০৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

কুয়াকাটা ভ্রমণ: কুয়াকাটা যাওয়ার উপায়, থাকার ব্যবস্থা এবং সেখানের দর্শনীয় ও ঘোরাঘুরির স্থান

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ১২:৪৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • / ৭৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটা লাল কাকড়ার চর

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলাধীন একটি শহর, সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা ‘সাগরকন্যা’ হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সব চাইতে ভালোভাবে সূর্যোদয় দেখা যায় সৈকতের গঙ্গামতির বাঁক থেকে আর সূর্যাস্ত দেখা যায় পশ্চিম সৈকত থেকে।

অবস্থান

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।

ইতিহাস

কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরকানীদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। ‘কুয়া’ শব্দটি এসেছে ‘কুপ’ থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতারিত হয়ে আরকানীরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কুপ খনন করেছিলনে, সেই থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা।

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান ও আশেপাশের চর ও তাদের বৈশিষ্ট্য

এছাড়া আরও যে সব দর্শনীয় স্থান ও চর রয়েছে কুয়াকাটায় সেগুলো হলো—

ফাতরার বন

সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকে ম্যানগ্রোভ বন শুরু হয়েছে, যার নাম ফাতার বন। সংরক্ষিত বনভুমি ফাতরার বন ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, ফাতরা, গরান, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং বানর, শূকরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। সমুদ্রসৈকত থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে এক ঘণ্টার যাত্রাপথে ফাতরার বনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

কুয়াটারা ‘কুয়া’

কুায়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিয়ের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। 

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির, নাম সীমা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।

৩৬ ফুট লম্বা স্বর্ণের বৌদ্ধ মূর্তি, সাগরের পাশেই বেড়ীবাধের উপরে আরেকটা বৌদ্ধ মূর্তি, শুটকি পল্লী, ফাতরার চর, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, মোহনীয় মায়াময়ী গঙ্গামতির চর – যেখানে দাঁড়িয়ে একই সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যেই কুয়াটার নামে এই জায়গায় নামকরণ হয়েছে সেই কুয়া।

দেখা যায় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড

কুয়াকাটা থেকে ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে’ যাওয়া যায়, স্থানীয় লোকজন এটিকে ‘নাই বামব’ বলে। সবচাইতে ভালো হয় কুয়াকাটা সি-বিচ থেকে একটা ট্রলার সারাদিনের জন্য ১০০০-১২০০ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সে-ই সব যায়গা দেখিয়ে নিয়ে আসবে।

কেরানিপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদেও প্রধান কাজ কাপড় বুনন।

আলীপুর বন্দর

কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় একটি মাছ ব্যবসা কেন্দ্র আলীপুর। এ বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায় মাছ ধরতে।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আরকেটি বাসস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরেই রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। এখান থেকে কিছু দূরে আমখোলা পাড়ায় রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাখাইন বসতি।

গঙ্গামতির জঙ্গল

কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত পূব দিকে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির খালে গিয়ে। আর এখানে শুরু হয়েছে গঙ্গামতির বা গজমতির জঙ্গল। বিভিন্ন রককম গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বন মোরগ, বানর ও নানা রকম পাখির।

ফাতরার চর

এখানকার গাছপালা কিছুটা হলুদ বর্ণের, আর বনের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলার পথটা অসম্ভব সুন্দর, বন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময়য় সাগরের দিকে বের হওয়া যায়, সেখানে একটা চুলা আছে যেখানে রাতে ক্যাম্পিং করে বারবিকিউ করা যায়।

