১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

Accounting: হিসাববিজ্ঞানের আওতা, পরিধি বা কার্যক্ষেত্র

হাসান মাহমুদ রি
  • প্রকাশ: ০৫:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৫৯১ বার পড়া হয়েছে

হিসাববিজ্ঞান হলো ব্যবসায়ের ভাষা

হিসাববিজ্ঞানের আওতা বা পরিধি শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং সকল শ্রেণির প্রতিষ্ঠান, এমন কি ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। যেখানেই আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয় সেখানেই হিসাববিজ্ঞান প্রয়োজন। অতএব, হিসাববিজ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। হিসাববিজ্ঞানের কার্যক্ষেত্র বা পরিধি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

১. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে: প্রত্যেক ব্যক্তি বিভিন্ন কাজ ও লেনদেন থেকে অর্থ উপার্জন করে এবং পারিবারিক কলাণে ব্যয় করে। এই আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণের জন্য হিসাববিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি প্রয়োজন হয়।

২. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে: ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল মুনাফা অর্জন। মুনাফা অর্জিত হয়েছে কিনা ও আর্থিক অবস্থা জানার জন্য হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োগ অপরিহার্য। তাছাড়া ব্যবসায়ের কার্যক্রম মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও হিসাববিজ্ঞানের সাহায্য প্রয়োজন।

৩. অব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দির, ক্লাব, সমিতি, হাসাপাতাল, পাবলিক লাইব্রেরি, এনজিও, সমবায় সমিতি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয়। ফলে এ সব প্রতিষ্ঠানেও হিসাববিজ্ঞান দরকার।

৪. সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য: সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, মন্ত্রণালয়, অফিস আদালত, রাষ্ট্রীয় সংস্থা, কর্পোরেশন, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ইত্যাদির সুষ্ঠু হিসাব সংরক্ষণের জন্য হিসাববিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

৫. পেশাজীবিদের জন্য: চার্টার্ড একাউটেন্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কর উপদেষ্টা, কনসালটেন্ট, এ্যাডভোকেট ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিরা আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ ও কর নির্ধারণের জন্য হিসাববিজ্ঞান প্রয়োগ করে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

ওয়েবসাইটটির সার্বিক উন্নতির জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে স্পনসর খোঁজা হচ্ছে।

Accounting: হিসাববিজ্ঞানের আওতা, পরিধি বা কার্যক্ষেত্র

প্রকাশ: ০৫:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

হিসাববিজ্ঞানের আওতা বা পরিধি শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং সকল শ্রেণির প্রতিষ্ঠান, এমন কি ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। যেখানেই আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয় সেখানেই হিসাববিজ্ঞান প্রয়োজন। অতএব, হিসাববিজ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। হিসাববিজ্ঞানের কার্যক্ষেত্র বা পরিধি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

১. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে: প্রত্যেক ব্যক্তি বিভিন্ন কাজ ও লেনদেন থেকে অর্থ উপার্জন করে এবং পারিবারিক কলাণে ব্যয় করে। এই আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণের জন্য হিসাববিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি প্রয়োজন হয়।

২. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে: ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল মুনাফা অর্জন। মুনাফা অর্জিত হয়েছে কিনা ও আর্থিক অবস্থা জানার জন্য হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োগ অপরিহার্য। তাছাড়া ব্যবসায়ের কার্যক্রম মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও হিসাববিজ্ঞানের সাহায্য প্রয়োজন।

৩. অব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দির, ক্লাব, সমিতি, হাসাপাতাল, পাবলিক লাইব্রেরি, এনজিও, সমবায় সমিতি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয়। ফলে এ সব প্রতিষ্ঠানেও হিসাববিজ্ঞান দরকার।

৪. সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য: সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, মন্ত্রণালয়, অফিস আদালত, রাষ্ট্রীয় সংস্থা, কর্পোরেশন, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ইত্যাদির সুষ্ঠু হিসাব সংরক্ষণের জন্য হিসাববিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

৫. পেশাজীবিদের জন্য: চার্টার্ড একাউটেন্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কর উপদেষ্টা, কনসালটেন্ট, এ্যাডভোকেট ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিরা আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ ও কর নির্ধারণের জন্য হিসাববিজ্ঞান প্রয়োগ করে।