারটি অঙ্গ, যথা— জ্যাঠামশাই, শচীশ ,দামিনীর এবং শ্রীবিলাস।

চতুরঙ্গ উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। শ্রীবিলাস (বর্ণনাকারী) নামে এক যুবকের যাত্রা, তাঁর সর্বোত্তম বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক শচীশের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ, দামিনী বিধবা এবং আদর্শবাদী ব্যক্তি জ্যাঠামশাইয়ের গল্প নিয়ে উপন্যাসটি লিখিত।

২০০৮ সালে সুমন মুখোপাধ্যায় এই উপন্যাস অবলম্বনে চতুরঙ্গ চলচ্চিত্রখানি নির্মাণ করেন।

যোগাযোগ (১৯২৯)

অন্যতম সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস যোগাযোগ। বিচিত্রা মাসিকপত্রে ধারাবাহিকরূপে প্রকাশিত হয় (আশ্বিন, ১৩৩৪ থেকে চৈত্র, ১৩৩৫)। পত্রিকায় প্রকাশকালে নাম ছিল তিন-পুরুষ।

যোগাযোগ উপন্যাসের চরিত্র— কুমুদিনী, মধুসূদন ও বিপ্রদাস, মোতির মা, নবীন, শ্যামাসুন্দরী।

শেষের কবিতা (১৯২৯)

শেষের কবিতা হলো রোম্যান্টিক-মনস্তাত্ত্বিক কাব্যিক উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, বলে বিবেচিত হলেও অনেক দুর্বলতা রয়েছে। বলা হয়, এই উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য কেউ লিখলে এতটা জনপ্রিয় হতো না। শেষের কবিতা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো হলো— লাবণ্য, অমিত, কেতকি। রিভিউ পড়ুন এখানে অথবা এখানে ক্লিক করুন

দুই বোন (১৯৩৩)

দুই বোন হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরকীয়া সম্বন্ধীয় একটি মিলনান্তক উপন্যাস। এটি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ১৯৩২-৩৩ সালে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় বের হয়। দুই বোন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— শশাঙ্ক, শর্মিলা ও ঊর্মিমালা।

মালঞ্চ (১৯৩৪)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মালঞ্চ একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক পরকীয়া সংক্রান্ত উপন্যাস। নরনারীর জটিল সম্পর্ক নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথের একটি সংক্ষিপ্ত উপন্যাস। মালঞ্চ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— নীরজা, আদিত্য, সরলা।

মালঞ্চ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস। ‘বিচিত্রা’ মাসিক পত্রে ১৩৪০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রথম প্রকাশ। গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৪০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে)। শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুটি পরকীয়া-বিষয়ক উপন্যাস রচনা করেছিলেন। তার প্রথম উপন্যাসটি ছিল দুই বোন (১৯৩৩)। এটি মিলনান্তক। দ্বিতীয় উপন্যাসটি হল মালঞ্চ। এটি বিয়োগান্তক উপন্যাস। ১৯৭৯ সালে পরিচালক পূর্ণেন্দু পত্রী মালঞ্চ চলচ্চিত্রায়িত করেন।

চার অধ্যায় (১৯৩৪)

চার অধ্যায় হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক উপন্যাস। এই উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ সশস্ত্র বিপ্লববাদের বিরুদ্ধে বিতৃষ্ণা প্রকাশ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উৎপল দত্ত উপন্যাসটির নাট্যরূপ মঞ্চায়ন করেছিলেন। চার অধ্যায় উপন্যাসটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হয়।

চার অধ্যায় রবীন্দ্রনাথের লেখা শেষ উপন্যাস। এই উপন্যাসের কাহিনির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ‘রবিবার’ গল্পের সম্পর্ক আছে।

১৯৩৪ সালে লিখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায় অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন কুমার সাহানি; এবং এলার চার অধ্যায় নামে বাংলা ভাষায় ২০১২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন বাপ্পাদীত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা উপন্যাসগুলো থেকে আপনার কোনটি পছন্দের বা কোনটি সেরা মনে হয়েছা তা এখানে জানাতে পারেন।