গঙ্গামতির চর

কুয়াকাটার সবচাইতে মায়াময় চর হলো এই গঙ্গামতির চর, মুল কুয়াকাটা থেকে এটাতে মোটরসাইকেল, ভ্যান এবং ট্রলারের করে যাওয়া যায়। এই চরে দুরন্ত সবুজ একটা বন রয়েছে। এই বনে বানর, শিয়াল আর অজগর সাপ পাওয়া যায়। এই বনে কমলা গাছ, বরই গাছ আর কামরাঙ্গা গাছ রয়েছে, এখান থেকেই একি সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। যদি কেউ গঙ্গামতি চরের চরম মজাটা নিতে চান তাহলে খাল পার হয়ে চরের পূর্ব প্রান্তে চলে যেতে হবে – জীবনে অবগাহণ করার মতন মোহনীয় যায়গা এটি। বিকেলে গঙ্গামতির চরে কাটাতে পারলে খুবই ভালো লাগবে।

লাল কাঁকড়ার দ্বীপ

কুয়াকাটা থেকে ফাতরার চরের দিকে যেতে হাতের ডান পাশে পড়বে এই দ্বীপ, এখানে ভোর সকালে আসলে লাল কাঁকড়ার মিছিল দেখা যাবে, আবার গঙ্গামতি চরের পূর্ব পাশেও লাল কাঁকড়া অবাধে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সাথে সাক্ষাতের সময় ঐ একটাই – প্রথম ভোরে।

লাল কাঁকড়ার দ্বীপে ভোরে বা সকালে গেলে লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া কষ্টকর। সূর্যের তাপে বালু উত্তপ্ত হয়ে গেলে কাঁকড়া রা বাইরে বের হয়ে আসে। তাই সকাল ১১ টার দিকে গেলেই শজে লাল কাঁকড়ার দৌড়া দৌড়ি উপভোগ করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার উপস্থিতি যেন কোন ভাবেই তাদের কে ক্ষতিগ্রস্থ না করে।

লেবুর চর

লেবুর চর নামে একটা জায়গা থেকে তিন নদীর মোহনা দেখা যায়। এক পাশে সমূদ্র আরেক পাশে তিন নদীর মোহনা, অপর পাশে উপকূলীয় বন, নদীর ওপারে দেখা যায় ফাত্রার বন- সব মিলিয়ে জায়গা টা অসাধারন। মোটর সাইকেল করে সহজেই ঘুরে আসা যায়।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কীভাবে যাবেন কুয়াকাটা?

সড়ক পথে

ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে বেসরকারি পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসি পরিবহনের বাস সরাসরি কুয়াকাটায় যায়। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘণ্টা। গাবতলী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস কুয়াকাটা যায়। সকাল সন্ধ্যা যে-কোনো সময়ের বাস পাবেন। ভাড়া সুরভীতে শুধুমাত্র ৭৫০ বাকিগুলোতে ৬৫০। মোটামুটি ৯-১০ ঘণ্টা লাগে বাসে যেতে এবং দুটি ফেরী পার হতে হয়।

রেলপথে

সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার কোন ট্রেন নেই। ট্রেনে ঢাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস বা চিত্রা এক্সপ্রেসে, আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে খুলনা আসতে হবে। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছেড়ে যায়। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘণ্টা। বাসভাড়া ২৭০ টাকা।

জল পথে

লঞ্চ অনেক ভালো একটা বিকল্প। ঢাকা থেকে বরিশাল, আমতলী বা পটুয়াখালি হয়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়।

পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা

ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ টার মধ্যে বিভিন্ন লঞ্চ পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা-বগস-পটুয়াখালী রুটের লঞ্চগুলো ছাড়ে সদরঘাটের একদম পশ্চিম দিক থেকে  দৈনিক ৩টি লঞ্চ পটুয়াখলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং এই লাইনের লঞ্চগুলো বেশ নতুন আর মজবুত। সেগুলো পটুয়াখালী পৌছায় সকাল ৭ টার দিকে। লঞ্চ ভাড়া ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা ডাবল, ২৫০০ – ৩০০০ টাকা ফ্যামিলি। ভিআইপি কেবিন লঞ্চভেদে ৩০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে হয়।

