০৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
                       

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের ভূমিকা

মু. মিজানুর রহমান মিজান
  • প্রকাশ: ১০:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
  • / ৪০৯০ বার পড়া হয়েছে

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক এবং পরিচালনামূলক ভূমিকা

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক এবং পরিচালনামূলক ভূমিকা
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক এবং পরিচালনামূলক ভূমিকা

বাংলাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি

বিদ্যালয়ে শিখন শেখানো কার্যক্রম ও অন্যান্য সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল যা বিদ্যালয় প্রশাসন নামে পরিচিত।  প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই একটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি রয়েছে, এ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি মূলত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং এ প্রশাসনিক পদ্ধতি দুই ভাগে বিভক্ত। যথা- ১. কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং ২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

১. কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ

শিক্ষার যে-কোনো স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা স্কুল পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক প্রণীত ও জারিকৃত আইন, বিধিবিধান রয়েছে এই সকল আইন ও বিধিবিধান এর মূল উৎস আবার দেশের সংবিধান ও শিক্ষানীতি। শিক্ষানীতিতে বিবৃত লক্ষ্য, লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ধারিত কলাকৌশল এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাব্যবস্থা বিষয়ক সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন ও বিধিবিধান প্রণয়ন ও জারি করা জরুরী হয়ে উঠে। এই সকল আইন ও বিধিবিধান কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা হয়। সাধারণত মন্ত্রণালয় হলো কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ; মন্ত্রণালয় অধীনস্ত দপ্তর কিংবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই সকল জারি করে।

২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

কেন্দ্রিয় প্রশাসন থেকে যে সকল আইন ও বিধিবিধিান প্রনীত হয় তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য স্কুলে অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নীতিমালা প্রনয়ন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।  স্কুলের যেকোন অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জন্য প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে করে থাকেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে রয়েছেন সভাপতি ১ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ৩ জন (সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি ১ জন),  অভিভাবক সদস্য ৫ জন (১ জন সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য), দাতা সদস্য একজন এবং সদস্য সচিব (প্রধান শিক্ষক) ১ জন (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন, ১৯৭৭ আইন অনুসারে)।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরও প্রশাসনিক কাঠামো নিম্নের ছকের মত:

ম্যানেজিং কমিটি
প্রধান শিক্ষক
সহকারি প্রধান শিক্ষক
শিক্ষকবৃন্দ
শিক্ষার্থীবৃন্দ
৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিবৃন্দ  

শিক্ষার উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা

যে-কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হল বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক ও সুষম বিকাশ সাধন। আর এর সিংহভাগ দায়িত্ব বর্তায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান প্রধান বা প্রধান শিক্ষকের উপর । বিদ্যালয়ের প্রধান হলেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কর্মকুশলতা, দক্ষতা, দূরদর্শিতা ও পরিবর্তনে বিশ্বাসী মন মানসিকতার উপর গোটা বিদ্যালয়, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় উন্নতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। প্রত্যেক প্রধান শিক্ষক চান তাঁর প্রতিষ্ঠানটি আলাদা স্বকীয়তায় পরিচিতি পাক। আর এজন্যই প্রয়োজন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে একটি দক্ষ ও বিচক্ষণ ‘প্রশাসনিক ও পরিচালনা’ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার সিংহভাগ দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের ওপর থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকলে তাদের নিজস্ব দায়-দায়িত্ব ঠিক ঠাকভাবে পালন করতে না পারে তবে লক্ষ-উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব নয়।

বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রত্যেক শিক্ষকেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে প্রশাসনিক এবং পরিচালনার ভূমিকা গুরুত্বপুর্ণ। প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক হলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, নির্দেশনা ও পরামর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়েই তিনি সকল প্রকার কাজ করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক যে সব প্রশাসনিক এবং পরিচালনা  সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করতে হয় তা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তাঁর ওপর অর্পিত হয়। 

সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক ও পরিচালনামূলক দায়িত্ব

  • একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাঁর প্রধান দায়িত্বই হল শিক্ষার্থীদের  সুষ্ঠুভাবে পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করা।
  • প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রথমেই প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব মেনে চলতে হয়।
  • সহকারী শিক্ষককের ওপর যে-কোন রকমের দায়িত্ব অর্পিত হলে তা মনোযোগ দিয়ে করতে হয়।
  • স্কুলে নানান রকম দিবস উদযাপনে সকলের সাথে থাকা এবং নিজের অবস্থান থেকে  সহযোগিতা করতে হয়।
  • স্কুল সম্পর্কিত বা স্কুলের সাথে জড়িত সকলের সাথে সহকারী শিক্ষককে নানা ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন।
  • অফিস ম্যনেজমেন্ট বা বিদ্যালয়ের ব্যববস্থাপনায় নিজের দায়িত্ব যত্ন সহকারে পালন করা খুবই জরুরি সহকারী শিক্ষকের জন্য।
  • পরীক্ষা সংক্রান্ত ও পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয় এবং সংরক্ষণে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে সহায়তা করা।
  • শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত অর্পিত দায়িত্বও পালন করতে হয় সহকারী শিক্ষকের।
  • শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষককে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হয়।
  • বিদ্যালয়সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী সংগঠন ও পরিচালনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে গুরুত্বের সাথে সাহায্য করতে হয়।
  • প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত ও নির্দেশিত সকল যৌক্তিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনে সম্মত থাকতে হয়।

একজন সহকারী শিক্ষককে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের প্রধান হলো পাঠদানক, এটিই তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, সহকর্মীদের সাথে মিলেমিশে থাকা, অর্পিত দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করা, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও পদ্ধতির ব্যবহারসহ নানা বিষয় একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে একেকটি।  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যে সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে থাকেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • সুষ্ঠুভাবে পাঠদান ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ।
  • একটি  ক্লাসে নানান রকমের শিক্ষার্থী থাকে, কেউ কেউ পাঠ সহজে আয়ত্ব করতে পারলেও অনেকেই বুঝতে একটু সময় নেয় বা বারবার বলার পরে আত্মস্থ্য করতে পারে; এ জন্য শিক্ষার্থীদের শিখন শেখানোটাও সহকারী শিক্ষকের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ।
  • শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের কৌতুহল ও চাহিদা বুঝতে পারা একটা অন্যতম চ্যালেঞ্জ, কারণ শিক্ষার্থীদের কৌতুহল ভালো করে না বুঝলে পাঠদান কষ্টকর হয়ে পড়ে।
  • নির্ধারিত সময়ের সুষ্ঠুভাবে শ্রেণিকার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করাও সহকারী শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জ।
  • বিদ্যালয়ের আর্থিক সচ্ছলতা ও ভৌত অবকাঠামো না থাকার কারণে চক ও ব্লাকবোর্ডের বাইরে অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা আধুনিক যুগে অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ।
  • শ্রেণিকার্যে শিক্ষার্থীদের বিনোদিত করতে পারাটাও চ্যালেঞ্জ, আনন্দের সাথে পাঠদান করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
  • সহকর্মীদের সাথে যথাযোগ্য ব্যবহার করা, তাঁদের সাথে মিলেমিশে চলাও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
  • একজন সহকারী শিক্ষককে প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে-কোনো রকমের  বিশেষ দায়িত্ব দিলে তা যথাযথভাবে পালন করা তাঁদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
  • আনুষঙ্গিক ডিভাইস, অ্যাক্সেসরিস বা উপকরণের অভাবের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা এ যুগে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ একজন সহকারী শিক্ষকের পক্ষে।
  • পরীক্ষার পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন এবং আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সুন্দর ভাবে করা সহকারী শিক্ষকদের জন্য একটি প্রধা চ্যালেঞ্জ।
  • বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যে-কোনো দায়িত্ব পালনে নিজেকে প্রস্তুত রাখাও একজন আদর্শ শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ।
  • আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো অভিভাবকদের সাথে সুষ্ঠু যোগাযোগ রক্ষা করা এবং অভিভাবকদের বিভিন্ন রকম মন্তব্য, পরামর্শ ও অভিযোগ নিয়ে সহকর্মিদের সাথে আলোচনা করা।

একজন সহকারী শিক্ষক স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে যেভাবে অবদান রাখতে পারেন

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে মন-প্রাণ দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন, এটি স্বাভাবিক। তবে এটি নিশ্চিত বা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে, নির্দিষ্ট একজন সহকারী শিক্ষক কতটুকু অবদান রাখবেন বা রাখা উচিৎ যথাযথ স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে। একজন সহকারী শিক্ষক নিম্নোক্ত পন্থায় স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারেন-

  • পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সে অনুসারে প্রতিদিন প্রতিটি ক্লাসের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে শ্রেণিকার্য পরিচালনা করা যাতে শিক্ষার্থীদেরকে তাঁদের লেসন ভালভাবে বুঝিয়ে দিতে দেওয়া সম্ভব নয়।
  • অপেক্ষাকৃত উত্তম পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করার চেষ্টা করা উচিৎ এবং এ নিয়ে সহকর্মীদের সাথে আলচোনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • অমনোযোগী ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগী করে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করা।
  • শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে উৎসাহিত করা এবং ক্লাসে এমন ভাবে পাঠদান করার চেষ্টা করা যেন তারা ক্লাসে আসার প্রয়োজন অনুভব করে।
  • শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পিপাষু হতে উৎসাহ দেওয়া যাতে করে তারা আরো বেশি করে শিখতে আগ্রহী হয়।
  • শিক্ষকের কাছে যাতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই উপযুক্ত প্রশ্ন করে যে-কোনো কিছু বুঝে নিতে পারে এবং শিক্ষকের সাথে কথা বলতে যেন কোন শিক্ষার্থী ভয় না পায় বা ইতস্তত বোধ না করে সে দিকে খেয়াল রাখা, এ জন্য আমাকে শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করা জরুরি।
  • কর্মসহায়ক গবেষণা চালিয়ে যাওয়া এবং নিজের পাঠানসহ নানা দিকে ত্রুটি কমিয়ে আনা।

শেষ কথা

সকল প্রশাসনের মতোই বিদ্যালয় প্রশাসনও একেকটি টিম, যে টিমে জড়িত সকল সদস্যের অংশগ্রহন ও গ্রহনযোগ্য উপস্থিতির মধ্যদিয়েই প্রশাসন ফলপ্রসূ হয়। বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয় তা সুষ্ঠুভাবে পালনসহ ওই শিক্ষকের নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকেও নানান রকম কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা উচিৎ যা বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও পরিচালনা সংক্রান্ত এবং স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়ন সহজতর করতে সহায়ক।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

মু. মিজানুর রহমান মিজান

মু. মিজানুর রহমান মিজান একজন স্বাধীন শিক্ষামূলক লেখক। তিনি শিক্ষা গবেষণায় বেশ আগ্রহী। যৌথভাবে কিছু গবেষণায়ও অংশ নিয়েছেন।
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে
তাহসান খান এবং মুনজেরিন শহীদের দুটি প্রফেশনাল কমিউনিকেশন কোর্স করুন ২৮% ছাড়ে

২৮℅ ছাড় পেতে ৩০/০৬/২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রোমো কোড “professional10” ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে ও ভর্তি হতে ক্লিক করুন এখানে

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের ভূমিকা

প্রকাশ: ১০:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক এবং পরিচালনামূলক ভূমিকা
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক এবং পরিচালনামূলক ভূমিকা

বাংলাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি

বিদ্যালয়ে শিখন শেখানো কার্যক্রম ও অন্যান্য সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল যা বিদ্যালয় প্রশাসন নামে পরিচিত।  প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই একটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি রয়েছে, এ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক পদ্ধতি মূলত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং এ প্রশাসনিক পদ্ধতি দুই ভাগে বিভক্ত। যথা- ১. কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং ২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

১. কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ

শিক্ষার যে-কোনো স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা স্কুল পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক প্রণীত ও জারিকৃত আইন, বিধিবিধান রয়েছে এই সকল আইন ও বিধিবিধান এর মূল উৎস আবার দেশের সংবিধান ও শিক্ষানীতি। শিক্ষানীতিতে বিবৃত লক্ষ্য, লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ধারিত কলাকৌশল এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাব্যবস্থা বিষয়ক সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন ও বিধিবিধান প্রণয়ন ও জারি করা জরুরী হয়ে উঠে। এই সকল আইন ও বিধিবিধান কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা হয়। সাধারণত মন্ত্রণালয় হলো কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ; মন্ত্রণালয় অধীনস্ত দপ্তর কিংবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই সকল জারি করে।

২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

কেন্দ্রিয় প্রশাসন থেকে যে সকল আইন ও বিধিবিধিান প্রনীত হয় তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য স্কুলে অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নীতিমালা প্রনয়ন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।  স্কুলের যেকোন অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জন্য প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে করে থাকেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে রয়েছেন সভাপতি ১ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ৩ জন (সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি ১ জন),  অভিভাবক সদস্য ৫ জন (১ জন সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য), দাতা সদস্য একজন এবং সদস্য সচিব (প্রধান শিক্ষক) ১ জন (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন, ১৯৭৭ আইন অনুসারে)।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরও প্রশাসনিক কাঠামো নিম্নের ছকের মত:

