০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

নেতৃত্ব: নেতৃত্বের বিকাশে সমস্যা ও দূরীকরণের উপায়

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ০৮:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৬৮০ বার পড়া হয়েছে

নেতা ও নেতৃত্ব | ছবি: কেওবি এজেন্সি on আনস্প্লাশ

নেতৃত্বের বিকাশে সমস্যা (Problems in Developing Leadership)

নেতৃত্ব হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অনুসারীদের আনুগত্য আদায় করা যায়। নেতৃত্ব একটি শিল্প। পৃথিবীতে এই শিল্পের কুশলীর অভাব প্রচণ্ড। প্রকৃত নেতৃত্ব তখনই গড়ে ওঠে যখন কতগুলো নির্দিষ্ট বিষয় একযোগে কাজ করে এবং সফলতা অর্জিত হয়। নেতার ভুলে প্রতিষ্ঠানকে অনেক খেসারত দিতে হয়। আদর্শ নেতা কখনোই অনুসারীকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত দেন না। নেতৃত্ব কখনোই দাম্ভিকতা নিয়ে টিকতে পারে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক নেতৃত্ব অথবা যে কোনো ধরনের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সত্যিকারের সূত্রগুলো কিন্তু একই। তবে বিভিন্ন কারণে নেতৃত্ব বিকাশে নানাবিধ সমস্যা দিতে পারে।

  1. সঠিক ফলাবর্তনের অভাব (Lack of proper feedback): নেতাকে তার কার্যকলাপের উপর যথাযথ ফলাবর্তন বা ভববফনধপশ পেতে হবে। অপরের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। ফলাবর্তন সঠিক না হলে নেতৃত্ব টিকে থাকতে পারে না। ফলাবর্তনকে অগ্রাহ্য করা নেতৃত্বের সবচেয়ে বড়ো ভুল। 
  2. অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের অভাব (Lack of participatory leadership): নেতাকে অবশ্যই অনুসারীদের মাঝে অংশগ্রহণমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। অনুসারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অংশগ্রহণমুলক অর্থ হলো সিদ্ধান্তগ্রহণে অনুসারীদেরকে আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া। এতে সুফল পাওয়া যায়। কেননা সিদ্ধান্তগ্রহণ অংশগ্রহণমূলক হওয়ার কারণে অনুসারীরা নেতার প্রতি অধিক আনুগত্য প্রকাশ করে। 
  3. অধীনস্তদের সময় দিতে অনিচ্ছা (Unwillingness to spend time for subordinates): অধীনস্তরা সর্বদা নেতার নৈকট্য পছন্দ করে। কোনো নেতা যদি তার অধীনস্তদের সময় না দেন, তারা নেতার সমালোচনা করবেন এটাই স্বাভাবিক। অনুসারীদের অভাব-অভিযোগ না শোনা নেতৃত্বের বড়ো সমস্যা। 
  4. সুস্পষ্ট লক্ষ্যের অভাব (Lack of clear goals):  নেতাকে সর্বদা অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যদি সেটা না করা যায় তবে নেতৃত্বে সফলতা আসে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ঠিক না থাকে, তখন ঐ প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব বিকাশে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দেয়। 
  5. অধীনস্তদের সাথে অতিরিক্ত সখ্যতা (Lack of clear goals):  কোনো কোনো নেতা অনেক সময় অধীনস্তদের সাথে অতিরিক্ত সখ্যতায় জড়িয়ে পড়ে। এতে তোষামোদকারী বেড়ে যায় এবং নেতার আবেগকে কাজে লাগিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করে। অধীনস্তদের সাথে সখ্যতার কারণে অনুসারীরা নেতাকে ভয় পায় না এবং কাজে ফাঁকি দেয় ও দায়িত্ব এড়ায়। 
  6. সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোর অভাব (lack of specific organization structure): সাংগঠনিক কাঠামো সুনির্দিষ্ট না হলে অর্থাৎ দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট না হলে নেতাকে অধীনস্তরা পাত্তা দেয় না। এটা নেতৃত্ব বিকাশে বড়ো ধরনের সমস্যা। 
  7. প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি (Policy and procedure): প্রতিষ্ঠানের পলিসি ও কর্মপদ্ধতি সঠিক না হলে নেতৃত্বের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া পলিসি বারবার পরিবর্তন করলে নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। 
  8. স্বজনপ্রীতি (Nepotism): স্বজনপ্রীতি সুষ্ঠু নেতৃত্ব বিকাশের অন্তরায়। নেতার উচিত অনুসারীদের তোষামোদ উপেক্ষা করে স্বজনপ্রীতি পরিহার করা। 
  9. অহংকার (Egoism): অহংকার পতনের মূল। অনেক নেতা ক্ষমতার মোহে পড়ে দাম্ভিকতা দেখায়। ফলে অনুসারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  10. আবেগ (Emotion): প্রতিটি মানুষই কম-বেশি আবেগপ্রবণ। কিন্তু অতিরিক্ত আবেগ নেতার সুষ্ঠু নেতৃত্বের পথে বাধা সৃষ্টি করে। 
  11. অন্যান্য (Others): প্রযুক্তিগত বাধা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার অভাব ইত্যাদি নেতৃত্ব বিকাশে বড়ো ধরনের সমস্যা। 
কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বা লিডারশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ
কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বা লিডারশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ | August de Richelieu/Pexels