লঞ্চ দিয়ে সকালে পটুয়াখালী নেমে একটা রিক্সা নিয়ে (ভাড়া ১৫ টাকা) বাস স্ট্যান্ডে চলে যেতে হবে। এখান থেকে (চৌরাস্তা) মোটর সাইকেল পাওয়া যায়, এক মোটর সাইকেলে ২ জন জাত্রী বসা যাবে, সরাসরি কুয়াকাটা পর্যন্ত ভাড়া নিবে ৬০০-৮০০ টাকা (দরদাম করতে হবে)। সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া বাসে করেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আবার বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে, কুয়াকাটার বাসের টিকিট কাটতে হবে, ভাড়া নিবে ১৩০ টাকা। পটুয়াখালী থেকে কলাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা অসাধারণ, রীতিমতন বিমান নামতে পারবে এমন, রানওয়ের মতন চকচকে। আগে তিনটা ফেরি পার করতে হত কিন্তু এখন ৩টা নতুন ব্রিজ হওয়াতে পুরো ঝকঝকে রাস্তা। মনে রাখবেন সন্ধ্যা ৫টার পর আর কোনো বাস পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যায় না।

আমতলী হয়ে কুয়াকাটা

প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট হতে আমতলী যায়। লঞ্চ ছাড়ে ৪.৩০ হতে ৫.০০ টার মধ্যে। লঞ্চ ভাড়া ২০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ টাকা ডাবল। বরিশাল থেকে যেই বাস গুলো কুয়াকাটা যায় সেগুলোতেই আমতলী থেকে উঠতে পারবেন। ভাড়া নিবে ১০০ টাকা। এখানে নামলে অসংখ্য বাস এবং খাওয়ার হোটেল পাবেন।

বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা

ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। লঞ্চগুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে। ডেক ভাড়া সাধারনত ১০০ টাকা। বরিশাল থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সরাসরি কুয়াকাটা পৌঁছানো সম্ভব। সেইক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি পরবে। দামাদামি করলে ৩৫০০ টাকার মধ্যে ভাড়া পাওয়া সম্ভব।

বরিশাল থেকে দুই ভাবে কুয়াকাটা যাওয়া সম্ভব।

  • ১. বরিশাল-কুয়াকাটার রাস্তা ভালো হলেও লোকাল বাস গুলোর অবস্থা ভালো না। বরিশাল থেকে ডাইরেক্ট কুয়াকাটা যেতে পার হতে হয় ৪টা ফেরি। বরিশাল থেকে সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার বাস ভাড়া ২২০ টাকা।
  • ২. আমতলী দিয়ে গেলে ৩টা ফেরি পার হতে হবে। সেইক্ষেত্রে আপনাকে বরিশাল থেকে আগে আমতলী আসতে হবে। বরিশাল থেকে আমতলী যাওয়ার ভাড়া ১২০টাকা। আমতলী থেকে ঘুরে ফিরে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসে সেই লোকাল বাস এই আপনাকে কুয়াকাটা যেতে হবে। সেইক্ষেত্রে ভাড়া ১০০-৮০ টাকা।

কুয়াকাটা ভ্রমণে কোথায় থাকবেন?

কুয়াকাটায় প্রচুর হোটেল রয়েছে। ৩০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকার হোটেল পর্যন্ত রয়েছে। একেবারে সী-বিচের কাছে কিছু হোটেল রয়েছে, এছাড়া পর্যটনের হোটেলও আছে। থাকা নিয়ে সমস্যা নেই, যে-কোনো হোটেলে আরামে থাকা যাবে।

কুয়াকাটা ভ্রমণে খাবার ব্যবস্থা

আবাসিক হোটেলগুলিতে অতিথিদের জন্য নিজস্ব রেস্তোরাঁয় খাবার ব্যবস্থা আছে। লেবুর চরের কাঁকড়া ভুনা বেশ বিখ্যাত। বীচ এলাকায় রয়েছে মাছের নানা দোকান, যেখানে আছে টাটকা মাছ ভেঁজে খাওয়ার সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছ ও মাছের শুকটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রচলিত সাধারণ খাবার তো রয়েছেই।