ম্যানেজিং কমিটি
প্রধান শিক্ষক
সহকারি প্রধান শিক্ষক
শিক্ষকবৃন্দ
শিক্ষার্থীবৃন্দ
৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিবৃন্দ  

শিক্ষার উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা

যে-কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হল বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক ও সুষম বিকাশ সাধন। আর এর সিংহভাগ দায়িত্ব বর্তায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান প্রধান বা প্রধান শিক্ষকের উপর । বিদ্যালয়ের প্রধান হলেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কর্মকুশলতা, দক্ষতা, দূরদর্শিতা ও পরিবর্তনে বিশ্বাসী মন মানসিকতার উপর গোটা বিদ্যালয়, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় উন্নতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। প্রত্যেক প্রধান শিক্ষক চান তাঁর প্রতিষ্ঠানটি আলাদা স্বকীয়তায় পরিচিতি পাক। আর এজন্যই প্রয়োজন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে একটি দক্ষ ও বিচক্ষণ ‘প্রশাসনিক ও পরিচালনা’ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার সিংহভাগ দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের ওপর থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকলে তাদের নিজস্ব দায়-দায়িত্ব ঠিক ঠাকভাবে পালন করতে না পারে তবে লক্ষ-উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব নয়।

বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রত্যেক শিক্ষকেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে প্রশাসনিক এবং পরিচালনার ভূমিকা গুরুত্বপুর্ণ। প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক হলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, নির্দেশনা ও পরামর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়েই তিনি সকল প্রকার কাজ করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক যে সব প্রশাসনিক এবং পরিচালনা  সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করতে হয় তা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তাঁর ওপর অর্পিত হয়। 

সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক ও পরিচালনামূলক দায়িত্ব

  • একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাঁর প্রধান দায়িত্বই হল শিক্ষার্থীদের  সুষ্ঠুভাবে পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করা।
  • প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রথমেই প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব মেনে চলতে হয়।
  • সহকারী শিক্ষককের ওপর যে-কোন রকমের দায়িত্ব অর্পিত হলে তা মনোযোগ দিয়ে করতে হয়।
  • স্কুলে নানান রকম দিবস উদযাপনে সকলের সাথে থাকা এবং নিজের অবস্থান থেকে  সহযোগিতা করতে হয়।
  • স্কুল সম্পর্কিত বা স্কুলের সাথে জড়িত সকলের সাথে সহকারী শিক্ষককে নানা ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন।
  • অফিস ম্যনেজমেন্ট বা বিদ্যালয়ের ব্যববস্থাপনায় নিজের দায়িত্ব যত্ন সহকারে পালন করা খুবই জরুরি সহকারী শিক্ষকের জন্য।
  • পরীক্ষা সংক্রান্ত ও পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয় এবং সংরক্ষণে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে সহায়তা করা।
  • শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত অর্পিত দায়িত্বও পালন করতে হয় সহকারী শিক্ষকের।
  • শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষককে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হয়।
  • বিদ্যালয়সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী সংগঠন ও পরিচালনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে গুরুত্বের সাথে সাহায্য করতে হয়।
  • প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত ও নির্দেশিত সকল যৌক্তিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনে সম্মত থাকতে হয়।

