০৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ই-গভর্নেন্স কাকে বলে এবং বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স

জারিন তাসনিম
  • প্রকাশ: ১১:৫৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
  • / ৩০৩২৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্লেষণ একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট

ই-গর্ভনেন্স হলো (e-governance) সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আধুনিকতম একটি উদ্যোগ। ই-গর্ভনেন্স ব্যবস্থায় একজন নাগরিক স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে সাত দিন; দিনে চব্বিশ ঘন্টা সরকারি সেবা পেতে পারে। ই-গভর্নেন্সে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায়। এখানে এইনি-গভর্নেন্স কী এবং এর উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ই-গভর্নেন্স কী?

বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রত্যয় হচ্ছে ই-গর্ভনেন্স। ই-গভর্নেন্স (e-governance)-এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক গভার্নেন্স (electronic governance)। ই-গভর্নেন্স অর্থ হলো তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শাসন। অর্থাৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে আধুনিকতম পদ্ধতিকে ই-গভর্নেন্স বা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শাসন বলে।

বর্তমান পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নতসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই ই-গর্ভনেন্স এর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন ইচ্ছে করলে এক মুহূর্তে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ ও তথ্য প্রেরণ করা যায়।

বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞায়, ই-গভার্নেন্স হলো সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক, ব্যবসা খাত এবং অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক পুনঃনির্ধারণ করা। 

সাধারনত তিনটি স্তরে বা পর্যায়ে এই ই-গর্ভনেন্স সেবা পাওয়া যায়-

  • ১. সরকার থেকে সেবা গ্রহীতা (ব্যক্তি)
  • ২. সরকার থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য
  • ৩. সরকার থেকে সরকার।

বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালে ঘোষিত ভিশন-২০২১ এর প্রধান লক্ষ্যই হল সরকারি সেবা ও শাসনব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা। সরকারি সেবা জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেবার জন্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদে একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র বা ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। তাছাড়া 

সরকারি সকল কার্যালয় থেকে দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য একজন করে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি সরকারি কার্যালয়ের মৌলিক কিছু তথ্য ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্তকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে সাধারণ নাগরিক। এটি চার ধরনের কাজ করে যার কেন্দ্রে থাকে নাগরিক সেবা।

একাজগুলো হচ্ছে ব্যক্তিকে অবগতকরণ, ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্বকরণ, ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান এবং ব্যক্তিকে অন্তর্ভুকরণ। 

ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তিকে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করা। কিন্তু, মনে রাখা দরকার যে, প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার না করলে এটি সমাজের কল্যাণের চেয়ে অমঙ্গলই ডেকে আনে। এর অপব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য সব দেশের সরকারই বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে থাকে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

জারিন তাসনিম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্বাধীন লেখক।
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

ই-গভর্নেন্স কাকে বলে এবং বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স

প্রকাশ: ১১:৫৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

ই-গর্ভনেন্স হলো (e-governance) সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আধুনিকতম একটি উদ্যোগ। ই-গর্ভনেন্স ব্যবস্থায় একজন নাগরিক স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে সাত দিন; দিনে চব্বিশ ঘন্টা সরকারি সেবা পেতে পারে। ই-গভর্নেন্সে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায়। এখানে এইনি-গভর্নেন্স কী এবং এর উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ই-গভর্নেন্স কী?

বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রত্যয় হচ্ছে ই-গর্ভনেন্স। ই-গভর্নেন্স (e-governance)-এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক গভার্নেন্স (electronic governance)। ই-গভর্নেন্স অর্থ হলো তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শাসন। অর্থাৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে আধুনিকতম পদ্ধতিকে ই-গভর্নেন্স বা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শাসন বলে।

বর্তমান পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নতসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই ই-গর্ভনেন্স এর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন ইচ্ছে করলে এক মুহূর্তে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ ও তথ্য প্রেরণ করা যায়।

বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞায়, ই-গভার্নেন্স হলো সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক, ব্যবসা খাত এবং অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক পুনঃনির্ধারণ করা। 

সাধারনত তিনটি স্তরে বা পর্যায়ে এই ই-গর্ভনেন্স সেবা পাওয়া যায়-

  • ১. সরকার থেকে সেবা গ্রহীতা (ব্যক্তি)
  • ২. সরকার থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য
  • ৩. সরকার থেকে সরকার।

বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালে ঘোষিত ভিশন-২০২১ এর প্রধান লক্ষ্যই হল সরকারি সেবা ও শাসনব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা। সরকারি সেবা জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেবার জন্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদে একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র বা ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। তাছাড়া 

সরকারি সকল কার্যালয় থেকে দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য একজন করে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি সরকারি কার্যালয়ের মৌলিক কিছু তথ্য ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্তকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে সাধারণ নাগরিক। এটি চার ধরনের কাজ করে যার কেন্দ্রে থাকে নাগরিক সেবা।

একাজগুলো হচ্ছে ব্যক্তিকে অবগতকরণ, ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্বকরণ, ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান এবং ব্যক্তিকে অন্তর্ভুকরণ। 

ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তিকে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করা। কিন্তু, মনে রাখা দরকার যে, প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার না করলে এটি সমাজের কল্যাণের চেয়ে অমঙ্গলই ডেকে আনে। এর অপব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য সব দেশের সরকারই বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে থাকে।