বিষয়:

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

কুয়াকাটা ভ্রমণ: কুয়াকাটা যাওয়ার উপায়, থাকার ব্যবস্থা এবং সেখানের দর্শনীয় ও ঘোরাঘুরির স্থান

প্রকাশ: ১২:৪৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলাধীন একটি শহর, সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা ‘সাগরকন্যা’ হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সব চাইতে ভালোভাবে সূর্যোদয় দেখা যায় সৈকতের গঙ্গামতির বাঁক থেকে আর সূর্যাস্ত দেখা যায় পশ্চিম সৈকত থেকে।

অবস্থান

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।

ইতিহাস

কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরকানীদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। ‘কুয়া’ শব্দটি এসেছে ‘কুপ’ থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতারিত হয়ে আরকানীরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কুপ খনন করেছিলনে, সেই থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা।

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান ও আশেপাশের চর ও তাদের বৈশিষ্ট্য

এছাড়া আরও যে সব দর্শনীয় স্থান ও চর রয়েছে কুয়াকাটায় সেগুলো হলো—

ফাতরার বন

সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকে ম্যানগ্রোভ বন শুরু হয়েছে, যার নাম ফাতার বন। সংরক্ষিত বনভুমি ফাতরার বন ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, ফাতরা, গরান, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং বানর, শূকরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। সমুদ্রসৈকত থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে এক ঘণ্টার যাত্রাপথে ফাতরার বনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

কুয়াটারা ‘কুয়া’

কুায়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিয়ের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। 

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির, নাম সীমা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।

৩৬ ফুট লম্বা স্বর্ণের বৌদ্ধ মূর্তি, সাগরের পাশেই বেড়ীবাধের উপরে আরেকটা বৌদ্ধ মূর্তি, শুটকি পল্লী, ফাতরার চর, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, মোহনীয় মায়াময়ী গঙ্গামতির চর – যেখানে দাঁড়িয়ে একই সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যেই কুয়াটার নামে এই জায়গায় নামকরণ হয়েছে সেই কুয়া।

দেখা যায় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড

কুয়াকাটা থেকে ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে’ যাওয়া যায়, স্থানীয় লোকজন এটিকে ‘নাই বামব’ বলে। সবচাইতে ভালো হয় কুয়াকাটা সি-বিচ থেকে একটা ট্রলার সারাদিনের জন্য ১০০০-১২০০ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সে-ই সব যায়গা দেখিয়ে নিয়ে আসবে।

কেরানিপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদেও প্রধান কাজ কাপড় বুনন।

আলীপুর বন্দর

কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় একটি মাছ ব্যবসা কেন্দ্র আলীপুর। এ বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায় মাছ ধরতে।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আরকেটি বাসস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরেই রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। এখান থেকে কিছু দূরে আমখোলা পাড়ায় রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাখাইন বসতি।

গঙ্গামতির জঙ্গল

কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত পূব দিকে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির খালে গিয়ে। আর এখানে শুরু হয়েছে গঙ্গামতির বা গজমতির জঙ্গল। বিভিন্ন রককম গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বন মোরগ, বানর ও নানা রকম পাখির।

ফাতরার চর

এখানকার গাছপালা কিছুটা হলুদ বর্ণের, আর বনের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলার পথটা অসম্ভব সুন্দর, বন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময়য় সাগরের দিকে বের হওয়া যায়, সেখানে একটা চুলা আছে যেখানে রাতে ক্যাম্পিং করে বারবিকিউ করা যায়।