একজন সহকারী শিক্ষককে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের প্রধান হলো পাঠদানক, এটিই তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, সহকর্মীদের সাথে মিলেমিশে থাকা, অর্পিত দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করা, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও পদ্ধতির ব্যবহারসহ নানা বিষয় একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে একেকটি।  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যে সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে থাকেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • সুষ্ঠুভাবে পাঠদান ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ।
  • একটি  ক্লাসে নানান রকমের শিক্ষার্থী থাকে, কেউ কেউ পাঠ সহজে আয়ত্ব করতে পারলেও অনেকেই বুঝতে একটু সময় নেয় বা বারবার বলার পরে আত্মস্থ্য করতে পারে; এ জন্য শিক্ষার্থীদের শিখন শেখানোটাও সহকারী শিক্ষকের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ।
  • শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের কৌতুহল ও চাহিদা বুঝতে পারা একটা অন্যতম চ্যালেঞ্জ, কারণ শিক্ষার্থীদের কৌতুহল ভালো করে না বুঝলে পাঠদান কষ্টকর হয়ে পড়ে।
  • নির্ধারিত সময়ের সুষ্ঠুভাবে শ্রেণিকার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করাও সহকারী শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জ।
  • বিদ্যালয়ের আর্থিক সচ্ছলতা ও ভৌত অবকাঠামো না থাকার কারণে চক ও ব্লাকবোর্ডের বাইরে অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা আধুনিক যুগে অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ।
  • শ্রেণিকার্যে শিক্ষার্থীদের বিনোদিত করতে পারাটাও চ্যালেঞ্জ, আনন্দের সাথে পাঠদান করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
  • সহকর্মীদের সাথে যথাযোগ্য ব্যবহার করা, তাঁদের সাথে মিলেমিশে চলাও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
  • একজন সহকারী শিক্ষককে প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে-কোনো রকমের  বিশেষ দায়িত্ব দিলে তা যথাযথভাবে পালন করা তাঁদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
  • আনুষঙ্গিক ডিভাইস, অ্যাক্সেসরিস বা উপকরণের অভাবের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা এ যুগে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ একজন সহকারী শিক্ষকের পক্ষে।
  • পরীক্ষার পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন এবং আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সুন্দর ভাবে করা সহকারী শিক্ষকদের জন্য একটি প্রধা চ্যালেঞ্জ।
  • বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যে-কোনো দায়িত্ব পালনে নিজেকে প্রস্তুত রাখাও একজন আদর্শ শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ।
  • আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো অভিভাবকদের সাথে সুষ্ঠু যোগাযোগ রক্ষা করা এবং অভিভাবকদের বিভিন্ন রকম মন্তব্য, পরামর্শ ও অভিযোগ নিয়ে সহকর্মিদের সাথে আলোচনা করা।

একজন সহকারী শিক্ষক স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে যেভাবে অবদান রাখতে পারেন

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে মন-প্রাণ দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন, এটি স্বাভাবিক। তবে এটি নিশ্চিত বা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে, নির্দিষ্ট একজন সহকারী শিক্ষক কতটুকু অবদান রাখবেন বা রাখা উচিৎ যথাযথ স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে। একজন সহকারী শিক্ষক নিম্নোক্ত পন্থায় স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারেন-

  • পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সে অনুসারে প্রতিদিন প্রতিটি ক্লাসের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে শ্রেণিকার্য পরিচালনা করা যাতে শিক্ষার্থীদেরকে তাঁদের লেসন ভালভাবে বুঝিয়ে দিতে দেওয়া সম্ভব নয়।
  • অপেক্ষাকৃত উত্তম পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করার চেষ্টা করা উচিৎ এবং এ নিয়ে সহকর্মীদের সাথে আলচোনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • অমনোযোগী ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগী করে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করা।
  • শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে উৎসাহিত করা এবং ক্লাসে এমন ভাবে পাঠদান করার চেষ্টা করা যেন তারা ক্লাসে আসার প্রয়োজন অনুভব করে।
  • শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পিপাষু হতে উৎসাহ দেওয়া যাতে করে তারা আরো বেশি করে শিখতে আগ্রহী হয়।
  • শিক্ষকের কাছে যাতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই উপযুক্ত প্রশ্ন করে যে-কোনো কিছু বুঝে নিতে পারে এবং শিক্ষকের সাথে কথা বলতে যেন কোন শিক্ষার্থী ভয় না পায় বা ইতস্তত বোধ না করে সে দিকে খেয়াল রাখা, এ জন্য আমাকে শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করা জরুরি।
  • কর্মসহায়ক গবেষণা চালিয়ে যাওয়া এবং নিজের পাঠানসহ নানা দিকে ত্রুটি কমিয়ে আনা।

শেষ কথা

সকল প্রশাসনের মতোই বিদ্যালয় প্রশাসনও একেকটি টিম, যে টিমে জড়িত সকল সদস্যের অংশগ্রহন ও গ্রহনযোগ্য উপস্থিতির মধ্যদিয়েই প্রশাসন ফলপ্রসূ হয়। বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয় তা সুষ্ঠুভাবে পালনসহ ওই শিক্ষকের নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকেও নানান রকম কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা উচিৎ যা বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও পরিচালনা সংক্রান্ত এবং স্কুল-লার্নিং বাস্তবায়ন সহজতর করতে সহায়ক।