শনিবার, জুন ৩, ২০২৩

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর উপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। 

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা কাঠামো (Education Structure of Sri Lanka) ১৯৮৫ সালে ৩ টি স্তরে পুনর্বিন্যাস করে— ১. প্রাথমিক, ২. মাধ্যমিক এবং ৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরকে সামগ্রিক ভাবে পুনর্বিন্যাস করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে।

নিম্নে শ্রীলঙ্কার প্রত্যেকটি স্তরের শিক্ষাকাল উল্লেখ করা হলো: 

  1. শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপ্তিকাল ছয় বছর অর্থাৎ প্রথম শ্রেণি হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। 
  2. জুনিয়র/নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকাল মাত্র দুই বছর অর্থাৎ সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকাল তিন (৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম) বছর পর্যন্ত। 
  3. শ্রীলঙ্কার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকাল তিন বছর অর্থাৎ নবম শ্রেণি হতে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। 
  4. শ্রীলঙ্কার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকাল দুই বছর অর্থাৎ দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত। 
  5. শ্রীলঙ্কার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের পরবর্তী শিক্ষা স্তর হল উচ্চ শিক্ষা স্তর। 

১৯৭৯ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। 

General Certificate of Education (GCE) Advanced Level পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। শ্রীলঙ্কার ব্যাচেলর জেনারেল ডিগ্রির মেয়াদকাল তিন বছর এবং এই তিন বছরে তিনটি বিষয় অধ্যয়ন করতে হয়। 

ব্যাচেলর ডিগ্রীর পর মাস্টার ডিগ্রী যার মেয়াদকাল দুই বছর। 

শ্রীলঙ্কায় শিক্ষার্থীগণ প্রথম হতে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক উত্তর শিক্ষাস্তরে নবম হতে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।

প্রতিটি স্তরের অধ্যয়ন শেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে নবম হতে একাদশ অর্থাৎ তিন বছর অধ্যয়নের শেষে অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা Sri Lankan GCE O Level বহিঃপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এই পরীক্ষায় ৮টি বিষয়ের মধ্যে ৬টি বিষয়ে কৃতকার্য হওয়া আবশ্যিক। ছয়টি বিষয়ের মধ্যে গণিত এবং সিনহালা বা তামিল ভাষা রয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় ১৯৭৯ সাল থেকে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। GEC A Level পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়। ব্যাচেলর জেনারেল ডিগ্রির জন্য তিন বছরে তিনটি বিষয় অধ্যয়ন করা হয়। সফলতার সাথে দু’বছরের কোর্স শেষে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করা যায়। 

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর উপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। 

উপমন্ত্রী ও প্রজেক্ট মন্ত্রীগণ শিক্ষামন্ত্রীকে শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাহায্য করেন। শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকীর দায়িত্ব শিক্ষা সচিব পালন করে থাকেন।

চারজন অতিরিক্ত সচিব তাদের কর্মকর্তাদের সহায়তায় চারটি দ্বীপে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। রিজিওনাল শিক্ষা বিভাগ রিজিওনাল ডিরেক্টর অব এডুকেশন (Director of Educatio)-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। জেলা পর্যায়ে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্বে পরিচালিত হয়ে থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রিজিওনাল শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে প্রতি বছরের বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে ।

For all latest articles, follow on Google News

বাংলাদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে 'বিশ্লেষণ'-এর জন্য স্পনসরশিপ খোঁজা হচ্ছে। আগ্রহীদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইমেইল: contact.bishleshon@gmail.com

এ বিষয়ের আরও নিবন্ধ
আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here