১২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

অনুমিত সিদ্ধান্ত কাকে বলে? অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা, প্রকারভেদ, পরীক্ষা এবং বৈশিষ্ট্য কী?

আহমেদ মিন্টো
  • প্রকাশ: ০৮:২৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১
  • / ৮৩১৪ বার পড়া হয়েছে

গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রধান যন্ত্র হলো অনুমিত সিদ্ধান্ত

সাধারণভাবে জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে অনুমিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘Believe in unseen is the precondition of seeking truth’। সাধারণ জ্ঞান বা অনুমানকে আশ্রয় করেই অনুমিত সিদ্ধান্ত রূপ লাভ করে। গবেষণা বা রিসার্চ (Research)-এ অনুমিত সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনুমিত সিদ্ধান্ত কী বা অনুমিত সিদ্ধান্তের সংজ্ঞা, প্রয়োজনীয়তা, প্রকারভেদ, প্রমাণ; এবং অনুমিত সিদ্ধান্তের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।

অনুমিত সিদ্ধান্ত কাকে বলে?

গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রধান যন্ত্র হলো অনুমিত সিদ্ধান্ত। উদ্ভুত কোন সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে সম্ভাব্য বা পরীক্ষামূলক বা সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত বলে। ‘অনুমিত সিদ্ধান্ত’র ইংরেজি হলো ‘হাইপোথিসিস’ (hypothesis)।

কোনো গবেষণা শুরু করার প্রাক্বালে গবেষণার বিষয়বস্তু বা সমস্যার ফলাফল বা কারণ সম্পর্কে যে অনুমিতসিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাকে ‘অনুমিত সিদ্ধান্ত’ বা ‘হাইপোথেসিস’ বলা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা

গবেষণার জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয় কেননা এটি গবেষণাকে নানাভাবে সাহায্য করে যেমন:

  • সমস্যা ব্যাখ্যা, সমস্যার প্রকৃতি বোঝা এবং সম্ভাব্য সমাধানের পথ পাওয়া।
  • অনুসন্ধানের অন্তঃনির্হিত যুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ ও তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি এবং তথ্যের উৎস সম্পর্কে দিক নির্দেশনা লাভ।
  • এই নীতি সংঘটক হিসাবে কাজ করে এবং গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধতা দান করে।

অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রকারভেদ 

অনুমিত সিদ্ধান্ত সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে, যথা:

  • হ্যাঁ সূচক অনুমিত সিদ্ধান্ত  (Positive Hypothesis)।

যেমন- “স্কুলে সংগীত শিল্পীদের শিক্ষা সাফল্য, যারা সঙ্গীত শিল্পী নয় তাদের চেয়ে ভালো”।

  • ‘না’ সূচক বা নাস্তি অনুমিত সিদ্ধান্ত (Negative Hypothesis)।

যেমন- “সংগীত শিল্পী এবং যারা সঙ্গীত শিল্পী নয় তাদের মধ্যে স্কুলে শিক্ষাগত সফলতার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই”।

এই অনুমিত সিদ্ধান্তের সত্যাসত্য বা যথার্থতা নির্ণয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রকাশ করার পর ফলাফলের অনুমিত সিদ্ধান্তের তুলনা করা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষা

অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষা দুইভাবে করা যায়।

  • ১. প্রত্যক্ষ পদ্ধতি
  • ২. পরোক্ষ পদ্ধতি

১. অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার প্রত্যক্ষ পদ্ধতি

কোনো অনুমিত সিদ্ধান্ত সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী হলে তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার প্রত্যক্ষ পদ্ধতি বলে।

উদাহরণ:

  • ভূ-পৃষ্ঠের একই স্থানে কত ঘণ্টা পর পর জোয়ার ভাটা হয়; এটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
  • বৈদ্যুতিক সুইচ টিপলেও একটি ইস্ত্রি গরম হচ্ছে না। এখানে নানা রকম অনুমিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বিদ্যুৎ না থাকা, ফিউজ জ্বলে যাওয়া, কিম্বা ইস্ত্রিটি নষ্টও হতে পারে, বৈদ্যুতিক সংযোগ না হওয়া ইত্যাদি।

একটির পর একটি পরীক্ষা করে তবেই না এর ত্রুটি ধরা পড়ে। এখানে যে-কোনো অনুমিত সিদ্ধান্ত প্রমাণ করা যায়।

২. অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার পরোক্ষ পদ্ধতি

যে অনুমিত সিদ্ধান্ত সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষানিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; একে অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার পরোক্ষ পদ্ধতি বলে।