গঙ্গামতির চর

কুয়াকাটার সবচাইতে মায়াময় চর হলো এই গঙ্গামতির চর, মুল কুয়াকাটা থেকে এটাতে মোটরসাইকেল, ভ্যান এবং ট্রলারের করে যাওয়া যায়। এই চরে দুরন্ত সবুজ একটা বন রয়েছে। এই বনে বানর, শিয়াল আর অজগর সাপ পাওয়া যায়। এই বনে কমলা গাছ, বরই গাছ আর কামরাঙ্গা গাছ রয়েছে, এখান থেকেই একি সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। যদি কেউ গঙ্গামতি চরের চরম মজাটা নিতে চান তাহলে খাল পার হয়ে চরের পূর্ব প্রান্তে চলে যেতে হবে – জীবনে অবগাহণ করার মতন মোহনীয় যায়গা এটি। বিকেলে গঙ্গামতির চরে কাটাতে পারলে খুবই ভালো লাগবে।

লাল কাঁকড়ার দ্বীপ

কুয়াকাটা থেকে ফাতরার চরের দিকে যেতে হাতের ডান পাশে পড়বে এই দ্বীপ, এখানে ভোর সকালে আসলে লাল কাঁকড়ার মিছিল দেখা যাবে, আবার গঙ্গামতি চরের পূর্ব পাশেও লাল কাঁকড়া অবাধে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সাথে সাক্ষাতের সময় ঐ একটাই – প্রথম ভোরে।

লাল কাঁকড়ার দ্বীপে ভোরে বা সকালে গেলে লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া কষ্টকর। সূর্যের তাপে বালু উত্তপ্ত হয়ে গেলে কাঁকড়া রা বাইরে বের হয়ে আসে। তাই সকাল ১১ টার দিকে গেলেই শজে লাল কাঁকড়ার দৌড়া দৌড়ি উপভোগ করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার উপস্থিতি যেন কোন ভাবেই তাদের কে ক্ষতিগ্রস্থ না করে।

লেবুর চর

লেবুর চর নামে একটা জায়গা থেকে তিন নদীর মোহনা দেখা যায়। এক পাশে সমূদ্র আরেক পাশে তিন নদীর মোহনা, অপর পাশে উপকূলীয় বন, নদীর ওপারে দেখা যায় ফাত্রার বন- সব মিলিয়ে জায়গা টা অসাধারন। মোটর সাইকেল করে সহজেই ঘুরে আসা যায়।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কীভাবে যাবেন কুয়াকাটা?

সড়ক পথে

ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে বেসরকারি পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসি পরিবহনের বাস সরাসরি কুয়াকাটায় যায়। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘণ্টা। গাবতলী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস কুয়াকাটা যায়। সকাল সন্ধ্যা যে-কোনো সময়ের বাস পাবেন। ভাড়া সুরভীতে শুধুমাত্র ৭৫০ বাকিগুলোতে ৬৫০। মোটামুটি ৯-১০ ঘণ্টা লাগে বাসে যেতে এবং দুটি ফেরী পার হতে হয়।

রেলপথে

সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার কোন ট্রেন নেই। ট্রেনে ঢাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস বা চিত্রা এক্সপ্রেসে, আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে খুলনা আসতে হবে। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছেড়ে যায়। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘণ্টা। বাসভাড়া ২৭০ টাকা।

জল পথে

লঞ্চ অনেক ভালো একটা বিকল্প। ঢাকা থেকে বরিশাল, আমতলী বা পটুয়াখালি হয়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়।

পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা

ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ টার মধ্যে বিভিন্ন লঞ্চ পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা-বগস-পটুয়াখালী রুটের লঞ্চগুলো ছাড়ে সদরঘাটের একদম পশ্চিম দিক থেকে  দৈনিক ৩টি লঞ্চ পটুয়াখলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং এই লাইনের লঞ্চগুলো বেশ নতুন আর মজবুত। সেগুলো পটুয়াখালী পৌছায় সকাল ৭ টার দিকে। লঞ্চ ভাড়া ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা ডাবল, ২৫০০ – ৩০০০ টাকা ফ্যামিলি। ভিআইপি কেবিন লঞ্চভেদে ৩০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে হয়।