শেয়ার করুন

3 thoughts on “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব উপন্যাসের তালিকা এবং সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  1. আমার খুব ভালো লেগেছে। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস সম্পর্কে জানা সংক্ষিপ্ত হলেও অসাধারণ।

  2. প্রত্যেকটা উপন্যাসের সারসংক্ষেপ বলে দিলে আরো ভালো হতো।

  3. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সকল উপন্যাসের তালিকা এবং এগুলোর চরিত্রসহ সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রদানের জন্য ধন্যবাদ। খুবই উপকারী নিবন্ধ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আরও লেখা চাই।

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

আহমেদ মিন্টো

মিন্টো একজন ফ্রিল্যান্স লেখক এবং বিশ্লেষণ'র কন্ট্রিবিউটর।
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব উপন্যাসের তালিকা এবং সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

প্রকাশ: ১১:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস বাংলা ভাষায় তার অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম। ১৮৮৩ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট ১৩ টি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এছাড়া একটি অসমাপ্ত উপন্যাসও রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসমাপ্ত উপন্যাসের নাম— করুণা। করুণা উপন্যাসটি তাঁর জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। করুণা বাদ দিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মোট উপন্যাস ১৩ টি ধরা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব উপন্যাসের পরিচিতি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩ টি উপন্যাসের তালিকা—

  1. বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)
  2. রাজর্ষি (১৮৮৭)
  3. চোখের বালি (১৯০৩)
  4. নৌকাডুবি (১৯০৬)
  5. প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮)
  6. গোরা (১৯১০)
  7. ঘরে বাইরে (১৯১৬)
  8. চতুরঙ্গ (১৯১৬)
  9. যোগাযোগ (১৯২৯)
  10. শেষের কবিতা (১৯২৯)
  11. দুই বোন (১৯৩৩)
  12. মালঞ্চ (১৯৩৪)
  13. চার অধ্যায় (১৯৩৪)

করুণা (১৮৭৭-১৮৭৮) (১৯৬১)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস লেখার প্রথম প্রচেষ্টা হলো ‘করুণা’। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি এটি লিখেছিলেন। তবে এটি তাঁর জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। এটি ‘ভারতী’ পত্রিকায় ১৮৭৭-১৮৭৮ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলীতে ‘করুণা’ প্রথম প্রকাশিত হয়। এটির পরিশেষ হয়নি বলে এটি উপন্যাসের সম্পূর্ণ মর্যাদা পায় নি (অসমাপ্ত উপন্যাস)। এটিকে বাদ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ মোট তেরোটি উপন্যাস লিখেছেন।

অসমাপ্ত ‘করুণা’ উপন্যাসের চরিত্র— করুণা, নরেন্দ্র, মহেন্দ্র, পন্ডিত রঘুনাথ, মহিনী এবং অনূপকুমার।

বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)

রবীন্দ্রনাথের প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত উপন্যাস হলো বৌ-ঠাকুরাণীর হাট। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য ও বাকলার জমিদার রামচন্দ্রের বিবাদকে উপজীব্য করে রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বৌ-ঠাকুরাণীর হাট অবলম্বনে রচিত হয় রবীন্দ্রনাথের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকটি। প্রায়শ্চিত্ত ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে পুনর্লিখিত হয়ে ‘পরিত্রাণ’ নামে মুদ্রিত হয়। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বৌ-ঠাকুরাণীর হাট’ উপন্যাসের প্রশংসা করেছেন।

‘বৌ-ঠাকুরাণীর হাট’ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৫৩ সালে ‘বউ ঠাকুরাণীর হাট’ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন নরেশ মিত্র।

রাজর্ষি (১৮৮৭)

রাজর্ষি হলো ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসটি মানবতা পক্ষে ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে রাজর্ষি উপন্যাসের প্রথম অংশের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় তার বিখ্যাত নাটক ‘বিসর্জন’। 

রাজর্ষি উপন্যাসের চরিত্র— গোবিন্দমাণিক্য, পুরোহিত রঘুপতি, হাসি ও তাতা, জয়সিংহ, নক্ষত্ররায়।

চোখের বালি (১৯০৩)