নেতৃত্বের বিকাশের পথে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ সমাধানের উপায় (Ways to Solve the Problems of Developing Leadership) 

নেতৃত্ব বিকাশের পথে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নেতাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে:

  • সঠিক ফলাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। 
  • অনুসারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
  • অনুসারীদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতে হবে এবং সাধ্যমত তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। 
  • অনুসারীদের প্রেষণা দান করতে হবে। 
  • নেতাকে কৃতকার্য হতে হলে স্বজনপ্রীতি পরিহার করতে হবে। 
  • সাংগঠনিক কাঠামো সহজ ও সবল করতে হবে যাতে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট থাকে। 
  • নেতাকে অহংকার এড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে হবে। 
  • পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সর্বাধুনিক কারিগরি জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। 

একটি বৃহৎ সাফল্য ধাপে ধাপে অর্জিত বিভিন্ন সাফল্যের সমন্বিত রূপ। সফল নেতৃত্বের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ এবং লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতা ও সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। শুধু তাই নয়, একজন প্রকৃত নেতা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতার সৃষ্টি করে। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয়সাধনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে প্রকৃত নেতৃত্ব। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশল এবং ব্যক্তির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশলের যোগসূত্রই একজন নেতাকে সফল করে তোলে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

নেতৃত্ব: নেতৃত্বের বিকাশে সমস্যা ও দূরীকরণের উপায়

প্রকাশ: ০৮:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

নেতৃত্বের বিকাশে সমস্যা (Problems in Developing Leadership)

নেতৃত্ব হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অনুসারীদের আনুগত্য আদায় করা যায়। নেতৃত্ব একটি শিল্প। পৃথিবীতে এই শিল্পের কুশলীর অভাব প্রচণ্ড। প্রকৃত নেতৃত্ব তখনই গড়ে ওঠে যখন কতগুলো নির্দিষ্ট বিষয় একযোগে কাজ করে এবং সফলতা অর্জিত হয়। নেতার ভুলে প্রতিষ্ঠানকে অনেক খেসারত দিতে হয়। আদর্শ নেতা কখনোই অনুসারীকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত দেন না। নেতৃত্ব কখনোই দাম্ভিকতা নিয়ে টিকতে পারে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক নেতৃত্ব অথবা যে কোনো ধরনের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সত্যিকারের সূত্রগুলো কিন্তু একই। তবে বিভিন্ন কারণে নেতৃত্ব বিকাশে নানাবিধ সমস্যা দিতে পারে।