বিমূর্ত বিষয় সম্বলিত সমস্যার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় না। এখানে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়।

উদাহরণ:

  • পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে ধনাত্মক সম্পর্ক আছে কিনা নির্ণয় করতে হবে। এখানে অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো- পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক আছে, এটি হলো হ্যাঁ সূচক অনুমান (Positive Hypothesis)। অথবা, পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক নেই অর্থাৎ না সূচক বা নাস্তি অনুমান (Negative Hypothesis)।
  • দুই জন অভিন্ন যমজ শিশুর একজনকে ধনাঢ্য পরিবেশে ও অন্যজনকে দরিদ্র পরিবেশে রাখা হলো। পাঁচ-সাত বছর পর দেখা গেল এদের বুদ্ধ্যাংকের পার্থক্য হয়েছে অর্থাৎ ফলাফল প্রথম অনুমিত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি পূর্ণ অর্থাৎ পুষ্টি বুদ্ধ্যাংক বাড়ায় এবং পুষ্টিহীনতা বুদ্ধ্যাংকের হ্রাস ঘটায়।
কোনো গবেষণা শুরু করার প্রাক্বালে গবেষণার বিষয়বস্তু বা সমস্যার ফলাফল বা কারণ সম্পর্কে যে অনুমিতসিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত বা ‘হাইপোথেসিস’ বলা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্তের বৈশিষ্ট্য

  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব ধারণা পাওয়া যায়।
  • গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা সহজ হয়।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ গবেষণার উপযোগী উৎস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত উপাত্ত সংগ্রহ ও পক্রিয়াকরণ সহজতর করে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত অসত্য এবং সত্য দুইভাবেই প্রমাণিত হতে পারে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল নয়।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত বোধগম্য হতে হবে।

অনুমিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনার ধারণা ও মতামত কী তা এখানে ব্যক্ত করতে পারেন।

শেয়ার করুন

2 thoughts on “অনুমিত সিদ্ধান্ত কাকে বলে? অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা, প্রকারভেদ, পরীক্ষা এবং বৈশিষ্ট্য কী?

  1. খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

  2. খুব সুন্দর করে ও সহজভাবে হাইপোথিসিশ্ শব্দটির অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছেন লেখক। এই রকম সহজ ভাষায় লেখা আরও বৈজ্ঞানিক আলোচনা শোনার জন্য আগহের সঙ্গে অপেক্ষায় রইলাম।
    ধন্যবাদ ভাই।

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

আহমেদ মিন্টো

মিন্টো একজন ফ্রিল্যান্স লেখক এবং বিশ্লেষণ'র কন্ট্রিবিউটর।
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

অনুমিত সিদ্ধান্ত কাকে বলে? অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা, প্রকারভেদ, পরীক্ষা এবং বৈশিষ্ট্য কী?

প্রকাশ: ০৮:২৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১

সাধারণভাবে জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে অনুমিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘Believe in unseen is the precondition of seeking truth’। সাধারণ জ্ঞান বা অনুমানকে আশ্রয় করেই অনুমিত সিদ্ধান্ত রূপ লাভ করে। গবেষণা বা রিসার্চ (Research)-এ অনুমিত সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনুমিত সিদ্ধান্ত কী বা অনুমিত সিদ্ধান্তের সংজ্ঞা, প্রয়োজনীয়তা, প্রকারভেদ, প্রমাণ; এবং অনুমিত সিদ্ধান্তের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।

অনুমিত সিদ্ধান্ত কাকে বলে?

গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রধান যন্ত্র হলো অনুমিত সিদ্ধান্ত। উদ্ভুত কোন সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে সম্ভাব্য বা পরীক্ষামূলক বা সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত বলে। ‘অনুমিত সিদ্ধান্ত’র ইংরেজি হলো ‘হাইপোথিসিস’ (hypothesis)।

কোনো গবেষণা শুরু করার প্রাক্বালে গবেষণার বিষয়বস্তু বা সমস্যার ফলাফল বা কারণ সম্পর্কে যে অনুমিতসিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাকে ‘অনুমিত সিদ্ধান্ত’ বা ‘হাইপোথেসিস’ বলা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা

গবেষণার জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয় কেননা এটি গবেষণাকে নানাভাবে সাহায্য করে যেমন:

  • সমস্যা ব্যাখ্যা, সমস্যার প্রকৃতি বোঝা এবং সম্ভাব্য সমাধানের পথ পাওয়া।
  • অনুসন্ধানের অন্তঃনির্হিত যুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ ও তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি এবং তথ্যের উৎস সম্পর্কে দিক নির্দেশনা লাভ।
  • এই নীতি সংঘটক হিসাবে কাজ করে এবং গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধতা দান করে।