চোখের বালি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। ১৯০১-০২ সালে নবপর্যায় বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯০৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।

চোখের বালি উপন্যাসের বিষয় ‘সমাজ ও যুগযুগান্তরাগত সংস্কারের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের বিরোধ’। আখ্যানভাগ সংসারের সর্বময় কর্ত্রী মা, এক অনভিজ্ঞা বালিকাবধূ, এক বাল্যবিধবা ও তার প্রতি আকৃষ্ট দুই পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।

চোখের বালি উপন্যাসের চরিত্র— মহেন্দ্র, আশা, বিহারী, বিনোদিনী, রাজলক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা।

১৯০৪ সালে অমরেন্দ্রনাথ দত্ত এই উপন্যাসের নাট্যরূপ দেন। ১৯৩৮ সালে অ্যাসোসিয়েট পিকচার্সের প্রযোজনায় চোখের বালি অবলম্বনে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। ২০০৩ সালে বিশিষ্ট পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ এই উপন্যাস অবলম্বনে চোখের বালি নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। চোখের বালি ইংরেজি (২ বার), হিন্দি ও জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়।

নৌকাডুবি (১৯০৬)

নৌকাডুবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নৌকাডুবি উপন্যাসটি লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। নৌকাডুবি উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো হচ্ছে— রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, নলিনাক্ষ, অন্নদাবাবু। 

নৌকাডুবি উপন্যাস অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষ একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, এটি জানুয়ারি ২০১১-তে মুক্তি পায়।

প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮)

প্রজাতির নির্বন্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত একটি হাস্যরসাত্মক উপন্যাস। এটি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। প্রজাপতির নির্বন্ধ ১৩১১ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্র-গ্রন্থাবলী (‘হিতবাদীর উপহার’) সংকলনে চিরকুমার সভা নামে প্রকাশিত হয়। পরে ‘চিরকুমার সভা’ নামে এই উপন্যাসের নাট্যরূপটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। প্রজাপতির নির্বন্ধ এটি সর্বমোট ১৬টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত।

প্রজাপতির নির্বন্ধ উপন্যাসের প্রধান প্রধান চরিত্র— অক্ষয়কুমার, চন্দ্রমাধব, শ্রীশ, বিপিন, পূর্ণ পুরবালা, নৃপবালা।

গোরা (১৯১০)

গোরা রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের দীর্ঘতম উপন্যাস। দেশ পত্রিকার বিচারে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংলা উপন্যাস। গোরা ১৮৮০-এর দশকে ব্রিটিশ রাজত্বকালের সময়কার কলকাতার পটভূমিতে লেখা। এটি লেখার ক্রমে পঞ্চম এবং রবীন্দ্রনাথের তেরোটি উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম। এটি রাজনীতি এবং ধর্ম নিয়ে দার্শনিক বিতর্কে সমৃদ্ধ উপন্যাস। উপন্যাসে মুক্তি, সর্বজনীনতা, ভ্রাতৃত্ব, লিঙ্গ, নারীবাদ, বর্ণ, শ্রেণি, ঐতিহ্য বনাম আধুনিকতা, নগর অভিজাত বনাম গ্রামীণ কৃষক, ঐপনিবেশিক শাসন, জাতীয়তাবাদ এবং ব্রাহ্মসমাজ নিয়ে লেখা রয়েছে।

গোরা উপন্যাসের কিছু চরিত্র— গোরা, লীলা, লাবণ্য, সুচরিতা, বিনয়, ললিতা কৃষ্ণদয়াল‬, আনন্দময়ী‬, ‎পরেশবাবু।

গোরা রিভিউ

ঘরে-বাইরে (১৯১৬)

ঘরে-বাইরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস এই ঘরে বাইরে। ১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাস অবলম্বনে ঘরে-বাইরে নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

ঘরে-বাইরে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— নিখিলেশ, বিমলা, সন্দ্বীপ।

ঘরে-বাইরে রিভিউ পড়ুন এখানে

চতুরঙ্গ    (১৯১৬)

চতুরঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। এটি সাধুভাষায় লিখিত রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ উপন্যাস। এটিকে রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে বিবেচিত হয়। চতুরঙ্গ উপন্যাসের চারটি অঙ্গ, যথা— জ্যাঠামশাই, শচীশ ,দামিনীর এবং শ্রীবিলাস।

চতুরঙ্গ উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। শ্রীবিলাস (বর্ণনাকারী) নামে এক যুবকের যাত্রা, তাঁর সর্বোত্তম বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক শচীশের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ, দামিনী বিধবা এবং আদর্শবাদী ব্যক্তি জ্যাঠামশাইয়ের গল্প নিয়ে উপন্যাসটি লিখিত।

২০০৮ সালে সুমন মুখোপাধ্যায় এই উপন্যাস অবলম্বনে চতুরঙ্গ চলচ্চিত্রখানি নির্মাণ করেন।

যোগাযোগ (১৯২৯)

অন্যতম সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস যোগাযোগ। বিচিত্রা মাসিকপত্রে ধারাবাহিকরূপে প্রকাশিত হয় (আশ্বিন, ১৩৩৪ থেকে চৈত্র, ১৩৩৫)। পত্রিকায় প্রকাশকালে নাম ছিল তিন-পুরুষ।

যোগাযোগ উপন্যাসের চরিত্র— কুমুদিনী, মধুসূদন ও বিপ্রদাস, মোতির মা, নবীন, শ্যামাসুন্দরী।

শেষের কবিতা (১৯২৯)

শেষের কবিতা হলো রোম্যান্টিক-মনস্তাত্ত্বিক কাব্যিক উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, বলে বিবেচিত হলেও অনেক দুর্বলতা রয়েছে। বলা হয়, এই উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য কেউ লিখলে এতটা জনপ্রিয় হতো না। শেষের কবিতা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো হলো— লাবণ্য, অমিত, কেতকি। রিভিউ পড়ুন এখানে অথবা এখানে ক্লিক করুন

দুই বোন (১৯৩৩)

দুই বোন হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরকীয়া সম্বন্ধীয় একটি মিলনান্তক উপন্যাস। এটি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ১৯৩২-৩৩ সালে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় বের হয়। দুই বোন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— শশাঙ্ক, শর্মিলা ও ঊর্মিমালা।

মালঞ্চ (১৯৩৪)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মালঞ্চ একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক পরকীয়া সংক্রান্ত উপন্যাস। নরনারীর জটিল সম্পর্ক নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথের একটি সংক্ষিপ্ত উপন্যাস। মালঞ্চ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র— নীরজা, আদিত্য, সরলা।

মালঞ্চ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস। ‘বিচিত্রা’ মাসিক পত্রে ১৩৪০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রথম প্রকাশ। গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৪০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে)। শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুটি পরকীয়া-বিষয়ক উপন্যাস রচনা করেছিলেন। তার প্রথম উপন্যাসটি ছিল দুই বোন (১৯৩৩)। এটি মিলনান্তক। দ্বিতীয় উপন্যাসটি হল মালঞ্চ। এটি বিয়োগান্তক উপন্যাস। ১৯৭৯ সালে পরিচালক পূর্ণেন্দু পত্রী মালঞ্চ চলচ্চিত্রায়িত করেন।

চার অধ্যায় (১৯৩৪)

চার অধ্যায় হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক উপন্যাস। এই উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ সশস্ত্র বিপ্লববাদের বিরুদ্ধে বিতৃষ্ণা প্রকাশ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উৎপল দত্ত উপন্যাসটির নাট্যরূপ মঞ্চায়ন করেছিলেন। চার অধ্যায় উপন্যাসটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হয়।

চার অধ্যায় রবীন্দ্রনাথের লেখা শেষ উপন্যাস। এই উপন্যাসের কাহিনির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ‘রবিবার’ গল্পের সম্পর্ক আছে।

১৯৩৪ সালে লিখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায় অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন কুমার সাহানি; এবং এলার চার অধ্যায় নামে বাংলা ভাষায় ২০১২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন বাপ্পাদীত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা উপন্যাসগুলো থেকে আপনার কোনটি পছন্দের বা কোনটি সেরা মনে হয়েছা তা এখানে জানাতে পারেন।