লঞ্চ দিয়ে সকালে পটুয়াখালী নেমে একটা রিক্সা নিয়ে (ভাড়া ১৫ টাকা) বাস স্ট্যান্ডে চলে যেতে হবে। এখান থেকে (চৌরাস্তা) মোটর সাইকেল পাওয়া যায়, এক মোটর সাইকেলে ২ জন জাত্রী বসা যাবে, সরাসরি কুয়াকাটা পর্যন্ত ভাড়া নিবে ৬০০-৮০০ টাকা (দরদাম করতে হবে)। সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া বাসে করেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আবার বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে, কুয়াকাটার বাসের টিকিট কাটতে হবে, ভাড়া নিবে ১৩০ টাকা। পটুয়াখালী থেকে কলাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা অসাধারণ, রীতিমতন বিমান নামতে পারবে এমন, রানওয়ের মতন চকচকে। আগে তিনটা ফেরি পার করতে হত কিন্তু এখন ৩টা নতুন ব্রিজ হওয়াতে পুরো ঝকঝকে রাস্তা। মনে রাখবেন সন্ধ্যা ৫টার পর আর কোনো বাস পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যায় না।

আমতলী হয়ে কুয়াকাটা

প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট হতে আমতলী যায়। লঞ্চ ছাড়ে ৪.৩০ হতে ৫.০০ টার মধ্যে। লঞ্চ ভাড়া ২০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ টাকা ডাবল। বরিশাল থেকে যেই বাস গুলো কুয়াকাটা যায় সেগুলোতেই আমতলী থেকে উঠতে পারবেন। ভাড়া নিবে ১০০ টাকা। এখানে নামলে অসংখ্য বাস এবং খাওয়ার হোটেল পাবেন।

বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা

ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। লঞ্চগুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে। ডেক ভাড়া সাধারনত ১০০ টাকা। বরিশাল থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সরাসরি কুয়াকাটা পৌঁছানো সম্ভব। সেইক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি পরবে। দামাদামি করলে ৩৫০০ টাকার মধ্যে ভাড়া পাওয়া সম্ভব।

বরিশাল থেকে দুই ভাবে কুয়াকাটা যাওয়া সম্ভব।

  • ১. বরিশাল-কুয়াকাটার রাস্তা ভালো হলেও লোকাল বাস গুলোর অবস্থা ভালো না। বরিশাল থেকে ডাইরেক্ট কুয়াকাটা যেতে পার হতে হয় ৪টা ফেরি। বরিশাল থেকে সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার বাস ভাড়া ২২০ টাকা।
  • ২. আমতলী দিয়ে গেলে ৩টা ফেরি পার হতে হবে। সেইক্ষেত্রে আপনাকে বরিশাল থেকে আগে আমতলী আসতে হবে। বরিশাল থেকে আমতলী যাওয়ার ভাড়া ১২০টাকা। আমতলী থেকে ঘুরে ফিরে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসে সেই লোকাল বাস এই আপনাকে কুয়াকাটা যেতে হবে। সেইক্ষেত্রে ভাড়া ১০০-৮০ টাকা।

কুয়াকাটা ভ্রমণে কোথায় থাকবেন?

কুয়াকাটায় প্রচুর হোটেল রয়েছে। ৩০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকার হোটেল পর্যন্ত রয়েছে। একেবারে সী-বিচের কাছে কিছু হোটেল রয়েছে, এছাড়া পর্যটনের হোটেলও আছে। থাকা নিয়ে সমস্যা নেই, যে-কোনো হোটেলে আরামে থাকা যাবে।

কুয়াকাটা ভ্রমণে খাবার ব্যবস্থা

আবাসিক হোটেলগুলিতে অতিথিদের জন্য নিজস্ব রেস্তোরাঁয় খাবার ব্যবস্থা আছে। লেবুর চরের কাঁকড়া ভুনা বেশ বিখ্যাত। বীচ এলাকায় রয়েছে মাছের নানা দোকান, যেখানে আছে টাটকা মাছ ভেঁজে খাওয়ার সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছ ও মাছের শুকটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রচলিত সাধারণ খাবার তো রয়েছেই।