অনুমিত সিদ্ধান্তের প্রকারভেদ 

অনুমিত সিদ্ধান্ত সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে, যথা:

  • হ্যাঁ সূচক অনুমিত সিদ্ধান্ত  (Positive Hypothesis)।

যেমন- “স্কুলে সংগীত শিল্পীদের শিক্ষা সাফল্য, যারা সঙ্গীত শিল্পী নয় তাদের চেয়ে ভালো”।

  • ‘না’ সূচক বা নাস্তি অনুমিত সিদ্ধান্ত (Negative Hypothesis)।

যেমন- “সংগীত শিল্পী এবং যারা সঙ্গীত শিল্পী নয় তাদের মধ্যে স্কুলে শিক্ষাগত সফলতার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই”।

এই অনুমিত সিদ্ধান্তের সত্যাসত্য বা যথার্থতা নির্ণয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রকাশ করার পর ফলাফলের অনুমিত সিদ্ধান্তের তুলনা করা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষা

অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষা দুইভাবে করা যায়।

  • ১. প্রত্যক্ষ পদ্ধতি
  • ২. পরোক্ষ পদ্ধতি

১. অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার প্রত্যক্ষ পদ্ধতি

কোনো অনুমিত সিদ্ধান্ত সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী হলে তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার প্রত্যক্ষ পদ্ধতি বলে।

উদাহরণ:

  • ভূ-পৃষ্ঠের একই স্থানে কত ঘণ্টা পর পর জোয়ার ভাটা হয়; এটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
  • বৈদ্যুতিক সুইচ টিপলেও একটি ইস্ত্রি গরম হচ্ছে না। এখানে নানা রকম অনুমিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বিদ্যুৎ না থাকা, ফিউজ জ্বলে যাওয়া, কিম্বা ইস্ত্রিটি নষ্টও হতে পারে, বৈদ্যুতিক সংযোগ না হওয়া ইত্যাদি।

একটির পর একটি পরীক্ষা করে তবেই না এর ত্রুটি ধরা পড়ে। এখানে যে-কোনো অনুমিত সিদ্ধান্ত প্রমাণ করা যায়।

২. অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার পরোক্ষ পদ্ধতি

যে অনুমিত সিদ্ধান্ত সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষানিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; একে অনুমিত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার পরোক্ষ পদ্ধতি বলে।

বিমূর্ত বিষয় সম্বলিত সমস্যার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় না। এখানে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়।

উদাহরণ:

  • পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে ধনাত্মক সম্পর্ক আছে কিনা নির্ণয় করতে হবে। এখানে অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো- পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক আছে, এটি হলো হ্যাঁ সূচক অনুমান (Positive Hypothesis)। অথবা, পুষ্টি ও বুদ্ধ্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক নেই অর্থাৎ না সূচক বা নাস্তি অনুমান (Negative Hypothesis)।
  • দুই জন অভিন্ন যমজ শিশুর একজনকে ধনাঢ্য পরিবেশে ও অন্যজনকে দরিদ্র পরিবেশে রাখা হলো। পাঁচ-সাত বছর পর দেখা গেল এদের বুদ্ধ্যাংকের পার্থক্য হয়েছে অর্থাৎ ফলাফল প্রথম অনুমিত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি পূর্ণ অর্থাৎ পুষ্টি বুদ্ধ্যাংক বাড়ায় এবং পুষ্টিহীনতা বুদ্ধ্যাংকের হ্রাস ঘটায়।
কোনো গবেষণা শুরু করার প্রাক্বালে গবেষণার বিষয়বস্তু বা সমস্যার ফলাফল বা কারণ সম্পর্কে যে অনুমিতসিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাকে অনুমিত সিদ্ধান্ত বা ‘হাইপোথেসিস’ বলা হয়।

অনুমিত সিদ্ধান্তের বৈশিষ্ট্য

  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব ধারণা পাওয়া যায়।
  • গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা সহজ হয়।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ গবেষণার উপযোগী উৎস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত উপাত্ত সংগ্রহ ও পক্রিয়াকরণ সহজতর করে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত অসত্য এবং সত্য দুইভাবেই প্রমাণিত হতে পারে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল নয়।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত বোধগম্য হতে হবে।

অনুমিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনার ধারণা ও মতামত কী তা এখানে ব্যক্ত করতে পারেন।