  1. সঠিক ফলাবর্তনের অভাব (Lack of proper feedback): নেতাকে তার কার্যকলাপের উপর যথাযথ ফলাবর্তন বা ভববফনধপশ পেতে হবে। অপরের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। ফলাবর্তন সঠিক না হলে নেতৃত্ব টিকে থাকতে পারে না। ফলাবর্তনকে অগ্রাহ্য করা নেতৃত্বের সবচেয়ে বড়ো ভুল। 
  2. অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের অভাব (Lack of participatory leadership): নেতাকে অবশ্যই অনুসারীদের মাঝে অংশগ্রহণমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। অনুসারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অংশগ্রহণমুলক অর্থ হলো সিদ্ধান্তগ্রহণে অনুসারীদেরকে আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া। এতে সুফল পাওয়া যায়। কেননা সিদ্ধান্তগ্রহণ অংশগ্রহণমূলক হওয়ার কারণে অনুসারীরা নেতার প্রতি অধিক আনুগত্য প্রকাশ করে। 
  3. অধীনস্তদের সময় দিতে অনিচ্ছা (Unwillingness to spend time for subordinates): অধীনস্তরা সর্বদা নেতার নৈকট্য পছন্দ করে। কোনো নেতা যদি তার অধীনস্তদের সময় না দেন, তারা নেতার সমালোচনা করবেন এটাই স্বাভাবিক। অনুসারীদের অভাব-অভিযোগ না শোনা নেতৃত্বের বড়ো সমস্যা। 
  4. সুস্পষ্ট লক্ষ্যের অভাব (Lack of clear goals):  নেতাকে সর্বদা অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যদি সেটা না করা যায় তবে নেতৃত্বে সফলতা আসে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ঠিক না থাকে, তখন ঐ প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব বিকাশে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দেয়। 
  5. অধীনস্তদের সাথে অতিরিক্ত সখ্যতা (Lack of clear goals):  কোনো কোনো নেতা অনেক সময় অধীনস্তদের সাথে অতিরিক্ত সখ্যতায় জড়িয়ে পড়ে। এতে তোষামোদকারী বেড়ে যায় এবং নেতার আবেগকে কাজে লাগিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করে। অধীনস্তদের সাথে সখ্যতার কারণে অনুসারীরা নেতাকে ভয় পায় না এবং কাজে ফাঁকি দেয় ও দায়িত্ব এড়ায়। 
  6. সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোর অভাব (lack of specific organization structure): সাংগঠনিক কাঠামো সুনির্দিষ্ট না হলে অর্থাৎ দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট না হলে নেতাকে অধীনস্তরা পাত্তা দেয় না। এটা নেতৃত্ব বিকাশে বড়ো ধরনের সমস্যা। 
  7. প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি (Policy and procedure): প্রতিষ্ঠানের পলিসি ও কর্মপদ্ধতি সঠিক না হলে নেতৃত্বের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া পলিসি বারবার পরিবর্তন করলে নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। 
  8. স্বজনপ্রীতি (Nepotism): স্বজনপ্রীতি সুষ্ঠু নেতৃত্ব বিকাশের অন্তরায়। নেতার উচিত অনুসারীদের তোষামোদ উপেক্ষা করে স্বজনপ্রীতি পরিহার করা। 
  9. অহংকার (Egoism): অহংকার পতনের মূল। অনেক নেতা ক্ষমতার মোহে পড়ে দাম্ভিকতা দেখায়। ফলে অনুসারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  10. আবেগ (Emotion): প্রতিটি মানুষই কম-বেশি আবেগপ্রবণ। কিন্তু অতিরিক্ত আবেগ নেতার সুষ্ঠু নেতৃত্বের পথে বাধা সৃষ্টি করে। 
  11. অন্যান্য (Others): প্রযুক্তিগত বাধা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার অভাব ইত্যাদি নেতৃত্ব বিকাশে বড়ো ধরনের সমস্যা। 
কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বা লিডারশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ
কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বা লিডারশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ | August de Richelieu/Pexels

নেতৃত্বের বিকাশের পথে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ সমাধানের উপায় (Ways to Solve the Problems of Developing Leadership) 

নেতৃত্ব বিকাশের পথে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নেতাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে:

  • সঠিক ফলাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। 
  • অনুসারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
  • অনুসারীদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতে হবে এবং সাধ্যমত তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। 
  • অনুসারীদের প্রেষণা দান করতে হবে। 
  • নেতাকে কৃতকার্য হতে হলে স্বজনপ্রীতি পরিহার করতে হবে। 
  • সাংগঠনিক কাঠামো সহজ ও সবল করতে হবে যাতে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট থাকে। 
  • নেতাকে অহংকার এড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে হবে। 
  • পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সর্বাধুনিক কারিগরি জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। 

একটি বৃহৎ সাফল্য ধাপে ধাপে অর্জিত বিভিন্ন সাফল্যের সমন্বিত রূপ। সফল নেতৃত্বের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ এবং লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতা ও সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। শুধু তাই নয়, একজন প্রকৃত নেতা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতার সৃষ্টি করে। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয়সাধনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে প্রকৃত নেতৃত্ব। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশল এবং ব্যক্তির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশলের যোগসূত্রই একজন নেতাকে সফল করে তোলে।